আজ বৃহস্পতিবার, ১৯শে বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ২রা মে, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ

রূপগঞ্জে ৩ তলা ভবনে বিস্ফোরণে নিহত-৩

সংবাদচর্চা রিপোর্ট: রূপগঞ্জে তিন তলা ভবনের নীচ তলায় আকস্মিক বিস্ফোরণে ২ জন মারা গেছে। আহত ৭ জনের মধ্যে ৪ জনকে ঢাকা মেডিক্যাল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। গতকাল সোমবার গভীর রাতে রূপগঞ্জ উপজেলার সাওঘাট চুঙ্গিরপাড় এলাকায় এ আকস্মিক বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে। ভূলতা পুলিশ ফাঁড়ি ও কাঞ্চন ফায়ার সার্ভিসের একটি টিম ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন।

জানা যায়, রূপগঞ্জ উপজেলার সাওঘাট এলাকার একটি ৩ তলা ভবনের নীচ তলায় পার্শ্ববর্তী নেক্সট এক্সোসরিজ লিমিটেডের শ্রমিকরা ভাড়া নিয়ে থাকত। বাড়িটির মালিক এডভোকেট রাবেয়া আক্তার মিলি। গতকাল রাত ৩ টায় বিকট শব্দে ভবনের নীচতলার দেয়াল খসে পড়ে ঘুমন্ত শ্রমিকদের উপর। বিকট শব্দে আশপাশ এলাকায় আতংক ছড়িয়ে পড়ে। ভবনের উপরের ২য় ও ৩য় তলা অক্ষত থাকলেও নীচতলার দেয়াল সম্পূর্ণ খসে পড়ে। আশপাশের ১শ ফুট দুরেও দেয়ালের টুকরো পড়ে থাকতে দেখা গেছে। এ ঘটনায় ২জনের শরীর ঝলসে গিয়ে প্রচুর রক্তক্ষরণ শুরু হয়। স্থানীয়রা তাদের উদ্ধার করে ঢাকা মেডিক্যালে পাঠালে পথেই তাদের মৃত্যু হয়। নিহতরা হলেন শামীম (৩০)। সে মেহেরপুর জেলার কুমারপুর গ্রামের দুদু মিয়ার ছেলে। স্থানীয় একটি পোষাক কারখানায় প্রিন্টিং অপারেটর হিসেবে কাজ করতেন তিনি। হেলাল বিশ্বাস রাকিব(২৬) সে ঝালকাঠি জেলার রহিম বিশ্বাসের ছেলে।

তিনিও একই কারখানায় কোয়ালিটি কন্ট্রোলার হিসেবে কাজ করতেন। এ ঘটনায় আহত হয়েছেন ৭জন। তাদের মধ্যে তরিক নেয়ামত,আরিফ হোসেন, লিয়াকত হোসেন ও মোহাম্মদ আলীকে ঢাকা মেডিক্যাল হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়েছে। তবে তরিক নেয়ামত, আরিফ হোসেন ও লিয়াকত হোসেনের অবস্থা গুরুতর বলে মুঠো ফোনে জানিয়েছেন তাদের সাথে থাকা সহকর্মী ইমরান।বাকি ৩ জন সোহরাব হোসেনের ছেলে আনোয়ার হোসেন, সাহাবুদ্দিনের ছেলে ফারুক হোসেন ও শাহালমের ছেলে আরিফকে স্থানীয় হাসপাতালে চিকিৎসা শেষে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য পুলিশ হেফাজতে নেয়া হয়েছে।উল্লেখ্য গত আড়াই বছর আগে সাওঘাট এলাকার নুরুজামানের বাড়িতে একই কায়দায় বিস্ফোরনের ঘটনা ঘটেছে। কিন্তু সেই ঘটনাকে আড়াল করায় আবারও ঘটে গেল এত বড় ধরনের বিস্ফোরনের ঘটনা।

এ ভবনের ২য় তলার ভাড়াটিয়া আব্দুল্লাহ আল মামুন জানান, এ রকম আকস্মিক বিস্ফোরণ গ্যাসের থেকে হয়নাই। এর পেছনে অন্য কোন কারন থাকতে পারে। স্থানীয়রাও বলছে একই কথা। কোন আগুন ছাড়াই শরীর ঝলসে যাওয়ার বিষয়টি রহস্য জনক বলে মনে করছেন অনেকেই।

এ ব্যাপারে বাড়ির মালিক রাবেয়া আক্তার মিলি ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বলেন, আমি নরসিংদী ছিলাম। খবর পেয়ে খুব ভোরে ছুটে এসে দেখি এ অবস্থা। তিনি আরও বলেন, আমার রাইজার অবৈধ হলেও আমি টাকা দিয়ে রেখেছি বৈধ করার জন্য। তবে গ্যাস থেকে বিস্ফোরণের ঘটনা তিনি মানতে নারাজ।

এ ব্যাপারে ভ’লতা ফাড়ির ইনচার্জ রফিকুল হক জানান, গ্যাসের রাইজার থেকে লিকেজ হয়ে এ ঘটনা ঘটে থাকতে পারে।

স্পন্সরেড আর্টিকেলঃ