আজ বৃহস্পতিবার, ১৪ই চৈত্র, ১৪৩০ বঙ্গাব্দ, ২৮শে মার্চ, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ

‘ শক্ত হাতে নিয়ন্ত্রণ করেছি’

সংবাদচর্চা রিপোর্ট:

রূপগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি, বস্ত্র ও পাটমন্ত্রী গোলাম দস্তগীর গাজী বীর প্রতীক বলেছেন, বিদ্যালয়ের ব্যাংক একাউন্টে টাকা ছিলো না। আমি যখন প্রথম এমপি নির্বাচিত হয়ে আসি তখন এখানে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের অবস্থা ছিলো করুণ। শিক্ষকদের বেতন বকেয়া ছিলো। বিদ্যালয়ের অবস্থা ছিলো বিশৃঙ্খল । আমি ১৪ বছর যাবত এমপি। আমি শক্ত হাতে এসব নিয়ন্ত্রণ করেছি। প্রত্যেকটা শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে নতুন ভবন দিয়েছি। বহু শিক্ষা প্রতিষ্ঠান এমপিওভুক্ত করেছি। মুড়াপাড়া কলেজ এবং পাইলট স্কুল সরকারীকরণ করেছি। শিক্ষকদের নিয়মিত বেতন প্রদানের ব্যবস্থা করেছি । অনেক শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের এখন নিজস্ব ফান্ড হয়েছে। নিজের টাকা দিয়ে অনেক স্কুলের দেওয়াল ও বিল্ডিং করে দিয়েছি। প্রত্যেকট শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে আমি অনুদান দিয়েছি। অতীতের সরকার প্রধানরা শেখ হাসিনার মতো এতো উন্নয়ন করেনি। বিএনপি নেতারা শুধু লুটপাট করে গেছে। এতিমের টাকা আত্মসাৎ করে খালেদা জিয়া জেলখাটছে। বিরোধী দল এখন মিথ্যা কথা বলছে। তাদের কথা কেউ বিশ^াস করবেন না।
শিক্ষক ও অভিভাবকদের উদ্দেশে মন্ত্রী বলেন, রূপগঞ্জে শিক্ষা ব্যবস্থা তত ভালো ছিলো না। অনেক বাল্যবিবাহ ছিলো। জননেত্রী শেখ হাসিনা আপনাদেরকে নতুন ভবন দিয়েছে,বেতন বাড়ায়ছে। এখন আপনাদের দায়িত্ব পালন করুন। ভালো রেজাল্ট করতে না পারলে ঢাকায় ভর্তি হতে পারবে না। ছেলে-মেয়েদের প্রতি খেয়াল রাখবেন। লেখাপড়ার পাশাপাশি খেলাধুলায় মনোযোগ দেবেন।
গতকাল ১১ সেপ্টেম্বর সকালে মুড়াপাড়ায় ৪৯ তম জাতীয় স্কুল, মাদরাসা ও কারিগরী শিক্ষা ক্রীড়া সমিতির গ্রীষ্মকালীন ক্রীড়া প্রতিযোগীতা ও বঙ্গবন্ধু সৃজনশীল মেধা অন্বেষণ প্রতিযোগিতায় বিজয়ীদের মধ্যে পুরস্কার বিতরণ অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।

রূপগঞ্জ উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আলহাজ¦ শাহ্জাহান ভুঁইয়া, মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান সৈয়দা ফেরদৌসী আলম নীলা, উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার রফিক উদ্দিন আহাম্মদ, উপজেলা মাধ্যমিক সহকারী শিক্ষা অফিসার মাসুদুর রহমান, উপজেলা একাডেমিক সুপারভাইজার আশরাফুল আলম সিদ্দিকী, কাঞ্চন পৌরসভা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক গোলাম রসুল কলি, উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষক সমিতির সভাপতি ড. আব্দুল আউয়াল মোল্লা, কাঞ্চন সলিমদ্দিন চৌধুরী কলেজের অধ্যক্ষ জাহাঙ্গীর মালুম, রূপগঞ্জ উপজেলা প্রেসক্লাবের সভাপতি এম এ মোমেন, সাধারণ সম্পাদক মকবুল হোসেন উপস্থিত ছিলেন।
প্রতিযোগীতায় ভাষা ও সাহিত্য বিষয়ে নুসরাত আক্তার, ওসমান চৌধুরী, নোসিন, দৈনন্দিন বিজ্ঞানে জান্নাতুল মাওয়া মম, তাসনিম ইফাত ইতু, এনামুল হোসেন, গণিত ও কম্পিউটারে ইশরাত জাহান, তন্ময় ইসলাম, ইব্রাহীম হাসান, বাংলাদেশ স্টাডিজে সীমান্ত দাস, ফাতেমা রহমান, মেহেদী হাসান বিজয়ী হয়।

স্পন্সরেড আর্টিকেলঃ