আজ শনিবার, ৭ই বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ২০শে এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ

মামুনুলের ‘দুই বিয়েতে’ ছিল না কাজি, কাবিননামা-দেনমোহর

নিজস্ব প্রতিবেদক:

হেফাজতে ইসলামের বিলুপ্ত কমিটির সাবেক যুগ্ম মহাসচিব মামুনুল হক পুলিশের কাছে তিনটি বিয়ের কথা স্বীকার করেছেন। তবে দ্বিতীয় ও তৃতীয় বিয়ে কোনো কাজি পড়াননি। এই দুই বিয়েতে কোনো কাবিননামা ও দেনমোহর ছিল না।

মামুনুলের দাবি করা এক স্ত্রীর করা ধর্ষণের মামলায় তিন দিনের রিমান্ডে জিজ্ঞাসাবাদে তিনি এসব তথ্য জানিয়েছেন বলে দাবি করেছে পুলিশ। গত মঙ্গলবার থেকে বৃহস্পতিবার পর্যন্ত এই তিন দিন এ মামলায় রিমান্ডে ছিলেন মামুনুল।
নারায়ণগঞ্জ জেলা পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন) মোস্তাফিজুর রহমান জানান, জিজ্ঞাসাবাদে মামুনুল হক তিনটি বিয়ে করার কথা স্বীকার করেছেন। কিন্তু ধর্ষণ মামলার বাদী ও অপর এক নারীকে বিয়ের সময় কোনো কাজি ছিল না। কাবিননামা বা দেনমোহরও ছিল না বলে জানিয়েছেন মামুনুল। এই দুই স্ত্রীর একজনের বাড়ি ফরিদপুর, যিনি মামলার বাদী আর আরেক স্ত্রীর বাড়ি গাজীপুরের কাপাসিয়ায়।

পুলিশ জানিয়েছে, ধর্ষণ মামলার বাদীর বিষয়ে জিজ্ঞাসাবাদে মামুনুল হক জানিয়েছেন, বাদীর স্বামীর সঙ্গে আগে থেকেই তাঁর পরিচয় ছিল। সেভাবে ২০০৭-০৮ সাল থেকে তাঁর সর্ম্পক। স্বামীর সঙ্গে বিবাহবিচ্ছেদ হলে বাদীর সঙ্গে তাঁর সম্পর্ক হয়। বাদীকে বিয়ের সময় কোনো কাজি ছিল না, কাবিননামা-দেনমোহরও নেই।

মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, মামুনুল স্বীকার করেছেন, ‘কাবিন’ ও ‘দেনমোহর’ ছাড়া মেলামেশা করা ঠিক হয়নি, ভুল হয়েছে। জিজ্ঞাসাবাদে মামুনুল হক চাঞ্চল্যকর তথ্য দিয়েছেন, সেগুলো যাচাই-বাছাই করে দেখা হচ্ছে বলে মামলার তদন্তকারীসংশ্লিষ্ট জেলা পুলিশের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন।
পুলিশ কর্মকর্তা মোস্তাফিজুর রহমান আরও জানান, রিমান্ডের জিজ্ঞাসাবাদে মামুনুল হক আরও চাঞ্চল্যকর তথ্য দিয়েছেন। সেগুলো যাচাই-বাছাই করে দেখা হচ্ছে। প্রসঙ্গত, গত ৩ এপ্রিল বিকালে সোনারগাঁওয়ের রয়েল রিসোর্টের ৫০১ নম্বর কক্ষে এক নারীসহ মামুনুল হককে অবরুদ্ধ করে স্থানীয় জনগণ। পরে মামুনুল হকের সমথকরা রিসোর্টে এবং যুবলীগ, ছাত্রলীগ নেতার বাড়িতে ব্যাপক ভাংচুর করে। মামুনুল হককে ছিনিয়ে নিয়ে যায় তার সমর্থকরা। এঘটনায় সোনারগাঁ থানায় মামুনুল হককে আসামি করে একাধিক মামলা হয়েছে।

স্পন্সরেড আর্টিকেলঃ