নিজস্ব প্রতিবেদক
আসন্ন রূপগঞ্জ ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে ৭নং ওয়ার্ডের মেম্বার পদপ্রার্থী, রূপগঞ্জ ইউনিয়নের ৭নং ওয়ার্ড আওয়ামীলীগ নেতা ও গত ১৬ বছর ধরে নিয়োজিত ৭নং ওয়ার্ডের বর্তমান ইউপি সদস্য আব্দুল জলিল মিয়া বলেছেন, আওয়ামীলীগ সরকারের আমলে এলাকার ব্যাপক উন্নয়ন হয়েছে। বিশেষ করে রূপগঞ্জ ইউনিয়নের ৭নং ওয়ার্ডের ব্যাপক উন্নয়ন চোখে পড়ার মতো। এবারের নির্বাচনে তিনি জয়ী হলে অসম্পূর্ন সকল কাজ সম্পন্ন করে আদর্শ ওয়ার্ড হিসেবে গড়ে তুলতে চান। আসন্ন নির্বাচনে আব্দুল জলিল মিয়া ইউপি সদস্য পদে হ্যাট্টিক করার জন্য দিন-রাত নির্বাচনী প্রচার-প্রচারণা চালিয়ে যাচ্ছেন।
মেম্বার পদপ্রার্থী আব্দুল জলিল মিয়া আরো জানান, শতভাগ বিদুৎ, গ্যাস ও পানি সরবরাহ করে সন্ত্রাস ও মাদকমুক্ত গ্রামে উন্নীত করার প্রত্যয় নিয়ে তিনি এবারের নির্বাচনে অংশ গ্রহণ করেছেন। হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের অন্যান্য বছরের ন্যায় এবারো সকল কাজে সার্বিক সহযোগীতায় সাধারণ মানুষের সকল নাগরিক সুবিধা দিতে তিনি সর্বদা নিজেকে নিয়োজিত ছিলেন এবং ভবিষতে থাকবেন। গ্রাম্য সালিশে ন্যায় বিচার প্রতিষ্ঠা করবেন। রাস্তাঘাট সংষ্কার ও নির্মাণ করে সাধারণ মানুষের সার্বিক সুবিধা প্রতিষ্ঠা করবেন। গরিব ও মেধাবী শিক্ষার্থীদের লেখাপড়ায় অগ্রণী ভুমিকা রাখবেন স্কুলগামী শিশুদের লেখাপড়ায় উৎসাহিত করবেন । বিদ্যালয় থেকে ঝরে পড়া শিক্ষার্থীর সংখ্যা রোধ করবেন। এলাকার শিক্ষার হার বাড়ানোর উদ্দেশ্য তার উদ্যোগে ছোটভাই বাচ্চু মিয়া হলি চাইল্ড স্কুল প্রতিষ্ঠা করেন। বর্তমানে তিনি ঐ স্কুল পরিচালনা কমিটির সভাপতি। মাদক, সন্ত্রাস, রাহাজানী নিমূর্লে ইতিমধ্যেই তিনি বেশ উদ্যোগ গ্রহণ করেছেন। অসম্পূর্ন সকল কাজ সম্পন্ন করে আদর্শ ওয়ার্ড হিসেবে গড়ে তুলতে চান আব্দুল জলিল মিয়া। তিনি ২০১৫ সালে মেম্বার হিসেবে জয় লাভ করে নারয়ণগঞ্জ ১ (রূপগঞ্জ) আসনের সংসদ সদস্য ও বর্তমান মাননীয় বস্ত্র ও পাটমন্ত্রী গোলাম দস্তগীর গাজী বীর প্রতিকের হাত ধরে আওয়ামীলীগে যোগদান করেন।
রূপগঞ্জ ইউনিয়নের মুশুরী, টানমুশুরী, বৈরাগবাড়ি, চোরাবো, ছৈয়ালবাড়ি, কাজুরবাড়ি, পুরানবাড়ি, তেলিপাড়া, ফজুরবাড়ি সহ আশপাশের এলাকা নিয়ে ৭নং ওয়ার্ড গঠিত। গত ১৬ বছরে যত উন্নয়ন হয়েছে তার মধ্যে শীতলক্ষ্যা নদীর পাড় থেকে ওমর আলী বাড়ি পর্যন্ত সড়ক পাকাকরণ, রূপগঞ্জ- ইউসুফগঞ্জ সড়ক থেকে বৈরাগবাড়ি পর্যন্ত সড়ক পাকাকরণ, একই সড়ক থেকে তেলিপাড়া পর্যন্ত সড়ক পাকাকরণ, মুশুরী মসজিদ পর্যন্ত সড়ক পাকাকরণ, আরাফত আলী সাহেবের বাড়ি পর্যন্ত সড়ক পাকাকরণ, ভিংরাবো মর্নিংসান স্কুল সড়ক পাকাকরণ, সুরুজ মিয়ার বাড়ি পর্যন্ত সড়ক পাকাকরণ, গোলবক্স সাহেবের বাড়ি পর্যন্ত সড়ক পাকাকরণ, শুক্কুল আলী সাহেবের বাড়ি পর্যন্ত সড়ক পাকাকরণ, মনোয়ারা নেত্রীর বাড়ি পর্যন্ত ইটের সড়ক সলিংকরা, বিমলার বাড়ি পর্যন্ত সড়কের ইটের সলিং, সোনামিয়ার বাড়ি থেকে দয়ালের বাড়ি পর্যন্ত সড়ক পাকাকরণ। এছাড়া ভিংরাব ও হাসপাতাল সড়কে কালভার্ট নির্মান করা হয়েছে।
