আজ বৃহস্পতিবার, ১২ই বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ২৫শে এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ

রাজনীতি একটা কৌশল – শামীম ওসমান

নিজস্ব প্রতিবেদক

নারায়ণগঞ্জ-৪ আসনের সংসদ সদস্য শামীম ওসমান বলেছেন, দিপু-শামীম-বাদল-খোকন-চন্দন এই নামগুলোর মধ্যে পার্থক্য থাকলেও আত্মার মধ্যে কোনো পার্থক্য নেই। আমি বিশ্বাস করি, মৃত্যুর আগ পর্যন্ত এই আত্মার পার্থক্য হবে না। রোববার বিকেলে নারায়ণগঞ্জ আদালত পাড়ায় দিপু-পলু পরিষদের পূর্ণ প্যানেলের প্রার্থীতা প্রত্যাহারের পর দিপু-পলু সহ তাদের প্যানেলের প্রার্থীদের নিয়ে আদালত পাড়ায় প্রবেশ করেন তিনি। পরবর্তীতে মোহসীন-মাহবুবু প্যানেলের সাথে মিলিয়ে দেওয়ার সময় এসব কথা বলেন।

শামীম ওসমান আরও বলেন, আমরা রাজনীতি করতে আসছি। আমরা একটা পরিবার। রাজনীতি একটা কৌশল, এই কৌশলে অনেক সময় অনেক ধরণের কৌশল করতে হয়। অনেক সময় কে কোন স্টাইলে খেলে সেটা দেখার জন্য মাঠ ছাড়তে হয়। অনেক সময় যোগ্য লোক থাকতেও কৌশলের কারণে অনেক অযৌগ্য লোককে নির্বাচনে দিতে হয়। নির্বাচন একটা কৌশল, দলও একটা কৌশল। কিছু কিছু জায়গা কখনো কখনো গ্যাপ হয়, একটা বড় দলের মধ্যে সেটা হতেই পারে। এক পরিবারে তিনজনের তিন রকম মত থাকতেই পারে। আমাদের এই পরিবারকে এক থাকতে হবে একটা স্বার্থে। নিজের ব্যক্তি স্বার্থে নয়। নারায়ণগঞ্জবাসীর স্বার্থে।

তিনি দিপুকে নিজের ভাই সম্বোধন করে বলেন, দিপুর সাথে অন্যকারো সাথে কম্পিয়ার করতে হলে আমার সাথে করতে হবে। এটা জুনিয়রদের কাছে শিক্ষণীয় এই সেক্রিফাইস। কেউ যদি মনে করে খোকন সাহার সাথে, দিপুর সাথে আলাদা কথা বলে ভাগ করে ফেলবে, তাহলে সেটা ভুল। ভাগ হবে না। কেউ এমন আশা কইরেন না, আমরা ক্ষমতায় থাকলেও ভাগ হবে না, ক্ষমতায় না থাকলেও ভাগ হবে না। দিপুকে নিজের ভাই সম্বোধন করে শামীম ওসমান বলেন, দিপুকে দিয়েই এই বারটা শুরু করেছিলাম আমরা। এই আদালত পাড়া একটি পবিত্র জায়গা। এখান থেকে মানুষকে ন্যায় পাইয়ে দিতে হয়। সেখান থেকে আমরা বারের দায়িত্ব নিতে কখনো পেরেছি। কখনো পারি নাই। তবে, গত কয়েক বছর সবার ঐকান্তিক চেষ্টায় সেটা পেরে যাচ্ছি। সুন্দর একটি বার ভবন হচ্ছে। সেলিম ওসমানের সহযোগিতায় এটি হচ্ছে।

নারায়ণগঞ্জ জেলা আইনজীবী সমিতির নির্বাচন থেকে দীপু-পলু পরিষদের সরে দাঁড়ানোকে ‘স্যাক্রিফাইস’ উল্লেখ্য করে তিনি আরও বলেন, আমাদের স্যাক্রিফাইস করতে হবে। যেমনটি দীপু-পলু করেছে। তাদের এ স্যাক্রিফাইস-ফর দ্যা শেখ হাসিনা, ফর দ্যা পার্টি, ফর দ্যা নারায়ণগঞ্জ। ঢাকার থেকেও আমাকে ফোন করেছিলো। আমরা চাইলে কিছু পরিবর্তন করতে পারতাম। কিন্তু সময়টা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। সেটা করতে চাইলে হয়তো আমাদের বিপক্ষ শিবির সেই সুযোগ নিতেও পারে। দিপুর সাথে আমার অনেকবার কথা হয়েছে। সে আমাকে যেভাবে গাইড দিয়েছে, বলেছে, শামীম ভাই আপনি জলদি আসেন। আমি সেভাবেই করেছি।

এর আগে আদালত পাড়ায় আনিসুর রহমান দিপু ও হাবিব আল মুজাহিদ পলু প্যানেলের সকল প্রার্থী তাদের প্রার্থীতা প্রত্যাহার করেন। পরবর্তীতে শামীম ওসমান মুহাম্মদ মহসীন মিয়াকে দিপুর পা ধরে দোয়া চাওয়ান। আরও উপস্থিত ছিলেন, জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আবু হাসনাত শহীদ মো. বাদল, মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক অ্যাড. খোকন সাহা, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক শাহ্ নিজাম, পাবলিক প্রসিকিউটর ওয়াজেদ আলী খোকন, সোনারগাঁ আওয়ামী লীগের আহ্বায়ক সামসুল আলম ভূইয়া প্রমুখ।

আরকেএন/এসএএইচ

স্পন্সরেড আর্টিকেলঃ