আজ বৃহস্পতিবার, ১২ই বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ২৫শে এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ

মৌসুমীকে ধর্ষণ করতে মিশা মজা পেতেন! এমন বক্তব্যের মৌসুমীর প্রতিবাদ

মৌসুমীকে ধর্ষণ

মৌসুমীকে ধর্ষণ

সংবাদচর্চা রিপোর্ট:

খল অভিনেতা মিশা সওদাগর কদিন আগে একটি বেসরকারি টেলিভিশনে ‘এবং পূর্ণিমা’ নামের অনুষ্ঠানটিতে অতিথি হয়ে এসেছিলেন । ওই অনুষ্ঠানে মিশাকে করা নায়িকা পূর্ণিমার একটি প্রশ্নকে ঘিরে তোলপাড় শুরু হয় মিডিয়া পাড়ায়। অনুষ্ঠানের এক পর্যায়ে পূর্ণিমা মিশাকে প্রশ্ন করেন, ‘ছবিতে কাকে ধর্ষণ করে বেশি মজা পেতেন? উত্তরে মিশা চিত্রনায়িকা মৌসুমী ও অনুষ্ঠানের উপস্থাপিকা নায়িকা পূর্ণিমার কথা উল্লেখ করেন।

উপস্থাপক হিসেবে নায়িকা পূর্ণিমা বিষয়টাকে হেসে উড়িয়ে দিলেও মেনে নিতে পারেননি অন্যরা। তুমুল সমালোচনা শুরু হয় শোবিজ অঙ্গণে। চারিদিক থেকেই আসতে থাকে নিন্দার ফুলঝুরি। দিন কয়েক আগে এই বিষয় নিয়ে কথা বলেন চিত্রনায়িকা মৌসুমীর স্বামী অভিনেতা ওমর সানী। লাইভ টক শো-তে এমন প্রশ্নের তীব্র সমালোচনা করেন তিনি। নায়িকা পূর্ণিমা ও অভিনেতা মিশার এমন কথাবার্তাকে কাণ্ডজ্ঞানহীন বলে উল্লেখ করেন সানী।মৌসুমীকে ধর্ষণ
একটু দেরিতে হলেও সেই বিষয় নিয়ে এবার মুখ খুললেন নায়িকা মৌসুমীও। স্বামী ওমর সানীর ব্যক্তিগত ফেসবুক পেজ থেকে শনিবার রাতে একটি স্ট্যাটাস দিয়েছেন তিনি। স্ট্যাটাসটি পাঠকদের জন্য হুবহু তুলে ধরা হলো-

‘প্রিয় দর্শক, আজ একজন অভিনেত্রী হয়ে নয়, একজন নারী হিসেবে আপনাদের কিছু কথা বলতে চাই। আপনারা জানেন কয়েকদিন আগে একটি স্যাটেলাইট টিভি চ্যানেলের একটি অনুষ্ঠানে ‘ধর্ষণ’ নিয়ে ঠাট্টা করা হয়েছিল। বিষয়টি হাসি তামাশা করার নয়। সঞ্চালিকা যেভাবে প্রশ্ন করলেন অতিথিকে আর তিনি যেভাবে উত্তর দিলেন তাতে মনে হলো আমরা যেন বোকার স্বর্গে বাস করছি। পরবর্তীতে ভিডিওটি সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়ে গেল এবং বিভিন্ন মিডিয়ায় প্রচার হতে শুরু করলো। পুরো বিষয়টি একজন নারী হিসেবে মেনে নেয়া ছিল পীড়াদায়ক।

আমরা চলচ্চিত্রে নানান রকম অভিনয় করে দর্শককদের বার্তা দিয়ে থাকি। যাতে ভালো-মন্দ দুটোই থাকে, শেষে জয় হয় ভালোর; পরাজয় ঘটে মন্দের। সেসব ইতিবাচক বার্তা তুলে না ধরে সমাজের নেতিবাচক দিকগুলো টক-শোতে এনে শুধু একজন বা দুজনকে নয় পুরো নারী জাতিকে অপমান করা হয়েছে।
শুধু আমার নয়, অন্যান্য অনেকের ভক্ত, দর্শক বিষয়টি মেনে নিতে পারেনি। সকলেই যার যার অবস্থান হতে প্রতিবাদ জানিয়েছে। আমি তাদের প্রতি শ্রদ্ধা রেখে, তাদের সঙ্গে সুর মিলিয়ে এমন বক্তব্যের নিন্দা জানাচ্ছি। আমি প্রত্যাশা করবো এ অনুষ্ঠানের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট সকলে ভবিষ্যতের কোনো একটি পর্বে এ ধরনের আচরণের জন্য ক্ষমা চেয়ে নেবেন। আপনাদেরই প্রিয় মৌসুমী।’

এদিকে, বিষয়টাকে কেবলই মজা হিসেবে দেখছেন বলে এর আগেই জানিয়েছিলেন মিশা ও পূর্ণিমা। অন্যদিকে, অনুষ্ঠানটির ম্যানেজমেন্টের দায়িত্বে থাকা একজন বলেন, ‘পূর্ণিমা মিশাকে যে প্রশ্নটি করেছিলেন সেটি অনুষ্ঠানটির ওই পর্বের স্ক্রিপ্টে ছিল না। ব্যক্তিগতভাবেই তিনি প্রশ্নটা করেছেন। কিন্তু তাতেও সমালোচনা থামেনি। তবে মৌসুমীর দাবি মেনে উপস্থাপক হিসেবে নায়িকা পূর্ণিমা যদি ক্ষমা চেয়ে নেন, তবে হয়তো এই সমালোচনায় দাড়ি পড়তেও পারে। চাইবেন কি?

স্পন্সরেড আর্টিকেলঃ