আজ শনিবার, ৭ই বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ২০শে এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ

মা ও শিশুবিষয়ক একটি প্রতিবেদনে

জন্মানোর পর সন্তান পালন করতে গিয়ে মা হিসেবে নিজের যত্ন নেওয়ার সময় খুব একটা হয় না। তবে সন্তানের সঠিক য্ত্ন নিতে নিজেকেও থাকতে হবে সুস্থ। মা ও শিশুবিষয়ক একটি ওয়েবসাইটের প্রতিবেদনে এই ধরনের ব্যথা ও শারীরিক অসুস্থতা থেকে পরিত্রাণের বিষয়ে জানানো হয়।

কব্জির ব্যথা: শিশুকে কোলে নেওয়ার কারণে প্রায় সকল মায়েরই কব্জি ও বৃদ্ধাঙ্গুলে ব্যথা হয়। এই সমস্যা এড়াতে সন্তানকে কোলে নেওয়ার সময় খেয়াল রাখতে হবে হাত ও কব্জি যাতে সমান্তারালে থাকে এবং শিশুর মাথা ধরে রাখার সময় কব্জি যথাসম্ভব কম বাঁকানো অবস্থায় থাকে।

কোমরের ব্যথা: বেশিরভাগ মা সন্তানকে কোলে নেওয়ার সময় তাকে কোমরের একপাশে রাখেন এবং একপাশে বাঁকা হয়ে থাকেন। এতে কোমরে ও শ্রোণিচক্রের ক্ষতি হয়। শিশুকে কোলে নিতে হবে হাতের উপর এবং দুজনের শরীরের ভার দুপায়ের উপর ফেলতে হবে সমানভাবে।

ঘাড় ব্যথা: সন্তানকে বুকের দুধ খাওয়ানোর সময় কুঁজো হয়ে বসার কারণে ঘাড় ও কাঁধের পেশিতে টান পড়ে। ফলে ঘাড়ে ব্যথা হয়। তাই দুধ খাওয়ানোর সময় কিছুক্ষণ পরপর পেছন দিকে ঘাড় এলিয়ে দিতে হবে। এছাড়াও পিঠ ও ঘাড়ে বালিশ দিয়ে শিশুকে একটু উঁচু করে ধরে দুধ খাওয়ালেও সমস্যা এড়ানো যাবে।

চোখে আঘাত: সন্তান লালনপালন করতে গিয়ে খামচি, চুল টানা, কামড়, খেলনার আঘাত ইত্যাদি কত কিছু যে সইতে হয় তা শুধু একজন মা-ই ভালো জানেন। তবে চোখে আঘাত পেলে হেলাফেলা করা যাবেনা। সন্তানের হাতের নখ সবসময় ছোট করে কেটে রাখতে হবে। খেলনার কেনার সময় খেয়াল রাখতে হবে তাতে যেন কোনো তীক্ষ্ণ কোণা বা ধাতব অংশ না থাকে।

পিঠব্যথা: মাসের পর মাস সন্তানকে পেটে বয়ে বেড়ানোর কারণে পিঠের নিচের অংশে ব্যথা হওয়া স্বাভাবিক। এর সঙ্গে যোগ হয় জন্মের পর তাকে এবং তার বিভিন্ন ব্যবহার্য জিনিস উঠানো-নামানো। এক্ষেত্রে পর্যাপ্ত বিশ্রাম আবশ্যক।

তবে ঝুঁকে নিচ থেকে কোনো কিছু ওঠানোর সময় শরীর বাঁকা না করে হাঁটু ভাঁজ করে বসার অভ্যাস করতে হবে। পিঠে গরম পানির স্যাঁক কিংবা ঠাণ্ডা প্রয়োগ করলেও উপকার পাবেন।

স্পন্সরেড আর্টিকেলঃ