আজ শুক্রবার, ১৩ই বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ২৬শে এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ

শীর্ষ সন্ত্রাসী জিসানের সহযোগী অস্ত্রসহ গ্রেফতার

শীর্ষ সন্ত্রাসী জিসানের সহযোগী মাযহারুল ইসলাম শাকিলকে রাজধানীর মোহাম্মদপুর থেকে গ্রেফতার করেছে র‌্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র‌্যাব)। এ সময় তার দেহ তল্লাশী করে কোমরে গোঁজা অবস্থায় ০২টি বিদেশী পিস্তল, ০২ টি ম্যাগাজিন ও ০৬ (ছয়) রাউন্ড গুলি উদ্ধার করা হয়।

শনিবার (২২ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে র‌্যাবের গণমাধ্যম শাখার সহকারি পরিচালক এএসপি সুজয় সরকার সংবাদমাধ্যমকে এ তথ্য নিশ্চিত করেন।

তিনি জানান,  শীর্ষ সন্ত্রাসী জিসানের ডানহাত নামে পরিচিত সন্ত্রাসী চাঁদাবাজ মোঃ মাজহারুল ইসলাম @ শাকিল @ শাকিল মাজাহার(৩৫)রাজধানীর মোহাম্মদপুর থানাধীন মোহাম্মদপুর বাসস্ট্যান্ড সংলগ্ন এলাকায় অবস্থান করছে। র‌্যাব-২ এর একটি দল অভিযান চালিয়ে  তাকে গ্রেফতার করেছে। সে ফেনী জেলার সাদেকপুর এলাকার মৃত আব্দুল খালেকের ছেলে।

র‌্যাব আরো জানায়  ২০০৫ সালে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় পড়ার সময় বিশ্ববিদ্যালয় এর ছাত্র রাজনীতি শুরু করে। পরবর্তীতে ঢাকা মহানগর এর ছাত্র রাজনীতির সাথে জড়িত হয়। ২০০৯ সাল থেকে যৌথভাবে টেন্ডার কাজে জড়িত হয়ে পড়ে। রেলওয়েতে ছোট ছোট কাজের টেন্ডার নিয়ে কাজ করত। এভাবে ২০১০-২০১২ সাল পর্যন্ত বই টেন্ডার নিয়ে কাজ করে। ২০১৩ সালে গ্রামের বাড়ী ফেনীতে চলে যায় এবং পারিবারিক দোকান এর কাজ এর পাশাপাশিগ্রাম্য রাজনীতিতে জড়িয়ে পড়ে। ২০১৫ সালে পুনরায় ঢাকায় আসে এবং রাজনীতি শুরু করে কিন্তু যুবলীগ নেতা খালেদ মাহমুদ ভূইয়ার সাথে বিরোধে জড়িয়ে পড়ে এবং রেলওয়ের টেন্ডার কাজ নিয়ে বিরোধ তৈরী হয়। ২০১৬ সালের জুন মাসে ঢাকা মহানগর দক্ষিণ এর যুবলীগের সহ-সম্পাদকরাজিব হত্যার এজাহারে নাম আসার ৪ দিন পরে শাকিল চীনে চলে যায়। ২০১৭ সাল পর্যন্ত চীনে বসবাস করে এবং কার্গো সার্ভিস এর কাজ করে। ২০১৮ সালে চীন থেকে দুবাই চলে যায় এবং ২০২০ সালের জানুয়ারি পর্যন্ত দুবাই ছিল। দুবাই থাকা অবস্থায় শীর্ষ সন্ত্রাসী জিসান এর সাথে পরিচিত হয় এবং পরবর্তীতে জিসান এর পক্ষে লেবার ব্রোকার এর কাজ করত। দুবাইতে জিসান এর সাথে লেবার আবাসিক ভবন ছিল সেই ভবনে থেকেতারা তাদের সন্ত্রাসী পরিকল্পনা এবং সেখান থেকেই তাদের বিভিন্ন সহযোগীর মাধ্যমে বাংলাদেশে সন্ত্রাসী কার্যক্রম পরিচালনা করত। শাকিল ২০২০ সালের ১২ জানুয়ারিতে দেশে আসে। মূলত তার দেশে আসার উদ্দেশ্য হল জিসান এর নির্দেশ ও সহযোগীতায় বাংলাদেশে তার সন্ত্রাসী কার্যক্রম নতুন করে প্রতিষ্ঠিত করে আন্ডার-ওয়ার্ড এর নেতৃত্ব দেওয়া। এ প্রেক্ষিতে শাকিল রাজধানীর একটি হাসপাতালে ভর্তি হয় এবং ভর্তির উদ্দেশ্য ছিল হাসপাতালে কোন অনাকাঙ্খিত ঘটনা সৃষ্টি করে জনমনে আতঙ্ক ছড়িয়ে দেওয়া। র‌্যাবের অভিযানের ফলে তার এই হীন প্রচেষ্টা নসাৎ হয়েছে।

 

 

স্পন্সরেড আর্টিকেলঃ