আজ বৃহস্পতিবার, ১২ই বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ২৫শে এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ

মসজিদ খুলে দেয়ার দাবি

বিশেষ প্রতিবেদক
করোনা ভাইরাসে বাণিজ্য নগরী নারায়ণগঞ্জে চলমান লকডাউনের মাঝেই সীমিত আকারে মার্কেট খুলে দেয়ার সিদ্ধান্তে উপনীত হয়েছে সরকার। এর আগে গার্মেন্ট কারখানা খুলে দেয়া হয়। এনিয়ে জেলা জুড়ে বিভিন্ন মহলে মিশ্র প্রতিক্রিয়া দেখা দিয়েছে। একদিকে দেশের অর্থনীতি সচল রাখার জন্য মার্কেট খোলার পক্ষে ব্যবসায়ীদের অবস্থান, অন্যদিকে করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়ার আশঙ্কা স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞদের। এরই মাঝে এবার মসজিদ খুলে দেয়ার আহ্বান জানিয়েছেন ধর্মপ্রান ইসলামিক নেতারা।
গত ৮ মার্চ করোনা রোগী শনাক্ত হবার একমাস পর ৮ এপ্রিল দেশে প্রথম নারায়ণগঞ্জ জেলা লকডাউনের আওতায় নিয়ে আসা হয়। চলমান লকডাউন বলবৎ থাকার মাঝেই ২৬ এপ্রিল খুলে দেয়া হয় অধিকাংশ কারখানার একাংশ। বলা হয় কারখানার ৩০ শতাংশ শ্রমিক কাজে যোগ দিয়ে সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে কাজ করবেন। তবে বাস্তবে ঠিক বিপরীত চিত্র বার বার উঠে এসেছে গণমাধ্যমে। নতুন করে আগামী ১০ মে থেকে সকল ব্যবসা প্রতিষ্ঠান খুলে দেয়ার সিদ্ধান নেয়ায় এবার ধর্মীয় প্রার্থনালয় খুলে দেয়ার দাবী উঠেছে স্বাভাবিক ভাবেই। তবে জেলা ধর্ম মন্ত্রণালয় এ ব্যাপারে কোন স্পষ্ট মত প্রকাশ করতে পারেননি।
নারায়ণগঞ্জ জেলা হেফাজতে ইসলামীর আহবায়ক মাওলানা আবদুল আউয়াল বলেন, মসজিদ বন্ধ রেখে দোকান পাট কিভাবে আগে খুলে দেয়ার মত সিদ্ধান্ত নেয়া হয় তা আমাদের বোধগম্য নয়। মসজিদে আমরা যথেষ্ট দুরত্ব রেখে নামাজ আদায় করেছি। কিন্তু কোনভাবেই সামাজিক দূরত্ব গার্মেন্টস বা বাজারে রাখতে দেখা যায়নি। সুতরাং মসজিদ খুলে দেয়ার দাবি জানাই।
ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের নারায়ণগঞ্জ মহানগর শাখার আমীর মুফতি মাসুম বিল্লাহ বলেন, আমরা স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের সকল দিক নির্দেশনা বজায় রেখে মসজিদে নামাজ আদায় করতে চেয়েছি। কিন্ত কোনভাবেই আমাদের সেই সুযোগ দেয়া হচ্ছে না। এই ব্যাপারে আমাদের কেন্দ্রীয় নির্দেশনা এসেছে মসজিদ খুলে দেয়ার জোড়ালো দাবি জানাতে। বাজার খোলা থাকলে মসজিদ কেন খোলা হবেনা এর যুক্তিযুক্ত ব্যাখ্যা আমরা চাই।
নারায়ণগঞ্জ ওলামা পরিষদের অন্যতম নেতা মাওলানা ফেরদাউসুর রহমান বলেন, মার্কেট হাট বাজার খুলে দেয়া হলেও এখনও মসজিদ খুলে দেয়া হচ্ছে না। এটা অত্যান্ত মর্মাহত করার মত একটি বিষয়। সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে মসজিদের নামাজ পড়া অবশ্যই সম্ভব। হাট বাজারে সামাজিক দূরত্ব না মানলেও মসজিদে অবশ্যই দূরত্ব রাখা যাবে। সরকার মসজিদে কোন নিরাপত্তা সামগ্রী না দিয়েই বন্ধ করে দিলো।
তবে এই ব্যাপারে জেলা ইসলামি ফাউন্ডেশনের উপ-পরিচালক জাকির হোসাইন বলেন, আমাদের ব্যক্তিগত সিদ্ধান্তের উপর নারায়ণগঞ্জ নিয়ে কোন বক্তব্য দেয়া সম্ভব নয়। আমাদের ধর্মমন্ত্রী কিংবা মন্ত্রণালয় থেকে যদি কোন নির্দেশনা দেয়া হয় তবে সেই মোতাবেক সিদ্ধান্ত জানিয়ে দেয়া হবে। বিষয়টি নিয়ে পুরো দেশেই একটু মিশ্র প্রতিক্রিয়া রয়েছে।

স্পন্সরেড আর্টিকেলঃ