আজ বৃহস্পতিবার, ১২ই বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ২৫শে এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ

মাহফিল নিয়ে বিরোধ, প্রতিপক্ষকে কুপিয়ে জখম

সংবাদচর্চা অনলাইনঃ

নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁওয়ে ওয়াজ মাহফিল নিয়ে বিরোধের জের ধরে ব্যবসায়ী শফিকুল ইসলামের পরিবারের উপর সন্ত্রাসী হামলা চালিয়ে কুপিয়ে জখম করার অভিযোগ উঠেছে। অভিযুক্তরা হলেন, সফুর উদ্দীন ও বাদশা মিয়া ও তার সহযোগীরা।

বৃহস্পতিবার ১৮ই ফেব্রুয়ারি রাত ৯টার দিকে উপজেলার পিরোজপুর ইউনিয়নের গঙ্গানগর এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় ভুক্তভোগী বাদী হয়ে শুক্রবার দূপুরে সোনারগাঁও থানায় একটি মামলা দায়ের করেন।

এজাহারে সূত্রে জানা গেছে,  গঙ্গানগর এলাকার একটি ওয়াজ মাহফিলকে কেন্দ্র করে কয়েক দিন যাবত একই এলাকার সফুর উদ্দীনের পরিবারের সাথে তাদের পরিবারের বিরোধ চলে আসছিলো।

এরই গতকাল রাত আনুমানিক ৯টার দিকে বিবাদী সফুর উদ্দীন, ইয়ানবী (৩৩), রিপন(২০), ফরিদ (৫০), বাদশা মিয়া,  সিয়াম(১৯)  নাজমুল হাসান শাওন(২২) সহ অজ্ঞাত আরও ৪/৫জন একত্রিত হয়ে বিভিন্ন দেশীয় অস্ত্র নিয়ে সফিকুল ইসলামের দোকানের সামনে এসে তার ছেলে নজরুল ইসলাম(৩০) এর উপর অতর্কিত হামলা চালিয়ে পিটিয়ে রক্তাক্ত জখম করে।

এসময় আরেক সন্তান জামিরুল ইসলাম ও নজরুলের মা মোসাঃ সাফিয়া বেগম এগিয়ে আসলে  বিবাদীরা তাদের উপর হামলা চালায় এবং সাফিয়া বেগমকে মারদর করে শ্লীলতাহানি করে। ওই সময় সফুর উদ্দীন হত্যার উদ্দেশ্যে জামিরুলের মাথায় রামদা দিয়ে কোপ দিলে জামিরুল সরে যাওয়ায় তার হাতে কোপ লেগে রক্তাক্ত জখম হয়।

পরবর্তীতে দ্বিতীয় বার কোপ দিয়ে জামিরুলের পেটে রক্তাক্ত জখম করে। বিবাদীরা এলোপাতাড়ি ভাবে মারদর করে ব্যবসায়ী সফিকুল ইসলামের পরিবারের অন্যান্য সদস্যদের আহত করে দোকান লুট পাট করে মালামাল কেনার নগদ ১ লক্ষ ৩০ হাজার টাকা ছিনিয়ে নেয়।

এসময় আহতদের ডাকচিৎকারে এলাকাবাসী এসে তাদের সোনারগাঁও উপজেলা হাসপাতালে নিয়ে গেলে তাদের শারিরীক অবস্থা খারাপ হওয়ায় উন্নত চিকিৎসার জন্য তাদের ঢাকা মেডিকেল কলেজে প্রেরন করা হয়। বর্তমানে আহত জামিরুল ও নজরুল ইসলাম মৃত্যুর সঙ্গে পাঞ্জা লরছে বলে জানান অসহায় সফিকুল ইসলাম।

এ বিষয়ে সোনারগাঁও থানার ওসি  (তদন্ত) খন্দকার তবিদুর রহমান বলেন,একই ঘটনায় উভয় পক্ষের কয়েকজন আহত হয়েছে। উভয় পক্ষে মামলা দায়ের করেছে। আসামীদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

স্পন্সরেড আর্টিকেলঃ