আজ শুক্রবার, ১৫ই চৈত্র, ১৪৩০ বঙ্গাব্দ, ২৯শে মার্চ, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ

মালি দ্বারা পরিচালিত হচ্ছে না.গঞ্জ বন সংরক্ষণ বিভাগ


সংবাদচর্চা রিপোর্ট
সামাজিক বানয়ন হলো স্থানীয় দরিদ্র জনগণকে উপকারভোগী হিসেবে সম্পৃক্ত করে পরিচালিত বনায়ন কার্যক্রম যার প্রত্যক্ষ সুফলভোগীও উপকারভোগী হয়ে থাকেন। বনায়ন পরিকল্পনা গ্রহণ ও বাস্তবায়ন, বৃক্ষরোপণ ও পরিচর্যা, বনজ সম্পদের নিয়ন্ত্রণ ও ব্যবস্থাপনা, লভ্যাংশ বন্টন ও পুনঃবনায়ন সব কাজেই তারা ওতোপ্রোতভাবে জড়িত থাকে।

ভূমিহীন, দরিদ্র, বিধবা ও দুর্দশাগ্রস্থ গ্রামীণ জনগণের সামাজিক ও অর্থনৈতিক সুবিধা নিশ্চিত করাই সামাজিক বনায়নের প্রধান লক্ষ্য। তবে উপরোক্ত লক্ষগুলো বর্তমান সময়ে কতটুকু কার্যকর হচ্ছে কিংবা দায়িত্বরত কর্মকর্তা-কর্মচারীগণ উপরোক্ত বিষয়গুলোকে মাথায় রেখে নিজ নিজ দায়িত্ব পালন করছেন কিনা সেটারই তদন্ত-তদারকি যথাযথ ভাবে করা হচ্ছে?

বাংলাদেশের প্রত্যেকটি জেলা ও উপজেলায় রয়েছে সামাজিক বন সংরক্ষণ বিভাগ। তাদের রয়েছে নিজস্ব কিছু পরিকল্পনা যা বাস্তায়ন করাই তাদের নৈতিক ও মূল দায়িত্ব। নারায়ণগঞ্জ সদর উপজেলাধীন সামাজিক বন সংরক্ষণ বিভাগের চিত্র কিছুটা ব্যতিক্রম। সামাজিক বন সংরক্ষণ অফিস রয়েছে তবে কার্যকারীতা নিয়ে রয়েছে ব্যাপক সন্দেহ।

নারায়ণগঞ্জের সামাজিক বন সংরক্ষণ বিভাগের বাস্তব চিত্র কি? সামাজিক বন সংরক্ষন বিভাগ আছে জানে কতজন? সামাজিক পরিবেশ রক্ষা করার জন্য সামাজিক বন সংরক্ষন বিভাগের মাধ্যামে জনগনের বেঁচে থাকার পরিবেশ রক্ষার্থে যথাযথ দায়িত্ব কি পালন করছেন এখানে কর্মরত কর্মকর্তা-কর্মচারীরা? এমন অনেক প্রশ্ন এখন সচেতন নাগরিকদের।
নারায়ণগঞ্জে পঞ্চবটিতে বন সংরক্ষন বিভাগের কর্মরত বাগান মালিরা বলছে, বছরে চারা গাছ উৎপাদন করা হয় চল্লিশ হাজার থেকে পঞ্চাশ হাজার এবং বিক্রি হচ্ছে বিশ থেকে ত্রিশ হাজার আর বাকি চারা গুলো থেকে যাচ্ছে অথবা নষ্ট হয়ে যাচ্ছে। আর উপজেলা গুলোতে বছরে দশ হাজার চারা উপাদন করছে। নারায়ণগঞ্জ জেলার জন্য মোট জন সংখ্যা প্রায় ৪০ লক্ষ বড় বড় দালান আর ইট বালির শহরে যাতে করে মানুষ একটু নিঃশ্বাস পায় সে জন্য বন সংরক্ষন করার মাধ্যামে মানুষের বাচাঁর পরিবেশ সৃষ্টির লক্ষে কাজ করার কথা এ বিভাগে নিয়োজিত কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের।

