আজ শুক্রবার, ৬ই বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১৯শে এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ

রূপগঞ্জে গৃহহীনদের জমি ও ঘর প্রদান শুরু

সংবাদচর্চা রিপোর্ট: বস্ত্র ও পাটমন্ত্রী গোলাম দস্তগীর গাজী বীর প্রতীকের নিজ নির্বাচনী এলাকা রূপগঞ্জে মুজিববর্ষ উপলক্ষে ভূমিহীন ও গৃহহীনদের মাঝে বিনামূল্যে জমি ও ঘর প্রদান শুরু হয়েছে। শনিবার ২৩ জানুয়ারি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে গণভবন থেকে ঘর ও জমির মালিকানা কাগজ হস্তান্তর উদ্বোধন ঘোষণা করেন। পরে রূপগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি, বস্ত্র ও পাটমন্ত্রী গোলাম দস্তগীর গাজী বীর প্রতীক উপকারভোগীদের নিকট চাবিও কবুলিয়ত সনদ হস্তান্তর করেন। এসময় উপস্থিত ছিলেন, ঢাকা বিভাগীয় ক‌মিশনার মোহাম্মদ খ‌লিলুর রহমান, নারায়ণগঞ্জ জেলা প্রশাসক মোস্তাইন বিল্লাহ, রূপগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শাহ্ নুসরাত জাহান, রূপগঞ্জ উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আলহাজ্ব শাহজাহান ভুঁইয়া ,ভাইস চেয়ারম্যান সোহেল আহমেদ,মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান সৈয়দা ফেরদৌসী আলম নীলা, উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) আফিফা খাঁন, মুড়াপাড়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আলহাজ্ব তোফায়েল আহমেদ আলমাছ সহ অনেকে।

রূপগঞ্জ উপজেলা প্রশাসন জানিয়েছে, আশ্রয়ণ প্রকল্প-২ এর আওতায় প্রথম ধাপে রূপগঞ্জে ৪৯৮ টি ঘর নির্মাণ হচ্ছে । তার মধ্যে ২০০ টি ঘরের নির্মাণ কাজ প্রায় সমাপ্ত হয়েছে । ১৫০ জন উপকারভোগীর মাঝে জমির মালিকানা হস্তান্তর করা হয়েছে। মুড়াপাড়ায় ২০ জন উপকারভোগীকে চাবি ও কবুলিয়ত সনদ প্রদান করা হয়েছে। তারা আজ থেকে ঘরে বসবাস করতে পারবে। পর্যায়ক্রমে অন্যদের চাবি ও কবুলিয়ত সনদ প্রদান করা হবে।

বস্ত্র ও পাটমন্ত্রী গোলাম দস্তগীর গাজী বীর প্রতীক জানিয়েছেন , বঙ্গবন্ধুর কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা উপকারভোগীদের প্রত্যেককে প্রায় ১০ লাখ টাকার সম্পদ দিয়েছেন। তিনি ভূমিহীন ও গৃহহীনদের মানসম্মতভাবে বাঁচার অধিকার দিয়েছেন। তার জন্য রূপগঞ্জবাসীর পক্ষ থেকে প্রধানমন্ত্রীকে ধন্যবাদ জানাই। ভূমি-গৃহহীন পরিবার ২ শতাংশ করে জমি ও টিনশেড ঘর পেয়েছে। টিনশেড গৃহে রয়েছে দু’টি শয়ন কক্ষ, একটি রান্না ঘর, সংযুক্ত বাথরুম ও গোসলখানা। সামনে বারান্দা ।

মন্ত্রী বলেন, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা প্রথম পর্যায়ে নারায়ণগঞ্জ জেলার মধ্যে আমার নির্বাচনী এলাকায় সবচেয়ে বেশি ঘর বরাদ্দ দিয়েছেন। বঙ্গবন্ধু সারাজীবন দুঃখী মানুষের কল্যাণে কাজ করে গেছেন। তার কন্যা শেখ হাসিনা বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবর্ষ উপলক্ষে ৬৯ হাজার ৯০৪ টি গৃহহীন পরিবারকে ঘর দিয়ে প্রমাণ করলেন তিনি যোগ্য পিতার যোগ্য কন্যা। এ বাংলা তার নেতৃত্বেই বদলে যাচ্ছে। তিনি দুঃখী মানুষের মুখে হাসি ফুটাচ্ছেন। বঙ্গবন্ধু উপকারভোগীদের হৃদয়ে বেচে থাকবেন।

গোলাম দস্তগীর গাজী বলেন, প্রধানমন্ত্রী মুজিববর্ষ উপলক্ষে ভূমিহীনদের জন্য একই সময়ে এত বিপুল পরিমাণ ঘর প্রদান সারা পৃথিবীতে নতুন রেকর্ড সৃষ্টি করেছে। সারাদেশে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর উপহার এই ঘরগুলো উন্নয়নের মডেল হিসেবে বিবেচিত হবে। বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নময় বাংলাদেশ বিনির্মাণের পথে এটি একটি দৃঢ় পদক্ষেপ।

স্পন্সরেড আর্টিকেলঃ