আজ শনিবার, ১৪ই বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ২৭শে এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ

ভোটের ফল প্রকাশের পরে ফ্রি-তে ভ্যাকসিন

নিজস্ব প্রতিবেদন:
ভোট মিটে (ফল প্রকাশ) যাওয়ার পর রাজ্যবাসীকে সম্পূর্ণ বিনামূল্যে ভ্যাকসিন দেওয়ার ঘোষণা করলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় । দক্ষিণ দিনাজপুরের তপনের জনসভায় মমতা বলেন,”১৮ বছরের ঊর্ধ্বে যে টিকা চাইবে, সে-ই পাবে সম্পূর্ণ বিনা পয়সায়।”

ভ্যাকসিন বিদেশে রফতানি না করে দেশের মানুষকে দিলে পরিস্থিতি এমনটা হত না বলে দাবি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের । তাঁর কথায়,”আগেরবার কোভিডে কত টাকা খরচ হয়েছে! কত মানুষ মারা গিয়েছিল! তাও সামলে নিয়েছিলাম। এবছর কোভিড হওয়ার কথা ছিল না। দিল্লি আগে থেকে ভ্যাকসিন দিয়ে দিলে এটা হত না। আমি নরেন্দ্র মোদীকে বললাম, ভ্যাকসিনটা দাও। আমি পয়সা দিয়ে পাবলিককে কিনে দেব। আমি ইঞ্জেকশন দিয়ে দেব। নরেন্দ্র মোদী দিল না! এখন বেড়ে গিয়েছে বলে নরেন্দ্র মোদী জনগণকে বলছে, তুমি জোগাড় করে নাও। কোথা থেকে জোগাড় করবে? দেশের ভ্যাকসিন তুমি বিদেশে পাঠিয়ে দিয়েছ।”
ভ্যাকসিনের জোগান কম থাকলেও রাজ্য টিকাকরণে রেকর্ড করেছে বলে দাবি করলেন মমতা । তাঁর কথায়,”৯৩ লক্ষ ডোজ দিয়ে দিয়েছি। প্রতিদিন ৪০-৫০ হাজার দিচ্ছি। আরও এক কোটি ডোজ চেয়েছি। কলকাতা থেকে শুরু হয়েছে। কারণ ওই জায়গায় প্রকোপ বেশি। ইলেকশন রেজাল্ট বেরানোর পর ৫ মে থেকে ইউনিভার্সাল ভ্যাকসিন দেব। ১৮ বছর থেকে যে চাইবে সে-ই পাবে সম্পূর্ণ বিনা পয়সায়। সরকার থেকে ভ্যাকসিনটা কিনে দেব। এখনও বিনা পয়সায় দিচ্ছি।’

কেন্দ্র-রাজ্য ভ্যাকসিনের দামের ফারাক নিয়েও আরও একবার সোচ্চার হয়েছেন মমতা । বলেন,”রাজনৈতিকভাবে বিজেপি বলবে ওয়ান নেশন, ওয়ান পলিটিশিয়ান ওয়ান গর্ভমেন্ট, আর যখন ভ্যাকসিনের সময় হবে তখন বলবে ওয়ান ভ্যাকসিন মেনি প্রাইস। ওয়ান ভ্যাকসিন ওয়ান প্রাইস হবে। ওয়ান ভ্যাকসিন মেনি প্রাইস কেন হবে? কেন্দ্র কিনলে ১৫০ টাকা। রাজ্য কিনলে ৪০০ টাকা। প্রাইভেট কিনলে ৬০০ টাকা। কী হচ্ছে এটা? সব ভ্যাকসিন এমার্জেন্সি। এটা ব্যবসা করার জায়গা নয়। সমস্ত জাতি-বর্ণকে এক দামে ভ্যাকসিন দিতে হবে। কেন্দ্রের কাছে টাকা কম আছে! রিজার্ভ ব্যাঙ্কে টাকা আছে। পিএম কেয়ারের টাকাগুলো কোথায় গেল? ওই টাকা দিয়ে ভ্যাকসিন দেওয়া হলে কোভিড হত না।”

স্পন্সরেড আর্টিকেলঃ