আজ বুধবার, ২৫শে বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ৮ই মে, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ

সংবাদচর্চায় শীর্ষ সংবাদ প্রকাশের পর শামীম ওসমানের দেহরক্ষী বদলি

সংবাদচর্চা রিপোর্ট:

শামীম ওসমানের দেহ রক্ষী পুলিশ কনস্টেবল মো. মামুন ফকির চাকরির বিধি লঙ্ঘন করে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের অনুমতি ছাড়া অস্ত্র গুলি সহ  ১৪ থেকে ১৭ মার্চ  অয়ন ওসমান কে সঙ্গে নিয়ে কক্সবাজারে ঘুরতে যায়।

গত ২০ মার্চ দৈনিক সংবাদচর্চায় ” অস্ত্র গুলিসহ পুলিশ বডিগার্ড মামুন গেলেন কক্সবাজারে  নিরাপত্তাহীনতায় শামীম ওসমান” প্রধান শিরোনামে সংবাদ প্রকাশের পর নারায়ণগঞ্জ প্রশাসনসহ সর্বত্রই সমালোচনা শুরু হয়। নারায়ণগঞ্জ জেলা পুলিশের পক্ষ থেকে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সুবাস চন্দ্রের নেতৃত্বে তিন সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়। এর পর  নারায়ণগঞ্জের জাতীয় স্থানীয় অনলাইন পত্রিকা সংবাদ প্রকাশ করে ।

গত ২২ মার্চ প্রথম আলো পত্রিকায় ৭ম পাতায় শামীম ওসমানের দেহরক্ষীর বিরুদ্ধে অনিয়মের অভিযোগ শিরোনামে সংবাদ প্রকাশ করা হয়।

গত ২৩ মার্চ  দৈনিক সংবাদচর্চায়  প্রথম পাতায় চতুর্থ লিডে ”শামীম ওসমানের গানম্যান নিয়ে সর্বত্র তোলপাড় “ শিরোনামে সংবাদ প্রকাশের একদিন পর আজ ২৪ মার্চ আলোচিত শামীম ওসমানের গানম্যান কে ঢাকা রেঞ্জের ডিআইজি চৌধুরী আবদুল্লাহ আল মামুন কিশোরগঞ্জে বদলি করেছে ।

এর আগে গতকাল শনিবার বিকেলে জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সুবাস চন্দ্র সাহা কনস্টেবল মামুন ফকিরের বিরুদ্ধে অনিয়মের প্রমাণ পান এবং তাঁর বিরুদ্ধে বিভাগীয় ব্যবস্থা নেওয়ার সুপারিশ করে তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল করেন।

২০১৭ সালের ৬ ফেব্রুয়ারি সংসদ সদস্যসহ গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিদের নিরাপত্তায় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান কামালের সভাপতিত্বে সভায় সিদ্ধান্ত হয়, সংসদ সদস্যদের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে তাঁদের নিরাপত্তায় গানম্যান দেওয়া যাবে। সংসদ সদস্যরা শুধু সংসদীয় এলাকায় দেহরক্ষীর নিরাপত্তা পাবেন। সাংসদ নির্বাচনী এলাকার বাইরে চলে গেলে নিরাপত্তায় নিয়োজিত দেহরক্ষী নিজ নিজ ইউনিটে রিপোর্ট করবেন। এই নিরাপত্তা শুধু সাংসদেরাই পাবেন। তাঁদের স্ত্রী, সন্তান বা পরিবারের কেউ পাবেন না। কিন্তু সাংসদের ছেলে অয়ন ওসমানের ক্ষেত্রে এ আইনের ব্যত্যয় ঘটেছে।

জেলা পুলিশ লাইনস সূত্রে জানা গেছে, কনস্টেবল মামুন ২০০৭ সালের ২২ আগস্ট পুলিশ কনস্টেবল পদে যোগ দেন। ২০১৩ সালের ৪ নভেম্বর থেকে নারায়ণগঞ্জে যোগ দেন। এরপর থেকে তিনি সাংসদ শামীম ওসমানের দেহরক্ষী হিসেবে নিয়োজিত আছেন। এর আগে কনস্টেবল মামুন এপিবিএন চট্টগ্রামে ছিলেন। কনস্টেবল মামুন পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের আদেশ অমান্য করে পুলিশ লাইনসে কোনো রিপোর্ট না করে চলাফেলা করেন। নিয়ম অনুযায়ী, ডিউটিতে থাকা ছাড়া বাকি সময় পুলিশ লাইনসে হাজির থাকার নিয়ম। শামীম ওসমানের দেহরক্ষী হওয়ার পর থেকে কনস্টেবল মামুন কোনো দিন পুলিশ লাইনসে রিপোর্ট করেননি।

প্রসঙ্গত, গত বছরের ডিসেম্বরে কনস্টেবল মামুনের বিরুদ্ধে পুলিশের ‘বেতার যন্ত্র’ (ওয়্যারলেস সেট) ব্যবহার করে পুলিশের গতিবিধি ও গোপন তথ্য ফাঁস করার অভিযোগ ওঠেছিলো। তখন বেতারযন্ত্রটি প্রত্যাহার করে নেওয়া হয়। সে সময় ওই ঘটনা নিয়ে ব্যাপক তোলপাড়ও শুরু হয়েছিলো নারায়ণগঞ্জে।

 

স্পন্সরেড আর্টিকেলঃ