আজ বৃহস্পতিবার, ১২ই বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ২৫শে এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ

সোনারগাঁয়ে মহাজোটের প্রার্থী হচ্ছেন লিয়াকত হোসেন খোকা

মহাজোটের প্রার্থী

মহাজোটের প্রার্থী সোনারগাঁ প্রতিনিধি:
নারায়ণগঞ্জ-৩ (সোনারগাঁ) আসনে জাতীয় পার্টির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব লিয়াকত হোসেন খোকা আবারো মহাজোটের প্রার্থী হচ্ছেন এমন খবরে উপজেলাবাসীর ঘরে ঘরে আনন্দের জোঁয়ার বইতে শুরু করেছে। তারা শুক্রবার বাদ জুম্মা উপজেলার বিভিন্ন মসজিদে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান পল্লীবন্ধু হুসেইন মুহাম্মদ এরশাদ ও বেগম রওশন এরশাদ সহ গরীবের বন্ধু খ্যাত লিয়াকত হোসেন খোকা এমপির জন্য বিশেষ দোয়া, মিলাদ মাহফিল ও তোবারক বিতরন করেছেন।
জানা যায়, দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে দেশের অন্যতম রাজনৈতিক দল বিএনপি অংশগ্রহণ না করায় রাজনৈতিক কৌশল অবলম্বন করে আসন ভাগাভাগির মাধ্যমে নারায়ণগঞ্জ-৩ (সোনারগাঁ) আসনে মহাজোটের প্রার্থী হন জাতীয় পার্টির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব লিয়াকত হোসেন খোকা। এরপর কোন প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী না থাকায় তিনি বিনা ভোটে এমপি নির্বাচিত হন।
এদিকে আগামী ৩০ ডিসেম্বর অনুষ্ঠিতব্য একাদশ সংসদ নির্বাচনে এই আসন থেকে নৌকার মাঝি দেখতে চেয়েছিলেন স্থানীয় আওয়ামীলীগের নেতাকর্মীরা। কিন্তু বিভিন্ন সূত্রের দাবি, গতবারের ন্যায় এবারো আসন ভাগাভাগির কারণে নারায়ণগঞ্জ-৩ আসনটি জাতীয় পার্টিকে ছেড়ে দেয়া হয়েছে। আর এ আসনে লিয়াকত হোসেন খোকার মনোনয়ন এখন চূড়ান্ত। ২৫ নভেম্বর রবিবার আনুষ্ঠানিকভাবে তা ঘোষনা দেয়া হতে পারে। তাই গরীবের বন্ধু খ্যাত লিয়াকত হোসেন খোকা আবারো মহাজোটের প্রার্থী হচ্ছেন এমন খবরে উপজেলাবাসীর ঘরে ঘরে আনন্দের জোঁয়ার বইতে শুরু করেছে। তারা ২৩ নভেম্বর শুক্রবার বাদ জুম্মা উপজেলার বিভিন্ন মসজিদে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান পল্লীবন্ধু হুসেইন মুহাম্মদ এরশাদ ও বেগম রওশন এরশাদ সহ লিয়াকত হোসেন খোকা এমপির জন্য বিশেষ দোয়া, মিলাদ মাহফিল ও তোবারক বিতরন করেছেন।
এ প্রসঙ্গে উপজেলাবাসী জানায়, গরীবের বন্ধু লিয়াকত হোসেন খোকা এমপি হওয়ার পর গত ৫ বছর সোনারগাঁয়ের মানুষের মন জয় করার জন্য দিন রাত কঠোর পরিশ্রম করেছেন। তার উন্নয়নমুখী ও সেবামূলক রাজনীতির কারণে এ উপজেলায় দীর্ঘদিন ধরে চলে আসা প্রতিহিংসার রাজনীতির সমাপ্তি ঘটেছে। তিনি মাত্র ৫ বছরে যে উন্নয়ন করেছেন তা বিগত ২০ বছরেও হয়নি। তিনি উপজেলার খেঁটে খাওয়া সাধারন মানুষকে ভালোবেসে বুকে টেনে নিয়েছেন। তাদের সুখ দুঃখের ভাগি হয়েছেন। তাদেরকে জালেমদের জুলুম নির্যাতন থেকে রক্ষা করেছেন। তাই তাকে গরীবের বন্ধু উপাধি দেয়া হয়েছে। তার কারণে গত ৫ বছর উপজেলাবাসী শান্তিতে বসবাস করেছে। তার ভয়ে চিহ্নিত মাদক ব্যবসায়ী ও সন্ত্রাসীরা হয় ভালো হয়ে গেছে, না হয় উপজেলা ছেড়ে পালিয়ে গেছে। এছাড়া তিনি গোটা উপজেলায় নির্মাণ করেছেন অসংখ্য রাস্তাঘাট, ব্রীজ, কালভার্ট এবং স্কুল কলেজ মাদ্রাসায় নতুন ভবন। প্রাথমিক বিদ্যালয়গুলোতে শতভাগ বিদ্যুতায়ন, বিশুদ্ধ পানি সরবরাহ ও ওয়াশব্লক নির্মাণ তারই অবদান। এছাড়া তিনি সংস্কার করেছেন দীর্ঘদিন ধরে খানাখন্দে জরাজীর্ণ হয়ে থাকা উপজেলার প্রধান প্রধান সড়কগুলো। গ্রামীন সড়কগুলোতে সিসি অথবা আরসিসি ঢালাই করে দিয়েছেন। উপজেলার এমন কোন মসজিদ ও মন্দির নেই যেখানে এমপি লিয়াকত হোসেন খোকার উন্নয়নের ছোঁয়া লাগেনি। তিনি এ উপজেলাবাসীর দীর্ঘদিনের স্বপ্নের ফায়ার সার্ভিস ষ্টেশন নির্মাণ করেছেন। তার হাত ধরেই সোনারগাঁ লোক ও কারুশিল্প জাদুঘরের পাশে নির্মিত হয়েছে শেখ রাসেল মিনি স্টেডিয়াম। তিনি মুক্তিযোদ্ধাদের জন্য নির্মাণ করেছে মুক্তিযোদ্ধা কমপ্লেক্স। শহীদ মুক্তিযোদ্ধাদের স্মরণে নির্মাণ করেছেন বিজয় স্তম্ভ। উপজেলার উত্তরাঞ্চলের ৫টি ইউনিয়নের মানুষ স্বাধীনতার পর থেকে ব্রহ্মপুত্র নদের উপর যে হরিহরদী সেতুর স্বপ্ন দেখে আসছিলো, এমপি লিয়াকত হোসেন খোকা তা বাস্তবায়িত করেছেন। তিনি নির্মাণ করেছেন বহু মানুষের আকাঙ্খিত ভাটিবন্দর সেতু। তার ঐক্যান্তিক প্রচেষ্টায় শম্ভুপুরা ইউনিয়নে নবীনগর থেকে সাবদী বাজার সেতুর অনুমোদন হয়েছে। শীঘ্রই এই সেতুর নির্মাণকাজ শুরু হবে বলে জানা গেছে। বিগত দিনের এমপিরা সোনারগাঁয়ের উত্তরাঞ্চলবাসীর সাথে বিমাতার ন্যায় আচরন করলেও এমপি খোকার আমলে এই অঞ্চলের এমন কোন পাড়া-মহল্লা নেই যেখানে উন্নয়ন হয়নি। উপজেলার অলিগলি ও রাস্তাঘাটে স্থাপন করা হয়েছে অসংখ্য সোলার ল্যাম্প। কবরস্থানগুলোতে সোলার ল্যাম্প স্থাপন ও লাশ ঘর নির্মাণ করা হয়েছে। গত এক মাস পূর্বে তিনি ৩ শতাধিক উন্নয়নকাজের শুভ উদ্বোধন করেছেন। যেগুলোর কিছু কিছু ইতিমধ্যে সম্পন্ন হয়েছে। বাকীগুলোর কাজ চলছে। এছাড়া উপজেলার মোগরাপাড়া চৌরাস্তা থেকে আনন্দবাজার পর্যন্ত সড়কটিতে আরসিসি ঢালাইয়ের মাধ্যমে দীর্ঘস্থায়ী সংস্কারের অনুমোদন করিয়েছেন এমপি খোকা। জামপুর ইউনিয়নের বস্তল থেকে মাঝেরচর পর্যন্ত সড়কটির সংস্কার কাজের অনুমোদন করিয়েছেন তিনি। নয়াপুর বাজার থেকে সাদিপুর পর্যন্ত সড়কটির উন্নয়নকাজের টেন্ডার হয়েছে। এই সড়কগুলোর কাজ শীঘ্রই শুরু হবে।
এমপি লিয়াকত হোসেন খোকার উন্নয়নমূলক কাজের কারণে সাধারন জনগণের পাশাপাশি উপজেলার প্রায় সকল ইউপি চেয়ারম্যান, ইউপি মেম্বার, পৌরসভার মেয়র ও কাউন্সিলরবৃন্দ তাকে আবারো সোনারগাঁয়ের এমপি হিসেবেই দেখতে চায়। তাইতো উপজেলার বয়োজ্যোষ্ঠ রাজনীতিবিদ ও সাদিপুর ইউপি চেয়ারম্যান আব্দুর রশিদ মোল্লাকে বিভিন্ন সময় বিভিন্ন অনুষ্ঠানে বলতে শোনা গেছে, এমপি খোকার মত এমন এমপি সোনারগাঁয়ে আর কখনো হয়নি। পৌরসভার মেয়র সাদেকুর রহমান ভূঁইয়া বিভিন্ন অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখতে গিয়ে এমপি খোকাকে গরীবের বন্ধু বলে ঘোষনা দিয়েছেন। বারদী ইউপি চেয়ারম্যান জহিরুল হক, শম্ভুপুরা ইউপি চেয়ারম্যান আব্দুর রউফ, বৈদ্যেরবাজার ইউপি চেয়ারম্যান ডা. আব্দুর রউফ, কাঁচপুর ইউপি চেয়ারম্যান মোশারফ ওমর, নোয়াগাঁও ইউপি চেয়ারম্যান ইউসুফ দেওয়ান, পিরোজপুর ইউপি চেয়ারম্যান ইঞ্জিনিয়ার মাসুদুর রহমান মাসুম, সনমান্দী ইউপি চেয়ারম্যান জাহিদ হাসান জিন্নাহ ও জামপুর ইউপি চেয়ারম্যান হামীম শিকদার শীপলুর বক্তব্যেও বারবার এমপি খোকার ভূয়সী প্রশংসার কথা ফুটে উঠেছে।

স্পন্সরেড আর্টিকেলঃ