আজ বৃহস্পতিবার, ১২ই বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ২৫শে এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ

শহীদ সাব্বির স্মরণে শনিবার শোক র‌্যালী ও কবর জেয়ারত

শহীদ সাব্বির

শহীদ সাব্বির

সংবাদচর্চা ডেস্ক: সন্ত্রাস ও মাদক বিরোধী আন্দোলনের বলিষ্ট কণ্ঠ, বাংলাদেশ নীট ম্যানুফ্যাক্চারাস এন্ড এক্সপোর্টারস এসোশিয়েসনের সহ- সভাপতি, নারায়ণগঞ্জ চেম্বার অব কর্মাস এন্ড ইন্ডাস্ট্রিজের পরিচালক, নারায়ণগঞ্জ জেলা ক্রীড়া সংস্থার সহ-সভাপতি শহীদ সাব্বির আলম খন্দকারের ১৪ তম শাহাদাৎ বার্ষিকী আগামী ১৮ই ফ্রেবুয়ারী। তবে রাজনৈতিক কারনে পরিবারের পুরুষ সদস্যরা ও বেশীর ভাগ শুভাকাংখী বাড়ীর বাইরে থাকায় সংক্ষিপ্ত আকারে  (আগামীকাল) শনিবার শহীদ সাব্বির আলম খন্দকারের স্বরণে ও শহীদ সাব্বিরের খুনিদের গ্রেফতার ও বিচার এবং নারায়ণগঞ্জকে সন্ত্রাস ও মাদক মুক্ত করার দাবীতে সকাল ৯.৩০ টায় মাসদাইরস্থ নিজ বাড়ী থেকে শোক র‌্যালীর আয়োজন করা হয়েছে। শহীদ সাব্বির আলম খন্দকার ফাউন্ডেশনের পক্ষ থেকে উক্ত শোক র‌্যালী দল-মত, জাতি-র্ধম নির্বিশেষে যোগদানের জন্য সকলের প্রতি আহবান জানানো হয়েছে। এছাড়াও শহীদের কবর জেয়ারত ও শহীদের সাথে সংশ্লিষ্ট সংগঠন ও প্রতিষ্ঠান সমূহ এ দিনটি পালন করবে।এছড়াও শহীদ শাব্বির সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান ৯ দিন ব্যাপী কর্মসূচী পালিত হবে।
উল্লেখ্য যে ২০০২ সালের ২২ শে অক্টোবর নারায়ণগঞ্জকে সন্ত্রাস, চাঁদা ও মাদক মুক্ত করার লে নারায়ণগঞ্জ চেম্বার অব কর্মাসে অনুষ্ঠিত জেলার ৩২ টি ব্যবসায়ী সংগঠনের সাথে সেনাবাহিনীর মত বিনিময় সভায় শহীদ সাব্বির আলম খন্দকার ”আমার জানাযায় অংশ গ্রহন করার আহবান জানিয়ে বক্তব্য শুরু করছি“ বলে নারায়ণগঞ্জের সন্ত্রাসী ও মাদক ব্যবসায়ীদের নাম, ঠিকানা ও তাদের গডফাদারদের নাম প্রকাশ করেন এবং সন্ত্রাসী ও মাদক ব্যবসায়ীদের বিরুদ্দে জিহাদ ঘোষনা করে নারায়ণগঞ্জবাসীকে ঐক্যবদ্ধ করার চেষ্ঠা করেন। তখন শহীদ সাব্বিরের ব্যাপক তৎপরতায় ঝুট সন্ত্রাসী, চাঁদাবাজ ও মাদক ব্যবসায়ীদের হাতে জিম্মি গার্মেন্টস ব্যবসায়ী, চুন ফ্যাক্টরী ও নারায়ণগঞ্জ বাসী নিস্তার লাভ করে।২০০৩ সালের ১৮ই ফ্রেরুয়ারী প্রাতঃ ভ্রমন কালে সন্ত্রাসীদের গুলিতে শহীদ হন।
চাঁদাবাজ সন্ত্রাসী ও মাদক ব্যবসায়ীরা কোনঠাসা হয়ে পরলে তাদের গডফাদারদের ষড়যন্ত্রে সন্ত্রাসী ও চাঁদাবাজরা প্রাতঃকালীন ভ্রমনকালে শহীদ সাব্বির আলম খন্দকারকে গুলি করে হত্যা করে।তৎসময়ে সন্ত্রাসী ও মাদক ব্যবসায়ীদের গডফাদাররা প্রভাবশালী হওয়ায় মামলা দায়ের থেকে শুরু করে তদন্ত সহ সকল ক্ষেত্রে অবৈধ হস্তক্ষেপ করে। ফলে দীর্ঘ ১৪ বছরেও একটি গ্রহন যোগ্য চার্জশীট প্রসাশনের পক্ষ থেকে পাওয়া যায়নি।

স্পন্সরেড আর্টিকেলঃ