আজ শুক্রবার, ১৩ই বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ,
২৬শে এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ
নিজস্ব প্রতিবেদক:
অপেক্ষা শেষ হলো না, এবার দেশে ফিরে বিয়ে করার কথা ছিল আক্তার হোসেনের। সে জন্যে পরিবারের লোকজন কনে দেখার কাজও প্রায় শেষ করে ফেলেছিলেন। কিন্তু মালয়েশিয়ার কুয়ালালামপুর শহরে একটি সড়ক দুর্ঘটনায় আক্তার হোসেনের (২৮) মৃত্যুতে সব স্বপ্ন ভেঙে পরিবারের জন্য কান্না বয়ে এনেছে। শুক্রবার সকালে আক্তারে হোসেনের মৃত্যুর সংবাদ তার গ্রামের বাড়ি নারায়ণগঞ্জের আড়াইহাজার উপজেলার খাগকান্দা ইউনিয়নের পাঁচানি এলাকায় পৌছালে স্বজনদের মধ্যে শোকের মাতম শুরু হয়। তার অকাল মৃত্যু মেনে নিতে পারছেনা তার গ্রামবাসীও।
পরিবারের বরাত দিয়ে অভিবাসী কর্মী উন্নয়ন প্রোগ্রাম (ওকাপ) এর ফিল্ড অফিসার আমিনুল হক জানান, গত ছয় বছর আগে স্টুডেন্ট ভিসা নিয়ে মালেয়শিয়া পাড়ি জমান আক্তার হোসেন। বছর খানের পর সে কাজ করার অনুমতি পেয়ে পরিবারের ভাগ্যের পরিবর্তনে কুয়ালালামপুর শহরের পাশে ছিরিভামভাং এলাকায় একটি মার্কেটে কাজ শুরু করে। কাজের মজুরী দিয়ে তিন ভাই দুই বোন ও বাবা-মার মুখে হাসি ফুটাতে থাকেন। গত বছর ছুটিতে দেশে আসার পর পরিবার থেকে বিয়ে করার কথা বললে আক্তার হোসেন সামনের বছর এসে বিয়ের করার সিদ্ধান্ত তাদের জানিয়ে ফের মালেয়শিয়া চলে যান। প্রতি মাসেই বাবা-মার জন্য খরচ পাঠাতেন। গত বৃহস্পতিবার (১৮ জুলাই) প্রতিদিনের মত স্থানীয় সময় দুপুর ১টার দিকে তার বাসা থেকে মোটরসাইকেলে কুয়ালালামপুর শহরে কর্মক্ষেত্রে যাচ্ছিলেন। পথিমধ্যে অন্য একটি গাড়ি তার মোটর সাইকেলকে ধাক্কা দিলে তিনি রাস্তার মধ্যেই ছিটকে পড়ে যান ঘটনাস্থলেই নিহন হন। পরে আক্তার হোসেনের মরদেহ কুয়ালালামপুর শহরে স্থানীয় একটি হাসপাতালের হিমঘরে রাখা হয়েছে। নিহত আক্তার হোসেন উপজেলার পাঁচানি গ্রামের আবুল কাসেমের ছেলে।
ওকাপ এর এই অফিসার আরও জানান, আক্তার হোসেনের মৃত্যুর খবর পেয়ে অভিবাসী কর্মী উন্নয়ন প্রোগ্রাম (ওকাপ) এর একটি প্রতিনিধি দল নিহতের পরিবারের সাথে যোগাযোগ করে। প্রতিনিধিদল মরদেহ দ্রুত দেশে ফিরিয়ে আনা, এয়াপোর্টে প্রবাসী কল্যান ডেক্স থেকে দাফনকার্যের চেক গ্রহন, ক্ষতিপুরণ বাবদ অর্থপ্রাপ্তি ও আনুষাঙ্গিক বিষয়ে সরকারি সহযোগিতা বিষয়ে নিহতের পরিবারকে তথ্য প্রদান করা হয়েছে। তবে তার মরদেহ কবে নাগাদ আসতে পারে সে ব্যপারে নির্ধারিত দিনক্ষণ তিনি জানাতে পারেননি।
