আজ শুক্রবার, ১৩ই বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ২৬শে এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ

রাজাকারপুত্রদের অপসারণ চায় মন্ত্রী-মেয়র

নবকুমার:

বাংলাদেশের মহান স্বাধীনতা যুদ্ধে বিরোধীতাকারী রাজাকার আলবদর আলশামস বাহিনীর সদস্যদের বিরুদ্ধে পুনরায় গর্জে উঠেছে নারায়ণগঞ্জ আওয়ামী লীগের তিন শীর্ষ নেতা। তারা হলেন নারায়ণগঞ্জ ১ আসনের সংসদ সদস্য বস্ত্র ও পাট মন্ত্রী গোলাম দস্তগীর গাজী বীর প্রতীক। নারায়ণগঞ্জ সিটি কর্পোরেশনের মেয়র ডাক্তার সেলিনা হায়াত আইভী , মহানগর আওয়ামীলীগের সভাপতি ও জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আনোয়ার হোসেন। তারা নারায়ণগঞ্জের প্রতিষ্ঠিত রাজাকার ও তাদের সন্তানদের বিচার দাবি করেছেন। জানা গেছে  নারায়ণগঞ্জের দুই জন রাজাকার পুত্র গুরুপূর্ণ পদে রয়েছে। তারা হলেন বন্দরের ধামগড় ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মাকসুদ এবং নারায়ণগঞ্জ চেম্বার অব কর্মাসের প্রেসিডেন্ট  খালেদ হায়দার খান কাজল । ঐ  দুই রাজাকার পুত্রকে তাদের পদ থেকে অপসারণ চায় গাজী -আইভী -আনোয়ার। পাশাপাশি নারায়ণগঞ্জে যারা রাজাকার পুত্রদের প্রতিষ্ঠিত করছে তাদেরও বিচার চান তারা। গতকাল (১৬ ডিসেম্বর) বিজয় দিবস উপলক্ষে আলোচনা সভায় গোলাম দস্তগীর গাজী বলেন, স্বাধীনতা বিরোধীরা লুটপাট করে বড় বড় জায়গায় চলে গেছে। লুটের টাকা দিয়ে ওদের ছেলে মেয়েদের মানুষ করেছে। আমরা মুক্তিযোদ্ধারা বিএনপি জামায়াতের হামলা মামলার শিকার হয়েছি। আমাদের ছেলে মেয়েদের মানুষ করতে পারি নাই।

তিনি বলেন, দেশ স্বাধীন করে কে আর ভোগ করে কে। বঙ্গবন্ধু সমগ্র বাঙালি জাতিকে ঐক্যবদ্ধ করেছিলো। বঙ্গবন্ধুকে হত্যার পর মুক্তিযুদ্ধের চেতনা কে ধ্বংস করার চেষ্টা করা হয়েছে।

আইভী বলেন, রাজাকারের ছেলে কিভাবে নারায়ণগঞ্জের চেম্বার অব কর্মাসের প্রেসিডেন্ট থাকে। প্রখ্যাত রাজাকার গোলাম রাব্বানী, তার ভাই চেঙ্গিস, তার ভাই বাদল অনেক মানুষকে হত্যা করেছে, মানুষের সম্পত্তি লুটপাট করেছে। এমনকি চেঙ্গিস যখন মারা যায় পাকিস্তানের পতাকা দিয়ে তাকে জানাজা দেয়া হয়েছিলো। সেই কুলাঙ্গারের সন্তানরা কীভাবে সরকারি প্রতিষ্ঠান রাইফেলস ক্লাবের মত জায়গায় সাধারণ সম্পাদক এবং ব্যবসায়ী সংগঠনগুলোর সভাপতি হয়? মুক্তিযুদ্ধকে সামনে রেখে তাদের পদায়ন করে যারা বড় বড় কথা বলে, যারা তাদের বানিয়েছে এই জনতার কাতারে এনে তাদেরও বিচার করা উচিৎ। যারা সংসদ সদস্যে তাদের ছত্রছায়ায় মাকসুদ চেয়ারম্যান রাজাকারের সন্তান হয়েও তাকে পাশ করানোর জন্য নৌকাকে ফেল করানো হয়। আমি চাই নারায়ণগঞ্জের এই রাজাকারের সন্তানকে সেখান থেকে নামানোর জন্য এই নারায়ণগঞ্জে দুর্বার আন্দোলন গড়ে তোলা হোক। আর এই রাজাকারদের দোসরদের যারা ছত্রছায়া দিবে তাদের বিরুদ্ধে আমরা ইনশাআল্লাহ্ আগামীতে ব্যবস্থা নিব।

আনোয়ার হোসেন বলেন,  রাজাকাররা যে বাংলাদেশ চায় নাই সেই বাংলাদেশেই আজকে তারা বড় বড় পদ-পদবি নিয়ে সমাজে, বিভিন্ন দলে, বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে বসে আছে। এসব রাজাকার ও তাদের সন্তানদের বয়কট করে সবাই মিলেই তাদের প্রতিহত করতে হবে। মুক্তিযুদ্ধের চেতনা বাস্তবায়নের জন্য শুধু আলোচনা না করে এদের প্রতিহত করতে হবে। বঙ্গবন্ধু যে আশা আকাঙ্খা নিয়ে বাংলাদেশকে স্বাধীন করেছিলো এই রাজাকার, আলবদর এবং মুক্তিযুদ্ধের পরাজিত শক্তিরাই দেশ যাতে এগোতে না পারে তার জন্য বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করেছিলো।

 

 

 

স্পন্সরেড আর্টিকেলঃ