আজ মঙ্গলবার, ১০ই বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ২৩শে এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ

মেডিক্যাল রিপোর্ট না আসায় এজলাস কক্ষে হট্টগোল

সংবাদচর্চা রিপোর্ট
সকালে প্রধান বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেনের নেতৃত্বে আপিল বিভাগের ছয় সদস্যের বেঞ্চে জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার জামি শুনানি শুরু হয়। শুনানির শুরুতে অ্যাটর্নি জেনারেল মেডিকেল রিপোর্ট এবং শুনানির জন্য দুই সপ্তাহ সময় চান আদালতের কাছে। আদালত আগামী ১১ ডিসেম্বর মধ্যে মেডিকেল রিপোর্ট দাখিল এবং শুনানির জন্য ১২ ডিসেম্বর, বৃহস্পতিবার পর্যন্ত সময় দেন।

জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার জামিন শুনানিতে মেডিক্যাল রিপোর্ট না আসায় এজলাস কক্ষে হট্টগোলের ঘটনা ঘটেছে। রাষ্ট্রপক্ষ আদালতে স্বাস্থ্য প্রতিবেদন না দিয়ে শুনানি পিছিয়ে দেওয়ার আবেদন জানালে বিএনপি সমর্থিত আইনজীবীরা এ হট্টগোল শুরু করেন।

এসময় বিএনপির জ্যেষ্ঠ আইনজীবীরা পরিস্থিতি শান্ত করার চেষ্টা করেও ব্যর্থ হন। এ অবস্থায় বিব্রত হয়ে বিচারপতিরা এজলাস কক্ষ ত্যাগ করে খাস কামরায় চলে যান।

দুইপক্ষের হট্টগোলের মধ্যে সাত মিনিট চুপচাপ বসে ছিলেন প্রধান বিচারপতিসহ আপিলের ছয় বিচারপতি। বৃহস্পতিবার (৫ ডিসেম্বর) জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার জামিন শুনানি শুরু হলে দুপক্ষের আইনজীবীদের হট্টগোলে শেষমেষ এজলাস ছেড়ে চলে যান প্রধান বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেন।

এ সময় খালেদা জিয়ার আইনজীবী জয়নুল আবেদীন আজ বৃহস্পতিবারের মধ্যেই শুনানি করতে চাইলে দুইপক্ষের আইনজীবীদের মধ্যে উচ্চবাচ্য শুরু হয়। জয়নুল আবেদীন বলেন, খালেদা জিয়ার অবস্থা খুবই খারাপ, আগে তার জামিন দেন, প্রয়োজনে শুনানি পরে হোক।

তখন আদালত জানান আগামী বৃহস্পতিবার শুনবেন। এরপর বিএনপির আইনজীবীরা কোর্টে আবার উচ্চবাচ্য শুরু করেন। কয়েক মিনিট ধরে এই অবস্থা চলার পর আপিল বিভাগের প্রধান বিচারপতিসহ ছয় জন বিচারপতি এজলাস ছেড়ে খাস কামরায় চলে যান। এ সময় আদালতে উপস্থিত বিএনপিপন্থী আইনজীবীরা শেইম শেইম বলে চিৎকার করতে থাকেন।

কোর্ট উঠে চলে গেলেও আইনজীবীরা কেউ কারও জায়গা ছাড়েনি, যে যার জায়গায় বসে আছেন। বন্ধ রয়েছে বিচারিক কাজ।

আদালতে রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম, অতিরিক্ত অ্যাটর্নি জেনারেল মুরাদ রেজা, দুদকের পক্ষে ছিলেন খুরশীদ আলম খান। এছাড়া খালেদা জিয়ার পক্ষে ছিলেন, ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ, জমিরউদ্দীন সরকার, খন্দকার মাহবুব হোসেন, জয়নুল আবেদীন, এ জে মোহাম্মদ আলী, মাহবুব উদ্দিন খোকনসহ বিএনপির শতাধিক আইনজীবী।

স্পন্সরেড আর্টিকেলঃ