আজ শনিবার, ৭ই বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ২০শে এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ

রাজনীতিতে ঝুঁকছে অনেকে, ভারি হচ্ছে দল !

রাজনৈতিক প্রতিবেদক:

রাজনীতিতে প্রতিনিয়ত নতুন নতুন মুখ যুক্ত হওয়ার মতো ঘটনা ঘটছে। ঘটছে দল ছুটের ঘটনা। দেশকে এগিয়ে নিয়ে যেতে রাজনৈতিক নেতাদের ভূমিকা অনেক বেশি ও গুরুত্ব বহন করছে। তাই রাজনীতিতে সক্রিয় হতে দেখা যাচ্ছে অনেককে।

ব্যবসায়ী, চাকুরীজীবী, মাষ্টার, আইনজীবী, ব্যাংকারসহ আবসরপ্রাপ্ত সরকারী বিভিন্ন দপ্তরের চাকুরীজীবীরা রাজনীতিতে ঝুঁকছেন। এতে রাজনীতিতে যুক্ত হচ্ছে যোগ্য লোকজন। এতে স্থানীয়ভাবে সাংগঠনিক কর্মকান্ড করতে পারছেন র্নিবিঘেœ।

তবে রাজনীতিতে যখন স্থানীয় ভূ-খেকু, সন্ত্রাসী, চাঁদাবাজ, বিভিন্ন মামলার আসামী, নির্যাতনকারীসহ সমাজের খারাপ প্রকৃতির লোকজন স্থানীয় প্রভাবশালী লোকজনের ছত্র ছায়ায় থেকে কোন না কোন ক্ষমতাসীন দলে ঢুকে পড়েন। তখন সে দলের প্রধানকে ঘিরে উঠে সমালোচনার ঝড়। এতে দলের অবস্থা দিন দিন খারাপ রোগা অবস্থায় চলে যায়। গোটা কয়েকজন খারাপ প্রকৃতির লোকজনের কারনে।

বদনাম বহন করতে হয় পুরো দলের। তবে এ বিষয়ে যে দল বেশি সচেতন সে দল তত বেশি এগুচ্ছে। নাম প্রকাশ না করার শর্তে একাধিক রাজনৈতিক ব্যক্তির সাথে কথা হলে তারা সংবাদচর্চাকে বলেন, আওয়ামী লীগের অবস্থা খুব বেশি ভাল ছিল না শেখ মুজিবুর রহমানের মৃত্যুর পরে। তৎকালীন সময় জাতীয় পার্টি ও বিএনপি বেশ ভাল অবস্থানে ছিল।

সংসদ নির্বাচনে জাতীয় পার্টি ও বিএনপি একাধিকবার ক্ষমতায় থাকলেও তারা দেশ ও তাদের স্ব স্ব দলকে সাংগঠনিকভাবে মজবুত করতে পারেন নি। নারায়ণগঞ্জের জালকুড়ি এলাকার মোবারক নামক এক প্রবীণ রাজনৈতিক ব্যক্তি সংবাদচর্চাকে বলেন, ঘর ঘোছাতে হলে ঘরের ঘরনী ভাল হতে হয়। প্রতিষ্ঠান চালাতে দক্ষ ও ভাল কর্মকর্তা-কর্মচারী ভাল নিয়োগ দিতে হয়। তেমনি দল সাজাতে দক্ষ, শিক্ষিত, ত্যাগী ও রাজনৈতিক সেবা প্রতিষ্ঠান ভেবে সে লক্ষ্যে কাজ করতে না পারলে পতন হতে সময় লাগে না।

একই এলাকার আফসারুল বলেন, আওয়ামী লীগের অবস্থা যখন ভাল ছিল না তখন দল গুছাতে তারা সময় নিয়েছে। দলে যখন ভাল শিক্ষিত, দক্ষ, ত্যাগী নেতাদের মুল্যায়ন করতে শুরু করেছে সে দল রাষ্ট্রিয় ক্ষমতায় যদিও আসতে সময় লেগেছে তারা কিন্তু এখন সবার উপরে চলে গেছে। তিনি বলেন, পিছনে থেকে সামনে আসতে দক্ষতার প্রয়োজন ও সঠিকস্থানে যোগ্যদের স্থান দিতে হয়।

ষাটোর্ধ আমানউল্লা নামে এক প্রবীণ বলেন, বিভিন্ন শ্রেনী-পেশার লোকজন দেশের রাজনীতিতে ঝুঁকছেন বলে ছোট দলগুলো আর ছোট থাকছে না। বড় দলগুলো দিন দিন বড় হচ্ছে। দেশের রাজনীতিতে পুরুষদের পাশাপাশি তুলনায় নারীরাও নেতৃত্ব দিচ্ছেন। দেশে রাজনীতির বড় বড় দল দুটির সভাপতি নারী। যা বিগত সময়ের তুলনায় আমরা চমক বলতে পারি।

রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের মতামত হলো, রাজনীতিতে সবচেয়ে বড় চমক হলো নারীরা যখন দলের সভাপতি তখন তৃণমুল থেকে অনেক নারীরা সাংগঠনিক পদ পদবী নিয়ে রাজনীতিতে সক্রিয় হচ্ছেন। এক সময় রাজনীতিতে নারীরা যদিও কম সক্রিয় ছিল। সে দিন ও সময় আজ আর নেই। পুরুষদের পাশাপাশি নারীরা রাজনীতিতে বেশ উৎসাহ উদ্দীপনা নিয়ে নিজেদের ঘর সংসার গুছিয়ে তারা মিটিং মিছিল, সভা সমাবেশসহ আন্দোলন সংগ্রামে এগিয়েছে বিগত দিনের ও সময়ের চেয়ে অনেক বেশি।

খানপুর এলাকার কয়েকজনের সাথে কথা হলে তারা বলেন, বিএনপি ও জাতীয় পার্টি এক সময় বেশ বড় দল ছিল। বর্তমানে এ বড় দলের ভাঙ্গন চলতেছে। অনেকেই তাদের দল ছেড়ে আওয়ামী লীগের ঝুঁকছেন। দেশের অনেক ছোট ছোট দলের নেতারাসহ কর্মীদের নিয়ে আওয়ামী লীগে যোগদান করছেন। এতেই দল বড় হচ্ছে। তবে দলে ঢুকে দলের ক্ষতি করতে পায়তারা করলেও তা যদি দক্ষতার সাথে নজরদারি না করেন তা হলে আওয়ামী লীগের অবস্থাও খারাপ হতে সময় লাগবে না। এ বিষয়ে আওয়ামী লীগের কয়েকজন বলছেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সবদিকে নজর রাখেন। দলের স্বার্থে দলের ভিতরের সব খারাপ লোকদের প্রয়োজনে আইনের আওতায় নিতে পারেন বলে মন্তব্য করেন।

বিএনপির তৃণমুল নেতারা বলছেন, দলের আজ খারাপ অবস্থার জন্য দায়ী দলের খারাপ লোকরা। খারাপ ও স্বার্থবাজরা নিজেদের নিয়ে ব্যস্ত ছিল বলেই আজ দলের করুন অবস্থা।

স্পন্সরেড আর্টিকেলঃ