অথচ সরেজমিনে নারায়ণগঞ্জ জেলা বন সংরক্ষণ বিভাগের র্কাযক্রম ভিন্ন চিত্র। ভেতরে শুধু জরাজির্ণ ভাঙাচোরা ভবন আর কার্যালয় ও বাগান মালিরা জমিতে মাটি সংরক্ষণ করেছে কর্মরত মালিদের লক্ষ বৃষ্টি হলেই দ্রæত গাছ উৎপাদন হবে। কিন্তু অফিসে নেই কোন জেলা বা উপজেলা কর্মকর্তা। তাই জানা যায়নি এবার কি পরিমান চারা গাছ উৎপাদন করার জন্য সরকার থেকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। এছাড়া দেখা যায় বাগান মালিরা গাছ উপাদনের জন্য মাটি পরির্চযার কাজ করছে। তবে বন সংরক্ষন কার্যলয়ে কলাপ সিকল লাগানো।
নারায়ণগঞ্জ নাগরিক কমিটির সাধারণ সম্পাদক আব্দুর রহমান বলেন, নারায়ণগঞ্জের সামাজিক বন সংরক্ষন বিভাগটি সচল করা দরকার কারণ এ বিভাগের কার্যক্রমে মানুষ অনেক কিছু প্রতাশ্যা করে। এখানে তারা কি পরিমান উৎপাদন করেন আর কি পরিমান বিক্রি করেন তা আমার জানা নেই তবে এখানে কর্মরত সকলের উচিৎ পেশাগত দায়িত্ব পালন করা এবং জেলা প্রশাসকের তদারকি বারানো হলে জেলা বন সংরক্ষন বিভাগের সকলে দায়িত্ব অবগত হবেন বলে আমি মনে করি।

নারায়ণগঞ্জের সামাজিক বন সংরক্ষণ বিভাগের সার্বিক বিষয় নিয়ে সহকারী বন সংরক্ষন শারমীন আক্তারের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি সংবাদচর্চাকে জানান, বর্তমানে আমরা বিভিন্ন প্রজাতির গাছের চারা উৎপাদনের কার্যক্রম পরিচালনা করছি। এ সকল গাছের চারা উৎপাদন শেষে বছর ব্যাপি সাধারণ মানুষদের কাছে বিক্রি করা হয় এবং বর্তমানে নারায়ণগঞ্জের সামাজিক বন সংরক্ষন অফিসে লোক সংকট থাকায় এবং উক্ত অফিসে শুধু মাত্র ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আবু মোল্লা দায়িত্বরত রয়েছেন তবে সরকারি বিভিন্ন মিটিং কনফারেন্স এর কারনে যথা সময় অফিস করতে পারছেন না বিধায় কয়েকজন মালি ব্যতিত আর কেউ অফিস পরিচালনা করতে পারছেন না। গত কয়েকদিন পূর্বে আমাদের একটি চুরি সংঘটিত হয় যার কারনে বর্তমানে অফিসের নিরাপত্তার স্বার্থে এবং বিভিন্ন মালামালের রক্ষার্থে অফিসের মূল প্রবেশ গেইটে কলাপ সিকল দিয়ে লাগানো থাকে। এ ছাড়াও আমাদের অফিসের সামনে একটি প্রশিক্ষন কেন্দ্র রয়েছে তবে অফিসটির বর্তমান অবস্থা অত্যন্ত নাজুক হওয়া সে খানে প্রশিক্ষন প্রদান করা সম্ভব হচ্ছে না। তবে সরকার অফিসটির মেরামতের জন্য একটি বিল পাশ করেছে। দ্রæত সময়ের মধ্যে উক্ত প্রশিক্ষন কেন্দ্রটি সংস্কার করা হবে।

স্পন্সরেড আর্টিকেলঃ