আজ শনিবার, ১৪ই বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ২৭শে এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ

শেষ পর্যন্ত থাকবো : মৌসুমী

জমে উঠেছে আসন্ন চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির নির্বাচন। এবারের নির্বাচনে নতুন কিছু ঘটতে পারে।  হতে পারে ইতিহাস রচনা। এবারের চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির নির্বাচনে  প্রথমবারের মতো সভাপতি পদে লড়ছেন সারা বাংলার জনপ্রিয় চিত্র নায়িকা  মৌসুমী। তিনি কোন প্যানেলে নির্বাচন করছেন না। স্বতন্ত্র প্রার্থী হয়ে নির্বাচন করছেন। এর আগে কোন নায়িকা চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির সভাপতি পদে নির্বাচন করেন নাই। নির্বাচন অবাধ সুষ্ঠু নিরপেক্ষ হলে মৌসুমীর জয় নিশ্চিত । আর যদি ক্ষমতাসীন দল বাধা দেয় তাহলে ফলাফল  অন্যরকম হবে।

সোমবার (১৪ অক্টোবর) নির্বাচনের প্রস্তুতি ও পরিকল্পনা সম্পর্কে একটি সংবাদ মাধ্যম কে মৌসুমী বলেছেন,আমি কারও সঙ্গে প্রতিযোগিতায় নামিনি। আমি নিজের মতো করে সবকিছু করছি। নির্বাচনে শেষ পর্যন্ত থাকবো। ধরে নিলাম আমি হেরে যাব, এটা মাথায় রেখেই নির্বাচনে এখনো আছি এবং শেষ পর্যন্ত থাকব এটা নিয়ে আমার কোনো দ্বিধাদ্বন্দ্ব নেই।

নির্বাচনী প্রচার-প্রচারণা কেমন চলছে এমন প্রশ্নের জবাবে মৌসুমী বলেন,  তেমন কিছু না। এখন পোস্টার-ব্যানার লাগানো হচ্ছে। আগামীকাল মঙ্গলবার ভোটারদের কাছে আনুষ্ঠানিকভাবে ভোট চাওয়া শুরু করবো। আপাতত এর বাইরে কিছু করছি না এবং সেটার প্রয়োজনও হচ্ছে না। সব ভোটারদের সাথে কথা বলেছি। সবাই বলেছে, ‘আমরা সব খবর দেখছি, পড়ছি, তোমার প্রচারণা সম্পর্কেও অবগত আছি।” তারা আমার উদ্দেশ্য সম্পর্কেও জানতে পারছে। আমি মনে করি তাদের পাশে থাকাটা আমার জন্য গুরুত্বপূর্ণ।

এককভাবে প্রচারণা চালিয়ে যাচ্ছেন, অন্যরা দলীয়ভাবে। কোনো বাধা-বিপত্তির মুখোমুখি হয়েছেন কি এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন,  মনে হয় না, আমাকে সরাসরি বাধা দেওয়ার মতো কারও সাহস আছে। আমার পয়েন্টে যদি ঠিক থাকি কেউ বাধা দিবে না। সাহস করবে না। যতই একা দাঁড়াই, আমি তো আসলে একা না… এটা তারা ভালো করেই জানে। সবাই জানে সেটা, তারাও আমার সহশিল্পী, কেউ আমার সিনিয়র কেউ জুনিয়র। সবাই আমার সাথে কাজ করছে এবং তারা দেখছে এবং জানে বিষয়টা। তারা আমাকে একা করে দিয়েছে কিন্তু আসলে আমি তো একা না। এটা তারা ভালোই অনুধাবন করছে। এত নোংরা চিন্তা আমার ব্যাপারে তারা করবে না। আমার চেয়ে বড় শিল্পী যারা আছেন তারাও এমন কোনো সিদ্ধান্ত নেবে না।

মৌসুমী বলেন, আমাকে মানুষ কেন ভোট দিবে এই প্রশ্নের উত্তরটা বেশ সহজ। সেটা গুরুত্ব দিয়ে প্রচারেরও দরকার নেই। বরং সেটি হাস্যকর হবে। ভোটার ভোট দিতে গিয়ে একটা বিষয় চিন্তা করবে- মেয়েটা সৎ কী না, তার রেপুটেশন কী। আমি এটা করবো, ওটা করবো, শিল্পী সমিতির জন্য আটতলা ভবন করবো- এমন অঙ্গীকার ঢাকঢোল পিটিয়ে করার দরকার নেই। গত মেয়াদে যারা ছিলেন তারা তাদের ব্যর্থতার জায়গাটা ফোকাস করবেন যে ”সরি, আমরা এসব অঙ্গীকার পূরণ করতে পারিনি, আগামীতে করবো।” আর যেটা তারা করে ফেলেছে বা করছে এখন সেসবও কিন্তু সবাই জানে। এসবও গুরুত্ব দিয়ে প্রচারের দরকার নেই। তারা কী কী ভালো কাজ করেছে বা করতে পারেনি সেটাও আমরা জানি। আমার ক্ষেত্রে আমি বলবো যে দীর্ঘ জীবনে আমি কী কী করেছি, আমি মানুষ কেমন- এই ২/৩টি জিনিস গুরুত্বপূর্ণ। পাশাপাশি নির্বাচনে শেষ পর্যন্ত টিকে থাকাটা গুরুত্বপূর্ণ। এসব ঠিক থাকলেই তা স্বতন্ত্র প্রার্থীর জন্য বড় যোগ্যতা বলে আমি মনে করি।

প্রসঙ্গত, মৌসুমীকে ঠেকাতে প্যানেল করছে মিশা-জায়েদ। সেই প্যানেলের সভাপতি প্রার্থী মিশা সওদাগর। আগামী ২৫ অক্টোবর এফডিসিতে অনুষ্ঠিত হবে।

স্পন্সরেড আর্টিকেলঃ