আজ শুক্রবার, ১৩ই বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ২৬শে এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ

মাঠে নেই বিএনপি, রাজপথে আ.লীগ- জাপার স্নায়ু যুদ্ধ

মাঠে নেই বিএনপি

মাঠে নেই বিএনপি
সংবাদচর্চা রিপোর্ট: সারা দেশে নিবার্চনী হওয়া বইছে। সব দল নির্বাচনে অংশ নেওয়ার জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছে।কেউ রাজ পথে প্রকাশ্যে কেউ গোপনে প্রস্তুতি নিচ্ছে। নারায়নগঞ্জ রাজধানীর পাশ্ববর্তী একটি জেলা। এখানে মোট ৫টি আসন রয়েছে। স্বাধীনতার পরবর্তী সময়ে আ.লীগ বিএনপির মধ্যে হাড্ডাহাডি লড়াই হয়েছে।একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আর মাত্র ৮ মাস বাকী। নারায়গঞ্জ জেলা ও মহানগর বিএনপির নেতাদের মাঠে দেখা যাচ্ছে না। কর্মীরা সবাই হতাশ হয়ে নিষ্ক্রিয় দর্শকের মত বসে আছে।

নারায়ণগঞ্জ জেলা বিএনপির সভাপতি কাজী মনিরুজ্জামানের সাথে বিএনপির চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়ার উপদেষ্টা এড.তৈমূর আলমের দ্বন্দ্ব চরমে। তাদের দ্বন্দ্বের কারণে জেলা বিএনপি কয়েকটি গ্রুপে বিভক্ত রয়েছে।মহানগর বিএনপির সভাপতি এড.আবুল কালাম ও সাধারণ সম্পাদক এটিএম কামাল অসুস্থ হয়ে দুজনই বিদেশে রয়েছে। এদিকে নারায়গঞ্জ মহানগরের বিএনপির নেতৃত্ব দেবার মত কোন নেতা নেই। বিএনপির কর্মীদের প্রশ্ন ? কবে আসবে আবুল কালাম,এটিএম কামাল ? কবে বেগম জিয়ার মুক্তির জন্য নারায়ণগঞ্জ বিএনপি রাজপথে তীব্র আন্দোলন গড়ে তুলবে।

মহানগর বিএনপির সহসভাপতি এড. সাখাওয়াত হোসেনের বিরুদ্ধে অভিযোগ রয়েছে সে নিজের বলয় তৈরী করার জন্য সরকারি দলের নেতা কর্মীদের সাথে আতাত করে চলছে। যা দেখে বিএনপির নেতাকর্মীরা ক্ষুব্ধ।জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক মামুন বিভিন্ন মামলায় জর্জরিত কারাগারে তার বেশির ভাগ সময় কাটে। যখন কারাগারের বাইরের থাকেন তখন তিনি রাজ পথে থাকার চেষ্টা করেন।

সম্প্রতি বিএনপির নেতা কর্মীদের মাঠে দেখা যাচ্ছে না। জেলা বিএনপির সভাপতি কাজী মনির তার ব্যবসা নিয়ে ব্যস্ত সময় পার করছে। জেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি তৈমূর আলম খন্দকার বাংলাদেশের জাতীয় সংগীতের বিরোধীতা করে বেশ বির্তকের মধ্যে রয়েছে। তৃণমূলের দাবি নারায়ণগঞ্জ বিএনপিকে বিভিন্ন গ্রুপে বিভাজনের নায়ক তৈমূর আলম খন্দকার।
গত স্বাধীনতা দিবসে নারায়ণগঞ্জ বিএনপি ৪/৫ খন্ডে বিভক্ত হয়ে কর্মসূচি পালন করছে। সম্প্রতি কেন্দ্রের ঘোষিত কর্মসূচি পালন করছে না বিএনপির নেতা কর্মীরা।

নারায়ণগঞ্জ জেলা ও মহানগর বিএনপি কঠিন চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি হয়েছে। এক দিকে দলের প্রধান খালেদা জিয়ার মুক্তির জন্য আন্দোলন জোরদার করা, অপর দিকে নির্বাচনের জন্য প্রস্তুতি নেওয়া ।এদিকে আগামী নির্বাচনকে সামনে রেখে রাজ পথে আ.লীগ নেতৃত্বাধীন মহাজোটের অন্যতম শরিক জাতীয় পাটির সাথে আ.লীগের স্নায়ু যুদ্ধ শুরু হয়েছে।
বর্তমানে নারায়ণগঞ্জে ২টি আসনে জাতীয় পাটির এমপি রয়েছে।তারা দু জন প্রভাবশালী ব্যক্তি।একজন নারায়ণগঞ্জ ৫ আসনের ওসমান পরিবারের সদস্য সেলিম ওসমান অপর জন নারায়ণগঞ্জ ৩ আসনে জাতীয় পাটির যুগ্মমহাসচিব লিয়াকত হোসেন খোকা।
সম্প্রতি নারায়ণগঞ্জে জাপা-আ.লীগের সিনিয়র নেতাদের পাল্টাপাল্টি বক্তৃতার কারণে উত্তপ্ত হয়ে উঠেছে রাজনীতির মাঠ। ওসমান পরিবারের অত্যাচারের হাত থেকে নগর বাসিকে মুক্তি দিতে আ.লীগের বৃহত্তর একটি অংশ কাজ করছে।

ওসমান পরিবারের মিত্র শামীম ওসমানের গুরু মহানগর আ.লীগের সভাপতি জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আনোয়ার হোসেন, সাধারণ সম্পাদক খোকন শাহ, জেলা আ.লীগের সভাপতি আব্দুল হাই, সাধারন সম্পাদক ভিপি বাদল ওসমান পরিবারের নেতৃত্বের বিরোধীতা করে রাজপথে তারা সক্রিয় রয়েছে।তাদের অভিযোগ ওসমান পরিবার এখন জাতীয় পাটির রাজনীতির সাথে জড়িত। সেলিম ওসমান, শামীম ওসমানের জন্য নারায়ণগঞ্জে আ.লীগের নেতা কর্মীরা নির্যাতিত হচ্ছে। সেলিম ওসমান আ.লীগের ঘাটিতে জোর করে জাতীয় পাটির ঘাটি বানানোর চেষ্টা করছে যার কল কাঠি নাড়ছে শামীম ওসমান।

নারায়ণগঞ্জ ৪ আসনে আ.লীগের প্রার্থী পরিবর্তন সহ সবকটি আসনে নৌকার প্রার্থী দেয়ার জন্য রাজ পথে সোচ্চার রয়েছেন জেলা সভাপতি আঃহাই,সাধারণ সম্পাদক ভিপি বাদল,মহানগর আ.লীগের সভাপতি আনোয়ার,সাধারণ সম্পাদক খোকন শাহ,শ্রমিক নেতা পলাশ,আনিছুর রহমান দিপু।

স্পন্সরেড আর্টিকেলঃ