আজ শুক্রবার, ১৫ই চৈত্র, ১৪৩০ বঙ্গাব্দ, ২৯শে মার্চ, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ

মামুনকে ছুরিকাঘাত, যা জানাল গিয়াস

নিজস্ব প্রতিবেদক:

নারায়ণগঞ্জ-৪ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য ও বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য মুহাম্মদ গিয়াস উদ্দিন বলেছেন, ‘নারায়ণগঞ্জ জেলা বিএনপির সদস্য সচিব মামুন মাহমুদকে দুষ্কৃতিকারীরা ছুরির আঘাতে ক্ষত-বিক্ষত করেছে। আমরা এর তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাই। আমরা এর সুষ্ঠু তদন্ত এবং সুষ্ঠু বিচার এই সভা থেকে আহ্বান করছি। আমাদের দলকে বিচ্ছিন্ন করে দেওয়ার জন্য এবং আমাদের মধ্যে দ্বিধা-দ্বন্দ্ব সৃষ্টি করার জন্য অনেক ষড়যন্ত্র করা হচ্ছে। এই ষড়যন্ত্রের ধারাবাহিকতায় মামুন মাহমুদকে আক্রমণ করা হয়েছে।’

মঙ্গলবার (২৬ এপ্রিল) কুতুবপুর ইউনিয়ন বিএনপির ইফতার মাহফিলে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
এ সময় তিনি আরও বলেন, ‘আমাদের চোখ কান খোলা রাখতে হবে যাতে করে কেউ ষড়যন্ত্র করে আমাদের মধ্যে বিভেদ সৃষ্টি না করতে পারে। আমাদের ঐক্যের মধ্যে ফাটল ধরাতে না পারে, আন্দোলন সংগ্রামে যাতে কোনো ব্যাঘাত ঘটাতে না পারে।’

ইফতার মাহফিলে কুতুবপুর ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি লুৎফুর রহমান খোকার সভাপতিত্বে প্রধান বক্তা হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ফতুল্লা থানা বিএনপির সদস্য সচিব শহীদুল ইসলাম টিটু। এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন ফতুল্লা থানা বিএনপির সাবেক সভাপতি মনিরুল ইসলাম, নারায়ণগঞ্জ জেলা বিএনপির সদস্য রিয়াদ মো. চৌধুরী, কুতুবপুর ইউনিয়ন বিএনপির সাবেক সভাপতি সুলতান মাহমুদ, কুতুবপুর ইউনিয়ন বিএনপির সহসভাপতি তৈয়বুর রহমান, সাবেক সাধারণ সম্পাদক বিল্লাল হোসেন, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আনোয়ার হোসেন, সাংগঠনিক সম্পাদক কাজি আমিন, জেলা যুবদলের সাবেক সহ-সভাপতি তরিকুল ইসলাম তারেক, ফতুল্লা থানা জাসাস এর সভাপতি আব্দুল লতিফ তুষার প্রমুখ। প্রসঙ্গত গত ২৫ এপ্রিল রাজধানীর নয়াপল্টনে মামুন মাহমুদের নিজ কার্যালয়ে মিটিং ও ইফতারের আয়োজন করেছিল জেলা বিএনপি। সন্ধ্যায় ইফতার শেষে কার্যালয় থেকে বের হওয়ার পর অজ্ঞাতনামা তিন দুর্বৃত্ত ধারালো ছুরি নিয়ে মামুন মাহমুদের উপর হামলা চালায়। এসময় মামুন মাহমুদের শরীরের বিভিন্ন স্থানে ছুরিকাঘাত করে হত্যার চেষ্টা চালানো হয়। একপর্যায়ে ২জন পালিয়ে গেলেও জুয়েল নামে একজনকে স্থানীয়রা আটক করে পুলিশে সোপর্দ করে। এই ঘটনায় পল্টন থানায় মামলা দায়ের করেছেন মামুন মাহমুদের স্ত্রী। এছাড়া নারায়ণগঞ্জ জেলা, থানা ও ইউনিয়ন কমিটি নিয়ে স্থানীয় বিএনপি নেতাদের বৃহৎ একটি অংশের সাথে বিভাজন ছিলো মামুন মাহমুদের। বিশেষ করে ফতুল্লা , সিদ্ধিরগঞ্জ ও আড়াইহাজারের আহবায়ক কমিটি নিয়ে এই বিরোধ তুঙ্গে উঠে।

স্পন্সরেড আর্টিকেলঃ