আজ বৃহস্পতিবার, ১৪ই চৈত্র, ১৪৩০ বঙ্গাব্দ, ২৮শে মার্চ, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ

শহরে বঙ্গবন্ধু নামের বিকৃতি

অ.শুভঃ
শহরের চাষাঢ়া থেকে মন্ডলপাড়া পর্যন্ত বঙ্গবন্ধু সড়ক। তবে এ সড়কের দুই পাশে থাকা অনেক প্রতিষ্ঠানের সাইনবোর্ডে লেখা রয়েছে ‘বিবি রোড’! বছরের পর বছর জাতির জনকের নাম এভাবে বিকৃতি করলেও তা থামাতে কোন উদ্যোগ নেয়নি কেউ। তবে নাসিক সিইও জানিয়েছে, মাইকিং করা হয়েছে আর চিঠি দেয়া হয়েছে।

জানা গেছে, ২৯২ বর্গমাইল এলাকা নিয়ে ১৯৮৪ সালের ১৫ ফেব্রুয়ারি নারায়ণগঞ্জকে জেলা হিসেবে ঘোষণা করা হয় যা ৫টি উপজেলা নিয়ে গঠিত হয়। এ জেলার সব চেয়ে গুরুত্বপূর্ণ সড়কের না বঙ্গবন্ধু সড়ক।

সরেজমিনে দেখা গেছে, বঙ্গবন্ধু সড়কের চাষাঢ়া থেকে নিতাইগঞ্জ পর্যন্ত এলাকায় সরকারি প্রতিষ্ঠান, মার্কেট, ভবনসহ বিভিন্ন সাইবোর্ডে রয়েছে বি.বি রোড লেখা। মাকের্ট কিংবা প্রতিষ্ঠানের সংস্কার করা হলেও বি,বি রোড লেখার সংশোধন করা হয়নি। গত ১ বছর আগে যেসব প্রতিষ্ঠান সাইনবোর্ডের নিচে বি.বি রোড লেখা ছিলো এখনো তাই লেখা রয়েছে। অনেক ভবন, দোকান, মার্কেটসহ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের সংস্কার কাজ তরা হয়েছে কিন্তু বি.বি রোড লেখা সংশোধন করে বঙ্গবন্ধু লেখেনি।

চাষাঢ়া সায়াম প্লাজা মার্কেট কমিটি গত বছর নাম সংশোধন করা হবে জানালেও এক বছরেও তারা তা করেনি। এ মার্কেটের তিন তলায় মহানগর আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক শাহ নিজাম এর অফিস। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, নিয়মিত এ অফিসে যাতায়াত রয়েছে শাহ নিজাম ও তার অনুগত আওয়ামীলীগ নেতাদের। বঙ্গবন্ধুর পরিবর্তে বি.বি রোড লেখা সাইনবোর্ডের নীচ দিয়েই তারা আসা যাওয়া করেন। প্রত্যক্ষদর্শীদের মতে, তারা মাথা গুঁজে যাতায়াত করেন তাই বছরের পর বছর বঙ্গবন্ধুর নামের বিকৃতি তাদের চোখে পরে না।

সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব রফিউর রাব্বি বলেন, দীর্ঘদিন ধরে এই সড়কে বঙ্গবন্ধুর নামের পরিবর্তে বি.বি লিখে রেখেছে এক দল অপদার্থ। তারা কেন বি, বি রোড লেখা সংশোধন করে না। প্রশাসন এ ব্যাপারে এখানো কোন ভূমিকা রাখেনি। প্রশাসনের উচিৎ এ বিষয়ে ব্যবস্থা গ্রহনের।

নারায়ণগঞ্জ নাগরিক কমিটির সভাপতি এবি সিদ্দিক বলেন, শহরের বঙ্গবন্ধু সড়কের মধ্যে সেসব প্রতিষ্ঠান, মার্কেট, ভবন গড়ে উঠেছে তাদের নারায়ণগঞ্জ সিটি কর্পোরেশন থেকে অনুমতি নিতে হয়েছে। এতো বছর ধরে বি,বি রোড লেখা কিন্তু নাসিক এ ব্যাপারে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহন করেনি। যদি মেয়র এই বিষয়ে কঠোর হতেন তাহলে অনেক আগেই বি, বি, রোড লেখা সংশোধন হতো।

মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক খোকন সাহার মতে, এ দায়িত্ব সিটি কর্পোরেশনের। তারা যদি বলতো বঙ্গবন্ধুর পরিবর্তে বিবি রোড লেখা যাবে না তাহলে কেউ লেখতে সাহস পেতো না। এমন কান্ডের নিন্দা জানিয়ে নারায়ণগঞ্জ সিটি কর্পোরেশন কর্তৃপক্ষকে অচিরেই ব্যবস্থা নেয়ার আহবান জানান তিনি।

নারায়ণগঞ্জ সিটি কর্পোরেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্ত আবুল আমিন জানান, অনেক প্রতিষ্ঠানকে এ বিষয়ে নোটিশ দেয়া হয়েছে। নাসিকের পক্ষ থেকে মাইকিং করা হয়েছে। প্রয়োজনে এ ব্যাপারে কঠোর ব্যবস্থা নেয়া হবে বলে জানান তিনি।

জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আবদুল হাই ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, অনেক দিন ধরে এমনটা চলছে, যা দুঃখজনক। প্রবীণ এ রাজনীতিক জানান, জাতির জনকের নামের বিকৃতি ঠেকাতে আমরা শীঘ্রই দলীয়ভাবে উদ্যোগ নিবো।

স্পন্সরেড আর্টিকেলঃ