আজ শুক্রবার, ১৩ই বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ২৬শে এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ

রমজানকে সামনে রেখে বাড়ছে মৌসুমী রিক্সা!

 

সংবাদচর্চা রিপোর্ট: ঐ খালী দেওভোগ যাইবা? মামা রাস্তা চিনি না, চিনায়া দিয়েন। আর ভাড়া আপনের মন মতো দিয়েন। পটুয়াখালী থেকে আগত রিক্সা চালক সাইফুল ইসলামের সঙ্গে কথা হচ্ছিল দেওভোগ এলাকার এই প্রতিবেদকের। কথা প্রসঙ্গে প্রতিবেদক জানতে পারে, বছরে দুইবার বাড়তি কিছু আয়ের আশায় শহরে মৌসুমী রিক্সা চালাতে আসে দলবেধেঁ। শুধু সাইফুল ইসলামই নয়, তার এলাকা থেকে আরও এসেছে সাত জন। পরিচিত লোকের মাধ্যমে রিক্সার গ্যারেজ থেকে রিক্সা ভাড়া করে নিয়ে কিছু টাকা বাড়তি আয়ের জন্য শহরে এসেছে। এই কাজে থাকবে আগামী রোজার পুরোটা সময় ধরে। চাঁদ রাতেই আবারও নিজ গ্রাম পটুয়াখালীতে ফিরত যাবে।

আসন্ন রমজান ও ঈদ উল ফিতরকে সামনে রেখে নগরীতে বাড়ছে মৌসুমী রিক্সা চালক। প্রর্যাপ্ত মনিটরিং না থাকায় অবৈধ রিক্সায় যানজট সৃষ্টি হচ্ছে। আর এই রিক্সা অনুমোদনহীন ভাবে কেনো মালিকপক্ষ চালাতে দেন এমন প্রশ্নে জবাবে রিক্সা চালক সাইফুল ইসলাম জানান, ভাই আমরা কি আর এতো কিছু বুঝি? দুইডা টাকার আশায় শহরে এসে খ্যাপ মারি আবার বাড়ি চইলা যাই। তয় মালিকরা শুধু টাকা বুঝে আর কিছু না।

এই অল্প ক’দিনে কতটাকা আয় হয় এমন প্রশ্নে জবাবে তিনি জানান, প্রতিদিন ৫ থেকে ৭শ টাকা হয়। মাস শেষে ২০ থেকে ২৫হাজার টাকা নিয়া বাড়ি ফিরতে পারি। ভাই! বাড়িতে একটা মাইয়া আছে আওয়ার সময় কইয়া দিছে একটা লাল জামা নিতে, বলেই চোখ ছলছল করে উঠলো।

প্রচন্ড গরমে জ্যাম মরার উপর খরার ঘাঁ হয়ে উঠছে সাধারণ মানুষের কাছে। রমজান না আসতেই নগরীতে প্রচন্ড জ্যামে ঘন্টার পর ঘন্টা সময় ব্যয় করতে হয় সাধারণ মানুষকে। আর জ্যামের প্রধানকারন হিসাবেই অবৈধ গাড়ি পার্কিং আর মৌসুমী রিক্সাকেই দায়ী করছে সাধারণ মানুষ।

স্পন্সরেড আর্টিকেলঃ