আজ শুক্রবার, ১৫ই চৈত্র, ১৪৩০ বঙ্গাব্দ, ২৯শে মার্চ, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ

শ্রমিকের মাঝেই আমার সৃষ্টি

সংবাদচর্চা রিপোর্ট:

রাজনীতিতে শেষ বলে কোনো কথা নেই। নারায়ণগঞ্জ জেলার রাজনীতি সর্বমহল অবগত। অবগত সারা দেশ। এই জেলার যে সকল প্রবীন রাজনীতিবদরা রয়েছেন তাঁদের মধ্যে অন্যতম আব্দুল কাদির। আব্দুল কাদির নারায়ণগঞ্জ জেলা আওয়ামী লীগের  সহ-সভাপতির দায়িত্ব পালন করেছেন, নারায়ণগঞ্জ জেলা যুবলীগের প্রেসিডেন্ট ও সেক্রেটারী হিসেবে দীর্ঘ বিশ বছর দায়িত্ব পালন করেছেন। নারায়ণগঞ্জের রজানীতিতে যেখানে একে অপরকে কাদা ছুড়া-ছুড়ি,  কালিমা লেপন করে সেখানে আব্দুল কাদিরের বর্ণাঢ্য রাজনৈতিক জীবন ভিন্নতারই ইঙ্গিত করে। জেলা আওয়ামী লীগের সিনিয়র সহ-সভাপতি আব্দুল কাদির  সর্বদাই সাধারণ জীবন যাপন করতে স্বাচ্ছন্দ বোধ করেন। নারায়ণগঞ্জ নগরীর বোদ্ধামহলের মতে, আব্দুল কাদির এক অনন্য ব্যক্তিত্বের অধিকারী। তিনি সর্বদাই ত্যাগ শিকার করে গেছেন তার বিনিময়ের তেমন কিছুই পাননি। তিনি কিছু পাওয়ার আশায় রাজনীতি করেন নি বলে তারা মনে করেন। তবে অনেকেই ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, বর্তমান নারায়ণগঞ্জের এমনও কিছু ব্যক্তি রয়েছে যাদের রাজনীতির কোন ইতিহাসই নেই। নেই তেমন কোন জোন কর্মী সমর্থক। তারপরও এ সকল লোকগুলো চাটুকারীতা কিংবা মোটা অঙ্কের অর্থের বিনিময়ে বর্তমান রাজনীতির মাঠে নিজেদের উপস্থাপন করছেন। সেই ক্ষেত্রে আব্দুল কাদির যিনি রাজ পথের আন্দোলনে নেতৃত্বে দিয়েছেন। বিরোধী দলে থাকাবস্থায় অনেক জেল, জলুম অত্যাচার সয্য করেছেন তারপরও এই প্রবীন রাজনীতিবিদ তাঁর কর্মীদের ফেলে কিংবা নিজেকে রক্ষা করার জন্য স্থান ত্যাগ করেন নি।

গতকাল বিকেলে দৈনিক সংবাদর্চচাকে দেয়া একান্ত সাক্ষাতকারে জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি আব্দুল কাদির জিলানী বলেন, শ্রমিকের মাঝেই আমার সৃষ্টি এবং আল্লাহ চাইলে এই শ্রমিকদের ভালোবাসা আর শ্রমিকদের মধ্যেই আমার মৃত্যু হবে। আমি মানুষের জন্য রাজনীতি করি। আমার সবচেয়ে বড় শক্তি হলো আমার কর্মী। প্রতিটি মানুষের সাথে আমার উঠা-বসা রয়েছে। আব্দুল নামে আমাকে শতকরা ৯৫ ভাগ মানুষ আমাকে চিনে। নারায়ণগঞ্জের প্রত্যেকটি অঞ্চলে আমার বিচরণ রয়েছে। এমনটা শুধু আমারই রয়েছে যা অন্য কারো নেই। আমি এই নারায়ণগঞ্জ জেলাতে যুবলীগের প্রেসিডেন্ট ও সেক্রেটারী দায়িত্ব পালন করেছি প্রায় ২০ বছর। সেই সময়ে তিন থেকে চার বার যে কাউন্সিল অনুষ্ঠিত হয়েছিলো আমি প্রেসিডেন্ট ও সেক্রেটারী পদ দাঁড়িয়েছি কিন্তু আমার কোন প্রতিদ্বন্দ্বি  ছিলো না। তবে প্রভাবশালীরা প্রার্থী  দাঁড় করাতে চেয়েছে  কিন্তু আমার সততা আর নিষ্ঠার কাছে তারা দাঁড়াতে পারে নি। আমি বর্ধিত সভা থেকে শুরু করে মাসিক সভা করেছি। প্রায় দুইশ এর অধিক সভা করেছি। আজকের রাজনীতি অন্যদিকে চলে যাচ্ছে। আজ তারাই মর্যাদা পাচ্ছে বা পদ-পদবী পাচ্ছে যারা শুধু সুবিধা ভোগ করছে। আমি প্রত্যাশা করি সামনে মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি আমাকে দেয়া হবে কেন্দ্র থেকে। এছাড়া নবীন ও প্রবীনরা মিলে সংগঠন সামনের দিকে নিয়ে যাব। অনেকে যাবেন আবার অনেকে আসবেন। আমি চাই রাজনৈতিক ভাবে কিছু করতে। দলে অনেক নেতা আছেন যারা রাজনীতি করেন ব্যক্তি লাভের আশায়। যারা সুবিধা লাভের আশায় রাজনীতি করে তারা দলের মঙ্গল চায় না। আমার কাছে উত্তর-দক্ষিন মেরু বলে কিছু নেই আমি কর্মী রাজনীতি করি দলের জন্য।

বিভিন্ন স্থান থেকে এই নারায়ণগঞ্জে অনেক মানুষের আগমন ঘটে। জননেত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে যে হারে দেশ এগিয়ে যাচ্ছে, তার পাশাপাশি আমাদের নারায়ণগঞ্জের অর্থনীতির অবস্থাও ঢেলে সাজানো হয়েছে। একটি সময় এই নারায়ণগঞ্জে যারা সাধারণ দিনমজুর ছিলেন কিংবা রিক্সা চালিয়ে পরিবারের চালাতেন আজ দেখেন তাঁদের অবস্থা। আগে তারা সারাদিন রোদে পুরে বৃষ্টিতে ভিজে দুই থেকে তিন শত টাকা উপাজর্ন করতো আজ সেই দিন গুলোর পরিবর্তন ঘটেছে। এখন একজন সাধারণ রিক্সা চালক এই শহরে রিক্সা চালিয়ে নিজ গ্রামের বাড়ীতেও টাকা পাঠাচ্ছে পাশপাশি ছেলে মেয়ের উজ্জ্বল ভবিষ্যতের জন্য অর্থ জমাচ্ছে। আমি সমগ্র নারায়ণগঞ্জের জনসাধারণ সহ আমার দলের সকল কর্মীদের ও সকল শ্রমিকদের ঈদের শুভেচ্ছা জানাই।

স্পন্সরেড আর্টিকেলঃ