আজ বৃহস্পতিবার, ১২ই বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ২৫শে এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ

শ্যালক নিয়ে বড় ভাইকে নির্যাতন করলো ছোট ভাই

সংবাদচর্চা অনলাইনঃ

নারায়ণগঞ্জ ফুতল্লা মাসদাইর তালা ফ্যাক্টরী সংলগ্ন এলাকায় আপন ছোট ভাইয়ের হাতে বড় ভাই নির্যাতন সইতে না পেরে আপন ভাইয়ের বিরুদ্ধে থানা অভিযোগ দায়ের করেছেন ভুক্তভোগি ইব্রাহিম খলিল (৫৫)। মঙ্গলবার বিকেলে ফতুল্লা মডেল থানায় হযরত আলীর ছেলে আওলাদ হোসেন ও তার সধর্মিনী লিপি বেগমের (৩৮) বিরুদ্ধে এ অভিযোগ দায়ের করেন। একই সাথে অভিযোগে আওলাদ হোসেনের মেয়ে আনিছা (১৮) এবং আল আমিনের স্ত্রী মাহিনুর বেগমের নাম উল্লেখ্য করা হয়। তারা প্রত্যেকেই মাসদাইর তালা ফ্যাক্টরী এলাকার বাসিন্দা।

অভিযোগে ইব্রাহিম খলিল উল্লেখ্য করে বলেন, আওলাদ আমার আপন ছোট ভাই। তিনি কিছুদিন যাবত আমার পৈত্রিক সম্পত্তির বসত বাড়ীর জায়গা দখল করার চেষ্টা করে, দখল করতে না পেরে আমাদেরকে নির্যাতান করে। আমার ভাই ও তার স্ত্রীসহ আওলাদের শ্যালক পাপন ও মেয়ে আনিছাকে নিয়ে আমার বাসায় এসে আমাদের মাইর ধর করেন। তিনি আরো উল্লেখ্য করে বলেন, আমার ছেলের স্ত্রী খাদিজাকে আওলাদের স্ত্রী ও মেয়ে আনিছা মিলে সন্ত্রাসীদের মত বুকে কিল ঘুষি মারে। আমার স্ত্রীকে এলোপাথারী ভাবে মারধর করে তারা। আমার পিতা আমাদের সকল ভাইদের যার যার নামে দলিল করে দেন। আমার পিতা আমাকে আশি অযুতাংশ জায়গা আমার নামে ২০১৭ সালে হেবা দলিল করে দিয়েছেন। যার দলিল নম্বর ৮০১৩। পরবর্তিতে আমরা এলাকার গণ্যমান্য ব্যক্তিদের বিষয়টা জানাই। এলাকার মানুষ শালিশের মাধ্যমে বিচার করার পরেও তারা তা না মেনে আমাদের উপর হামলা করে। বাড়ি ছাড়ার হুমকি প্রদান করে।

সাফিয়া বেগম বলেন, আওলাদ হোসেনরা আমাদের ঘরে এসে আমাকে আমার ছেলে বউকে লাত্তি কিল ঘুষি মারে। আমার ছেলে রাসেলকে আওলাদের শ্যালক পাপন গলাটিপে ধরে। আমরা চিৎকার করলে তারা চলে যায়। আমরা যাতে ছাদে গিয়ে কোন কিছু করতে না পারি এজন্য তারা ছাদের তালা মেরে রাখে। পুলিশ তদন্ত করতে আসলে আওলাদ পুলিশের সামনে আমার ছেলে রাসেলকে মারতে আসে। পরে পুলিশ তাকে ঠেকায়। পুলিশের সামনে তারা এত সাহস পায় কি করে।

ফতুল্লা মডেল থানার এসআই মিজানুর রহমান বলেন, তাদের মাঝে হাতা হাতি হয়েছে। এবিষয়ে তাদের দুই পক্ষকে নিয়ে রোববার বসা হবে।

স্পন্সরেড আর্টিকেলঃ