আজ শুক্রবার, ১৫ই চৈত্র, ১৪৩০ বঙ্গাব্দ, ২৯শে মার্চ, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ

শুরু হবে মডেল মসজিদ নির্মাণ

মামলাসহ নানা জটিলতায় বন্ধ থাকা নারায়ণগঞ্জ জেলা মডেল মসজিদ ও ইসলামিক সাংস্কৃতিক কেন্দ্র নির্মাণকাজ শীঘ্রই শুরু হবে বলে জানিয়েছেন অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) তোফাজ্জল হোসেন। গতকাল সকালে শহরের মন্ডলপাড়ায় প্রকল্প এলাকা পরিদর্শন শেষে তিনি এ কথা জানান।

সকালে অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক তোফাজ্জল হোসেন, ইসলামিক ফাউন্ডেশনের উপ পরিচালক জাকির হোসাইন, সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) রিফাত ফেরদৌস, নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশন (সাবেক) সাবেক প্যানেল মেয়র ও ১৬, ১৭, ১৮ নম্বর ওয়ার্ডের সংরক্ষিত নারী কাউন্সিলর আফসানা আফরোজ বিভা, ১৬ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর রিয়াদ আহমেদ ও ১৪ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর মনিরুজ্জামানের উপস্থিতিতে প্রকল্প এলাকা পরিদর্শন করে পরিমাপ করেন। এ সময় মন্ডলপাড়ার পুরোনো মসজিদ কমিটির লোকজনের সাথেও কথা বলেন অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক। পরে তাদের সম্মতিতেই পরিমাপ সম্পন্ন করে।

অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক তোফাজ্জল হোসেন বলেন, ‘প্রকল্প কাজের জন্য এই স্থান নির্ধারিত ছিল। জমির পরিমাপ আগেই হয়ে গিয়েছে। তারপরও আজকে এসে দৈর্ঘ্য-প্রস্থে কতটুকু আছে তা দেখা হলো। এখানে ৪০০-৫০০ বছরের স্থাপনা আছে, ওয়াকফ্ স্টেট রয়েছে। এ নিয়ে আমরা আলোচনা করেছি, সমন্বয় করতে পেরেছি। দীর্ঘদিনের এই স্থাপনা নষ্ট না করেই মডের মসজিদের কাজ করা হবে। শীঘ্রই জেলা মডেল মসজিদের কাজ শুরু হবে।’

নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশনের মেয়র ডা. সেলিনা হায়াৎ আইভীর সহযোগিতায় জেলা মডেল মসজিদ ও সাংস্কৃতিক কেন্দ্র নির্মাণের জন্য মন্ডলপাড়া এলাকার জমি নির্ধারণ করা হয়। গত বছরের ১২ জানুয়ারি মডেল মসজিদের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন নাসিক মেয়র ডা. সেলিনা হায়াৎ আইভী। এই সময় উপস্থিত ছিলেন ইসলামিক ফাউন্ডেশনের মহাপরিচালক (অতিরিক্ত সচিব) আনিস মাহমুদ, গণপূর্ত অধিদপ্তর নারায়ণগঞ্জ জেলার নির্বাহী প্রকৌশলী মো. জাকির হোসেন, সিটি করপোরেশনের প্যানেল মেয়র-১ আফসানা আফরোজ বিভা, ইসলামিক ফাউন্ডেশন নারায়ণগঞ্জ জেলার উপ-পরিচালক মুহাম্মদ জাকির হোসেন প্রমুখ। তবে পরবর্তীতে মন্ডলপাড়া জামে মসজিদ ওয়াকফ্ এস্টেট একটি মামলা করলে মসজিদের নির্মাণকাজ আর শুরু হয়নি।

জানা গেছে, নারায়ণগঞ্জ জেলা মডেল মসজিদ ও ইসলামিক কালচারাল সেন্টার চারতলা ভবন ও চারতলা ফাউন্ডেশন দেওয়া হবে। এখানে কয়েক হাজার নারী, পুরুষ একসঙ্গে নামাজ পড়তে পারবেন। এর ব্যয় ধরা হয়েছে ১৪ কোটি ৮৯ লাখ টাকা। চলতি বছরেই এ মসজিদের নির্মাণকাজ শেষ হবে। এখানে নিচের তলায় হবে ইমাম ট্রেনিং সেন্টার, প্রতিবন্ধীদের জন্য নামাজের স্থান, লাশ গোসলের স্থান, ইসলামিক ফাউন্ডেশনের বই ও পাঠাগার থাকবে। প্রথম তলায় প্রধান নামাজের স্থান ও অজুখানা থাকবে। দ্বিতীয় তলায় পুরুষ ও নারীদের জন্য নামাজের স্থান, সভা কক্ষ ও অজুখানা। তৃতীয় তলায় শুধু নারীদের জন্য নামাজের স্থান, হেফজখানা, ইমাম, শিক্ষক, খাদেম ও অতিথিদের জন্য রুম ও নারীদের অজুখানা। আর মসজিদটির জন্য ২০০ কেভিএ সাব স্টেশনের যন্ত্রাংশ, একটি ৪০ কেভিএ জেনারেটর, ৭৫টন এসি, সিসিটিভি, সোলার, বিএইচপি পাম্প মোটর থাকবে।

স্পন্সরেড আর্টিকেলঃ