আজ শুক্রবার, ১৩ই বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ২৬শে এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ

রূপগঞ্জে মাঠ কাঁপাতে ব্যর্থ বিএনপি

রূপগঞ্জ প্রতিনিধি: নারায়ণগঞ্জের ১ আসন রূপগঞ্জ উপজেলা ঢাকার নিকটবর্তী একটি শিল্প নগরী। স্বাধীনতার পর থেকে এখন পর্যন্ত এ আসনটি একটি অতি গুরুত্বপূর্ণ আসন হিসেবে পরিচিত। এ আসনটি সাবেক যোগাযোগ, স্বরাষ্ট্র ও বস্ত্রমন্ত্রী আব্দুল মতিন চৌধুরী’র আসন হিসেবে সুপরিচিত। তিনি ১৯৭৯ সাল থেকে চার বার সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়েছিলেন আসনটিতে। তখন এ আসনটি বিএনপি’র একটি শক্তিশালী আসন হিসেবেই ছিল। কিন্তু প্রয়াত মন্ত্রী আব্দুল মতিন চৌধুরী মারা যাবার পর বিএনপি আজ পর্যন্ত এ আসনটিতে ঘুরে দাঁড়াতে পারেনি।

বর্তমানে বিএনপি থেকে বিজেএমই এর সাবেক সভাপতি কাজী মনিরুজ্জামান, বি আর টি এর সাবেক চেয়ারম্যান এড. তৈমুর আলম খন্দকার এবং বিশিষ্ট শিল্পপতি ও কেন্দ্রীয় যুবদলের সহ অর্থ বিষয়ক সম্পাদক দিপু ভূঁইয়া এই ৩ জনেই এই আসনটিতে পেতে মরিয়া হয়ে উঠেছেন। কিন্তু দলীয়কোন্দল, নেতাকর্মীদের অবমূল্যায়ন ও সঠিক নেতৃত্বের অভাবে এই আসনটিতে বিএনপি ঘুরে দাঁড়াতে পারছেনা।

২০০৮ সালের জাতীয় নির্বাচনে এড. তৈমুর আলম খন্দকার বিএনপির পক্ষ থেকে নমিনেশন পেলেও দুর্নীতির মামলায় গ্রেফতার হওয়ার পর কাজী মনিরুজ্জামান কে নির্বাচনে দাঁড় করানো হয়। কিন্তু আওয়ামীলীগ প্রার্থী গাজী গোলাম দস্তগীর এর কাছে লক্ষাধিক ভোটের ব্যবধানে পরাজিত হন কাজী মনিরুজ্জামান। সেই থেকে আজ পর্যন্ত সুবিধা করতে পারেননি কাজী মনিরুজ্জামান।

বিগত সময়ে এড. তৈমুর আলম খন্দকার বিগত সময়ে সিটি কর্পোরেশন নির্বাচন করলেও এখন তিনি রূপগঞ্জ আসনে মনোনয়ন প্রত্যাশী। পাশাপাশি বিশিষ্ট শিল্পপতি দিপু ভূঁইয়া এ আসনটি পেতে মরিয়া হয়ে উঠেছেন।

এদিকে নেতাকর্মীরা জানায়, মূলত দলীয় কোন্দল ও সঠিক নেতৃত্বের অভাবেই বিএনপি’র কর্মসূচীতে ভাটা পরেছে। পর্যাপ্ত নেতাকর্মীদের উপস্থিত না থাকায় দলের কোন কাজই সফল হচ্ছেনা। নাম মাত্র প্রেস ব্রিফিং, ব্যনার পোস্টারের মাধ্যমেই বিএনপির কর্মসূচী আবদ্ধ। সর্বস্তরের নেতাকর্মীরা সক্রিয় অংশগ্রহণ না থাকায় মাঠ কাঁপাতে ব্যর্থ রূপগঞ্জ উপজেলা বিএনপি।

 

স্পন্সরেড আর্টিকেলঃ