মুশুরী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটি সাবেক সভাপতি আব্দুল জলিল মিয়া স্কুলের উন্নয়ন কাজে অগ্রণী ভূমিকা রাখেন। তার মধ্যে নতুন টিন শেড ভবন নির্মাণ, মাঠ ভরাট, বৃক্ষ রোপন ও গেট সহ সীমানা প্রাচীর নির্মান অন্যতম। এছাড়া এলাকার মসজিদ, মাদরাসা, এতিমখানা ও মন্দিরে বিভিন্ন সময়ে সহযোগীতা করে আসছেন। তিনি মুশুরী পশ্চিমপাড়া বাইতুননূর জামে মসজিদের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি। আব্দুল জলিল মিয়া শিক্ষা গ্রহনের প্রতি খুবই আন্তরিক। সতভাগ শিক্ষার হার শতভাগ করার জন্য তিনি কাজ করে যাচ্ছেন। সেই প্রত্যয় নিয়ে তিনি সন্তানদের ও উচ্চ শিক্ষায় শিক্ষিত করে তুলছেন। তার বড় মেয়ে এম.এ, দ্বিতীয় মেয়ে বি.এ, তৃতীয় মেয়ে বি.এ, চতুর্থ মেয়ে দশম শ্রেণিতে ও ছোট ছেলে সপ্তম শ্রেণিতে লেখাপড়া পড়ছে। তার সন্তানদের মতো এলাকার সকল শিশু-কিশোরদেরে শিক্ষা গ্রহনের জন্য উৎসাহিত করছেন।
এলাকার পানি নিষ্কাশনের ড্রেন নির্মাণ করা হয়েছে। ভবিষ্যতে প্রয়োজনীয় সকল স্থানে সুষ্ঠু পানি নিষ্কাশনের জন্য ড্রেন নির্মাণ করা হবে। মনির সাহেবের বাড়ি থেকে মোতালিব মাষ্টারের বাড়ি পর্যন্ত সড়কে ইটের সলিং করা হয়েছে। দুলালের বাড়ি থেকে মালেক মাষ্টারের বাড়ি পর্যন্ত সড়কে ইটের সলিং করা হয়েছে। পুড়ানবাড়ির পানির সমস্যা অগ্রাধিকার ভিত্তিতে দ্রুত সমাধান করা হবে।
এলাকাবাসী জানায়, আব্দুল জলিল মিয়া একজন স্ট্যাম্প ভেন্ডার। তিনি ব্যবসায়ীকভাবে প্রতিষ্ঠিত। সেই কারনে সরকারি কোন কাজ কিংবা কোন প্রকল্পের অর্থের চাহিদা তার থাকবে না। নিজেই অর্থিকভাবে প্রতিষ্ঠিত। গ্রাম্য সালিশে তার ভূমিকা অত্যান্ত বলিষ্ঠ। সুষ্ঠু ও ন্যায়সালিশিতে তার বেশ সুনাম রয়েছে। এছাড়া মাদকের গ্রাসে যুবসমাজ তথা স্কুল কলেজের শিক্ষার্থীরা ধংসের দিকে এগিয়ে যাবে এটাইতো স্বাভাবিক। আশা করি আব্দুল জলিল মিয়া নির্বাচিত হয়ে এই এলাকাকে শতভাগ মাদক মুক্ত করতে সার্বিক সহযোগিতা করবেন বলে ভোটাররা মনে করছেন।
মুশুরী গ্রামের আওয়ামীলীগের কর্মীরা জানান, আব্দুল জলিল মিয়া বর্তমানে আওয়ামীলীগের রাজনীতির সঙ্গে জড়িত। তিনি রাজনৈতিক সকল কার্যক্রম যথার্থভাবে পালন করে আসছেন।
এছাড়া কবরস্থানের সড়ক নির্মাণ ও মাটি ভরাট, সৌরবিদুতেৎ জন্য সোল্যার প¬্যান্ট স্থাপন ও সর্বসাধারণের পানি সরবরাহের জন্য এলাকায় ১৩টি সাবমারসিবল স্থাপন করা হয়েছে। মসজিদ, মাদরাসা, এতিমখানার উন্নয়ন ও বয়স্ক ভাতা, বিধবা ভাতা, ন্যায্য মূল্যের কার্ড বিতরণ সহ সকল কার্যক্রম ৭নং ওয়ার্ডের যথারীতি যথানিয়মে বাস্তবায়ন করা হয়েছে। এ সকল কার্যক্রমে মাননীয় বস্ত্র ও পাটমন্ত্রী গোলাম দস্তগীর গাজী বীর প্রতিক মহোদয়, উপজেলা নির্বাহী অফিসার, উপজেলা সমাজসেবা অফিসার সহ সংশি¬ষ্ট কর্তৃপক্ষের সার্বিক সহযোগিতায় ৭নং ওয়ার্ডের উন্নয়ন কাজ এগিয়ে চলছে।
আসন্ন রূপগঞ্জ ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে রূপগঞ্জ ইউনিয়নের ৭নং ওয়ার্ডের মেম্বার পদপ্রার্থী আব্দুল জলিল মিয়া সকলের দোয়া ও তার মোরগ প্রতীকে ভোট চেয়েছেন।