আজ বুধবার, ২৫শে বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ৮ই মে, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ

নিজের রাজনৈতিক ভবিষৎ নিয়ে শঙ্কায় শামীম ওসমান!

শঙ্কায় শামীম ওসমান

শঙ্কায় শামীম ওসমান

 

নিজস্ব প্রতিবেদক:
আওয়ামীলীগ প্রধান ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশে আগেই নারায়ণগঞ্জের প্রশাসনে শামীম ওসমানের কর্তৃত্ব খর্ব করা হয়েছিল। এর পর হতাশ শামীম ওসমান তার অনুসারী নেতাকর্মীদের বলেছিলেন তিনি কেন্দ্রে রাজনীতি করবেন। এখনকি কেন্দ্রেও তার যাওয়া অনিশ্চিত হয়ে পরেছে নাকি। এমনই প্রশ্ন ঘুরপাক খাচ্ছে শামীম ওসমানের অনুসারী নেতাকর্মীসহ সাধারন মানুষের মাঝে।
দিন যত গড়াচ্ছে নিজের রাজনৈতিক ভবিষৎ নিয়ে শঙ্কা বাড়ছে শামীম ওসমানের। তার অতীত কর্মকান্ড ও বর্তমান কর্মকান্ড বিশ্লেষন করে এমনটাই মনে করছেন রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা। হতাশ হয়ে পরছেন শামীম ওসমান। রাজনৈতিক প্রতিপক্ষদের সাথে কুলিয়ে উঠতে ব্যর্থ হয়ে দোর্দন্ড প্রতাপশালী এই রাজনীতিক এখন শঙ্কায় কি করবেন ভবিষতে। তার সাম্প্রতিক কর্মকান্ডে এমনটাই ফুটে উঠছে বলে মনে করছেন রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা।
গত কয়েকদিন আগে রাজধানীর সোহরাওয়ার্দী উদ্দানে দেয়া প্রধানমন্ত্রীকে গণসংবর্ধনা অনুষ্ঠানে যাননি তিনি। শামীম ওসমান না যাওয়াতে সেই সবংর্ধনা অনুষ্ঠানে যাননি তার অনুসারী কোন নেতাকর্মী। তার অনুসারী কয়েকজন নেতা গণমাধ্যমে জানিয়েছেন, শামীম ওসমানকে দাওয়াত দেয়া হয়নি।
অথচ অতীতে দেখা গেছে প্রধানমন্ত্রী বা দলের বিভিন্ন সভা সমাবেশে শামীম ওসমান তার বিশাল অনুসারী নিয়ে সমাবেশস্থলে হাজির হতেন। এছাড়াও সাম্প্রতিক সময়ে তার নির্বাচনি এলাকায় বিভিন্ন নির্বাচনি জনসভা করে বেড়াচ্ছেন তিনি। এসব সমাবেশে পূর্বের শামীম ওসমানকে দেখা যাচ্ছে না বলে মত দিয়েছেন তারই অনুসারীরা। তারা বলছেন, বদলে গেছেন শামীম ওসমান। এসব জনসভায় শামীম ওসমানের বক্তব্যে হতাশার সুরই বের হচ্ছে। তিনি এসব সভায় বলে বেড়াচ্ছেন, তার স্বিদ্ধান্ত নিবেন তৃনমূল আওয়ামীলীগের নেতাকর্মীরা। আর এতে করেই তার অনুসারী ও রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের মনে বেধেঁছে নানা প্রশ্ন। তাহলে কি শামীম ওসমানের রাজনৈতিক সময় শেষ হয়ে আসছে।
এর কারণ হিসেবে রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা বলছেন, এবছনের জানুয়ারীতে হকার ইস্যূতে সিটি মেয়র ডা. সেলিনা হায়াত আইভীর সাথে সংঘর্ষের পর কেন্দ্রের নির্দেশে নারায়ণগঞ্জের প্রশাসনে শামীম ওসমানের কর্তৃত্ব খর্ব করা হয়েছে। আওয়ামীলীগ সভানেত্রীর নির্দেশে প্রশাসনকে সরকারের উচ্চ পর্যায় থেকে এমন বার্তা দেওয়া হয়েছে বলে জানা গেছে।
নারায়ণগঞ্জের এসপি এবং জেলা প্রশাসককে স্পষ্ট ভাষায় জানিয়ে দেওয়া হয়েছে, ‘শামীম কিছু বললেই, তা পালন করা যাবে না, দেখতে হবে, ওই নির্দেশ যৌক্তিক কিনা।’
সংশ্লিষ্ট সূত্রমতে, উন্নয়নমূলক কাজে নারায়ণগঞ্জের মেয়র সেলিনা হায়াত আইভিকে গুরুত্ব দেওয়ারও নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে দল থেকে।
আগেই আওয়ামীলীগের নারায়ণগঞ্জ জেলা কমিটিকে শামীম ওসমান মুক্ত করা হয়েছিল। স্থানীয় যুবলীগ, ছাত্রলীগসহ অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠন গুলোতেও শামীম ওসমানের পছন্দের লোকজনকে বাদ দেওয়া হয়েছে। এসব কোনো কমিটিতেই শামীম ওসমানের দেওয়া তালিকা অনুযায়ী করা হয়নি, এক সময় যেটা করা ছিল বাধ্যতামূলক।
ডবভিন্ন গণমাধ্যম এর আগে খবর দিয়েছিল, ক্রমাগতভাবে নারায়ণগঞ্জে শামীম ওসমানকে এক ঘরে করা হয়েছে। হতাশ শামীম ওসমানও এর আগে, তাঁর বিশ্বস্ত সঙ্গীদের বলেছেন, ‘আমার প্রয়োজন ফুরায় গেছে। এবারই শেষ নির্বাচন। এরপর কেন্দ্রে রাজনীতি করবো।
এখন দেখা যাচ্ছে কেন্দ্র থেকে বিমুখ করা হয়েছে শামীম ওসমানকে। যার সর্বশেষ দেখা গেল তিনি দলীয় প্রধানের গণসংবর্ধনা অনুষ্ঠানেই যাননি। শেষ পর্যন্ত শামীম ওসমান কি কি করেন তাই দেখার বিষয়।

স্পন্সরেড আর্টিকেলঃ