আজ বৃহস্পতিবার, ১৪ই চৈত্র, ১৪৩০ বঙ্গাব্দ, ২৮শে মার্চ, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ

না’গঞ্জে সমাজতান্ত্রীক মহিলা ফোরামের মানববন্ধন

মহিলা ফোরামের মানববন্ধন

মহিলা ফোরামের মানববন্ধন

নিজস্ব প্রতিবেদক:
অব্যাহত নারী ও শিশু নির্যাতন, ধর্ষণ, হত্যার প্রতিবাদে নারায়ণগঞ্জে সমাজতান্ত্রিক মহিলা ফোরাম নারায়ণগঞ্জ জেলা শাখার মানববন্ধন ও প্রতিবাদী মিছিল অনুষ্ঠিত হয়েছে।
শুক্রবার (২৭ এপ্রিল) বিকাল ৫টায় নারায়ণগঞ্জ প্রেস ক্লাবের সামনে মানববন্ধনটি অনুষ্ঠিত হয়। মানববন্ধন শেষে একটি বিক্ষোভ মিছিল শহর প্রদক্ষিণ করে।
সমাজতান্ত্রিক মহিলা ফোরাম নারায়ণগঞ্জ জেলার আহবায়ক জেসমিন আক্তারের সভাপতিত্বে মানববন্ধনে বক্তব্য রাখেন বাসদ জেলা সমন্বয়ক নিখিল দাস, মহিলা পরিষদের লিগ্যাল এইড সম্পাদক শাহানারা বেগম, সমাজতান্ত্রিক ছাত্র ফ্রন্টের জেলা সভাপতি সুলতানা আক্তার, মহিলা ফোরামের সদস্য ইয়াসমিন, রাজলক্ষী, মুন্নি সর্দার প্রমূখ।
নেতৃবৃন্দ বলেন, নারী ও শিশুর প্রতি সহিংসতা ভয়াবহ মাত্রায় বৃদ্ধি পেয়েছে। ব্রাকের রিপোর্টে দেখা যায় ২০১৬ সালের তুলনায় ২০১৭ সালে ৫৮%নারী নির্যাতন বৃদ্ধি পেয়েছে। বিশেষ করে ধর্ষণের হাত থেকে ৩ বছরের শিশুও রেহাই পাচেছ না। ধর্ষণের পরে হত্যাও করা হচ্ছে। গৃহে ৮৭% নারী নির্যাতিত হয়। গণপরিবহনে ৯৪% নারী হয়রানীর শিকার হয়। আইন ও সালিশ কেন্দ্রের রিপোর্ট অনুযায়ী ২০১৭ সালে ৮১৮ জন নারী ধর্ষণের শিকার হয়। ৪৭ জনকে ধর্ষণের পর হত্যা করা হয়। ৭৪ শতাংশ নারী পোষাক শ্রমিক কর্ম ক্ষেত্রে অতিরিক্ত কাজ করতে বাধ্য হয়। শতকরা ৮৪.৭% নারীকে কারখানার ভেতর মৌখিক নির্যাতন অর্থাৎ গালাগালের শিকার হতে হয়। শতকরা ২০ জনকে মারধরের শিকার হতে হয়। ইউনিসেফের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে বাল্যবিবাহের হার ৫২ থেকে বেড়ে ৫৯ শতাংশ হয়েছে। শতাংশের হিসাবে বাংলাদেশ বিশ্বের চতুর্থ অবস্থানে রয়েছে।
বাল্যবিবাহ নিরোধ আইনের নামে বাস্তবে সরকার বাল্যবিবাহ বৈধ করেছে। তনু সহ অতীতের সকল ধর্ষণ ও হত্যাকা-ের বিচার হলে বিউটির ধর্ষণ হত্যাসহ নির্যাতনের সংখ্যা ক্রমাগত বাড়তোনা। বেশির ভাগ নারী ও শিশু নির্যাতনের অপরাধীরা প্রভাবশালী হওয়ায় এবং আইনের মারপ্যাঁচে বের হয়ে যাচ্ছে। ফলে বিচারহীনতার সংস্কৃতি নারী, শিশু ধর্ষণ, হত্যাকে উৎসাহিত করছে। এছাড়া ব্যাপক মাদকের ব্যবহার, পর্ণগ্রাফী এবং বিভিন্ন ধর্মীয় আলোচনার নামে নারী বিদ্বেষী আলোচনা নারীর উপর সহিংসতা বাড়ার ক্ষেত্রে ভূমিকা পালন করছে। আইন দিয়ে এ সমস্যা সমাধান করা যাবে না। প্রয়োজন সকল নারী পুরুষের সম্মিলিত প্রতিরোধ আন্দোলন গড়ে তোলা।
নেতৃবৃন্দ নারী শিশু ধর্ষণসহ নারীর প্রতি সকল প্রকার সহিংসতা বন্ধে দ্রুত প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করার জন্য সরকারের প্রতি জোর দাবী জানান।

স্পন্সরেড আর্টিকেলঃ