আজ মঙ্গলবার, ৩রা বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১৬ই এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ

পিবিআই’এর জিজ্ঞাসাবাদে আজহারুলের দোষ স্বীকার

সংবাদচর্চা রিপোর্ট:

গত ২৮ মার্চ হেফাজতের ডাকা হরতালে নারায়নগঞ্জের সাইনবোর্ড মোড়ে তান্ডব পরিচালনাকারীর হোতা মুফতি আজহারুল ইসলাম আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দী প্রদান করেছে।

গত ১৭ আগস্ট নারায়ণগঞ্জ সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট কাউসার আলম এর আদালতে আসামী মুফতি আজহারুল ইসলাম নিজ দোষ স্বীকার করে ফৌ:কা:বি: এর ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দী প্রদান করে। পুলিশের নিকট সে আরোও কিছু চাঞ্চল্যকর তথ্য প্রদান করে। যা যাচাই বাছাই অব্যাহত আছে। সম্পৃক্ত অন্যান্য আসামীদের গ্রেফতারের লক্ষ্যে অভিযান চলমান রয়েছে।

বুধবার ( ১৮ আগস্ট) পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই) নারায়ণগঞ্জ জেলা পুলিশ সুপার মোহাম্মদ মনিরুল ইসলাম এক প্রেস বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে এসব তথ্য গণমাধ্যমকে নিশ্চিত করেছেন।

তিনি জানান, গত ২৮ মার্চ বেলা সাড়ে ১২ টায় এজাহার নামীয় ২৮ জন আসামী সহ অজ্ঞাত ৪০০/৫০০ জন বিএনপি, জামায়াত, শিবির,হেফাজতকর্মী সহ আরো অনেক উশৃঙ্খল হামলাকারী সিদ্ধিরগঞ্জ থানাধীন সাইনবোর্ডস্থ চৌরঙ্গীপেট্রোল পাম্প হতে মৌচাক পর্যন্ত মহাসড়ক এলাকায় হরতাল ও অবরোধ পালনকালীন উত্তেজিত আসামীরা একে অপরের সহায়তায় ও প্ররোচনায় বাংলাদেশের সার্বভৌমত্ববিপন্ন ও জন নিরাপত্তা বিঘ্ন করার উদ্দেশ্যে জনসাধারণ বা জন মনে আতঙ্ক সৃষ্টির মাধ্যমে সরকারী কর্মচারীকে ক্ষতি সাধনের উদ্দেশ্যে আঘাত করে জখম,যানবাহনে অগ্নিসংযোগ এবং ভাংচুর করে। এ ঘটনার প্রেক্ষিতে সিদ্ধিরগঞ্জ থানায় মামলা হয়। মামলা নং- ৩০,( ২৯/০৩/২০২১) ধারা- ২০০৯ সালের সান্ত্রাস বিরোধী । মামলাটি পুলিশ হেডকোয়ার্টার্স এর মাধ্যমে গত ১৫ এপ্রিল পিবিআই নারায়ণগঞ্জ জেলা কর্তৃক তদন্তভার প্রাপ্ত হয়। মামলাটির তদন্তভার প্রাপ্তির পর পিবিআই নারায়ণগঞ্জ জেলার পুলিশ সুপার মোহাম্মদ মনিরুল ইসলাম এর নির্দেশে মামলাটির তদন্তভার পুলিশ পরিদর্শক (নিঃ) আরিফুর রহমান গ্রহন করেন। সাম্প্রতিক সময়ের প্রতি অধিক গুরুত্ব দিয়ে পিবিআই নারায়ণগঞ্জ জেলার পুলিশ সুপারের দিক নির্দেশনায় তদন্তকারি কর্মকতা মামলাটি প্রকাশ্য ও গোপনে তথ্য প্রযুক্তির সহায়তায় মহাসড়কে তান্ডব পরিচালনাকারীর হোতা মুফতি আজহারুল ইসলাম (৩৫)কে গ্রেফতার করে। সে কুমিল্লার দাউদকান্দি থানার হাটখোলা এলাকার মৃত আব্দুল মালেক মাষ্টার এর ছেলে।

আসামিকে ২দিনের রিমান্ড প্রাপ্ত হয়ে গত ১৬ আগস্ট পিবিআই কার্যালয়ে হাজির করে নিবিড় ভাবে জিজ্ঞাসাবাদ করলে মামলার ঘটনার সাথে জড়িত থাকার কথা পিবিআই নারায়নগঞ্জ এর নিকট স্বীকার করে। আসামি হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশের সাবেক যুগ্ম মহাসচিব, ঢাকা মহানগরের সাংগঠনিক সম্পাদক ও মারকাযুল হুদা মাদ্রাসার মহাপরিচালক।

স্পন্সরেড আর্টিকেলঃ