আজ শনিবার, ১৪ই বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ২৭শে এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ

মুখোশধারী শাহজাহানের অপপ্রচারে দৈনিক সংবাদচর্চা পরিবারের তীব্র নিন্দা ও ক্ষোভ

সংবাদচর্চা রিপোর্ট:

নারায়ণগঞ্জ জেলায় বহুল প্রচারিত দৈনিক সংবাদচর্চার বলিষ্ঠ প্রকাশক ও সম্পাদক মো. মুন্না খানের বিরুদ্ধে সিদ্ধিরগঞ্জের পাঠানটুলি আইলপাড়ার মুখোশধারী শাহজাহানের অপপ্রচার, বাকরূদ্ধ করার চেষ্টা, বস্তুনিষ্ঠ সংবাদকে অর্থহীন সৃজিত মিথ্যা উদ্দেশ প্রণোদিত অসত্য প্রতিবেদন বলায় দৈনিক সংবাদচর্চা পরিবারের সংবাদদাতা, চিত্র সাংবাদিক, নিজস্ব প্রতিবেদক, বিজ্ঞাপন বিভাগ, সার্কুলেশন, প্রতিদিনের সংবাদপত্রে প্রকাশিত সংবাদের বিশ্লেষনধর্মী অনুষ্ঠানের স্টুডিওতে কর্মরত কলাকৌশলীগন ও সম্পাদন বিভাগের সকল কর্মকর্তাগণ তীব্র নিন্দা ও ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন।তিনি নিজেকে বিলুপ্ত ইউনিয়ন পরিষদের যুবলীগ নেতা বলে দাবী করেন।

এছাড়াও তিনি নিজেকে শান্তিপূর্ণ ব্যবসায়ী দাবি করলেও ২০০২ সালে ২রা সেপ্টেম্বর শাহজাহান বাহিনীকে একটি বিদেশী উন্নতমানের রিভলবার ও ২ রাউন্ড ৩২ বোর রিভলবারের গুলিসহ আটকের পর পুলিশ বাদী হয়ে অস্ত্র আইনের ১৯ (এ)(এফ) মামলার নং- ৩।

ওই মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ছিলেন উপ পরিদর্শক মাইনুল ইসলাম। ওই মাসেই ৯ই সেপ্টেম্বর ঢাকার শ্যামপুরে মো. আলম সারোয়ার বাদী হয়ে শাহজাহানের সহযোগী সাইদুলকে আসামী করে মামলা দায়ের করেন। মামলা নং- ১৮।

২০১৪ সালের ৯ই জানুয়ারী গোদনাইল এনায়েত নগরের মারুফ বাদী হয়ে ভূমিদস্যুতা ও লুটপাটের অভিযোগ এনে শাহজাহান ও এমদাদ হোসেনের বিরুদ্ধে মামলা করেন। মামলা নং- ৭। ২০০৭ সালের ২০শে জুন ভূমিদস্যুতা ও জীবন নাশের হুমকির অভিযোগ এনে শাহজাহান, ডিএইচ বাবুল ও সেন্টুর বিরুদ্ধে বিজ্ঞ ১ম শ্রেনীর ম্যাজিষ্ট্রেট আমলী আদালত-১ এ পিটিশন মামলা করেন হাজীগঞ্জের ফাতেমা খাতুন।

২০১১ সালের ১৭ জুলাই বিজ্ঞ চীফ জুডিশিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট আদালতে শাহজাহানের বিরুদ্ধে হত্যা চেষ্টার অভিযোগ করে মামলা করেন জালকুড়ি পশ্চিম পাড়ার আব্দুল হালিম। এছাড়াও হালিম ১৮ই আগষ্ট স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে চাঁদাবাজ ও ছিনতাইকারী দাবী করে শাহজাহান এবং শহিদুল্লাহর বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ জমা দেন।

নারায়ণগঞ্জ পুলিশ সুপারের কার্যালয়ে ২০১৫ সালের ২৬ জানুয়ারী পাঠানটুলি আইলপাড়া এলাকার ওহিদুজ্জামান রোমান লিখিতরূপে শাহজাহান ও শহিদুল্লাহকে গ্রেপ্তারের দাবী জানান। যার নম্বর- ২৯৫ ভি।

১৯ আগষ্ট ২০১৬ সংবাদকর্মী মান্নান ভূঁইয়াকে গুলি করে হত্যার চেষ্টার অভিযোগ এনে শাহজাহান, শহিদুল্লাহ, মাষ্টার দেলু, সাইদুল, সেন্টু, ইয়াসিন, জামান ও পিচ্চি দেলুর বিরুদ্ধে তিনি মামলা করেন। মামলার নং- ৪৫। সড়ক ও জনপদের জায়গা দখল করে বহুতল ভবন নির্মানের অভিযোগে ২৬শে সেপ্টেম্বর ২০১৬ নারায়ণগঞ্জ জেলা প্রশাসক উচ্ছেদের নির্দেশ দেয়। যার স্মারক নং- ১৪৬৪০। তাছাড়াও শাহজাহান বাহিনীর সদস্যদের বিরুদ্ধে রয়েছে বিভিন্ন থানায় অগনিত সাধারন ডায়েরী।

সিদ্ধিরগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা শাহিন শাহ পারভেজের কাছে সংবাদচর্চা পরিবারের জোর দাবী পাঠানটুলি আইলপাড়ার শাহজাহানের প্রকৃত মুখোশ আমরা উন্মোচন করার চেষ্টা করেছি। তাদের অপরাধ কর্মকান্ডের লাগাম টেনে ধরার এখনই সময়। এলাকাবাসীর জোর দাবী মুখোশের আড়ালে অপরাধীদের আইনের আওতায় আনতে পারলে স্বস্তি পাবে সাধারন মানুষ।

স্পন্সরেড আর্টিকেলঃ