আজ শুক্রবার, ১৫ই চৈত্র, ১৪৩০ বঙ্গাব্দ, ২৯শে মার্চ, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ

ভুতুড়ে অবস্থায় সামাজিক বন সংরক্ষণ বিভাগ ,অফিস আছে কর্মকর্তা নেই !

নিজস্ব প্রতিবেদক

নারায়ণগঞ্জের সামাজিক বন বিভাগে কি হচ্ছে? প্রাকৃতিক পরিবেশ রক্ষা করতে পারছে নাকি ব্যর্থ? কি করছেন এখানে কর্মরত কর্মকর্তা কর্মচারীরা? সরকার সামাজিক পরিবেশ রক্ষা করার জন্য সামাজিক বন সংরক্ষণ বিভাগের মাধ্যমে জনগনের বেঁচে থাকার পরিবেশ রক্ষার্তে বিভিন্ন কর্মসূচির মাধ্যমে উন্নয়ণ পরিষর করার লক্ষে কাজ করছে কিন্ত কি হচ্ছে তা কেউ দেখছে? এই সামাজিক বন বিভাগের মধ্যমে কি সাধারণ জনগণের উপকার হচ্ছে?

গতকাল মঙ্গলবার সকালে সরেজমিনে নারায়ণগঞ্জে পঞ্চবটিতে অবস্থিত বন সংরক্ষণ বিভাগের নারায়ণগঞ্জ কার্যলয়ে গিয়ে দেখা সে খানে কোন কর্মকর্তা নেই শুধু মাত্র বাগান মালিরা গাছ উপাদনের জন্য মাটি পরিচর্যার কাজ করছে। বন সংরক্ষণ কার্যালয় ছিল কলাপ লাগানো তালাবদ্ধ। এই যদি হয় অফিস তাহলে জনগণ আর কি সেবা পাবে? কর্মকতাদের খোঁজ করলে বাগান মালিরা বিভিন্ন ধরনের অজুহাত দেখান।

বাগান মালি মোস্তফা বলেন, এখানে মাত্র দুই জন অফিসার বসেন এছাড়া ৪ জন মালি এখানে কাজ করে। আমরা মাঠে কাজ করি। আর এখানে একজন স্যার দুইটি দায়িত্বে আছেন স্যার বিভিন্ন কাজে বেশির ভাগ সময় অফিসের বাহিরে থাকেন। আমরা রাগান মালিরা বছরে চল্লিশ হাজার থেকে পঞ্চাশ হাজার গাছের চারা উপাদন করে থাকি এবং এর মধ্যে অধিকাংশ চারা বিক্রি হয়ে যায় তবে জনগণ কে আসলে পুরোপুড়ি সেবা দিতে পারছিনা । এছাড়া ইব্রাহিম হোসেন ,শরিফ হোসেন ও আরো একজন কাজ করেন। আমরা অফিসের ভিতরে দুইজন থাকি আর বাকি মালিরা বাহিরে থাকে। ভিহরে রুম গুলো ভাঙ্গা নষ্ট তাই এখানে কেউ থাকে না।

আরেক বাগান মালি শরিফ হোসেন বলেন, আমাদের সদর উপজেলা,বন্দর, রূপগঞ্জ, আড়াইহাজার,সোনাগাঁ,উপজেলা গুলোতে একজন অফিসার ও একজন করে বাগান মালি রয়েছে।আর এখানে জেলার কার্যক্রম চালানো হয়। আমাদের এখানে মালি ঠিক আছে কিন্তু বাকিরা…….। আমরা সবার কাছে গাছ বিক্রি করি।

নারায়ণগঞ্জ পরিবেশবাদী সংগঠক এ বি সিদ্দিক বলেন, আমি কয়েকদিন আগে নারায়ণগঞ্জের সামাজিক বন সংরক্ষণ বিভাগের অফিসে গিয়েছিলাম। কিন্তু দুঃখের বিষয় এই যে, সেখানে কোন কর্মকর্তাকে পাওয়া যায় নি। শুধু পেয়েছি ভবনের নিরাপত্তায় নিয়োজিত একটি সিকিউরিটি গার্ডকে। সরকারি কর্মকর্তারা যদি সরকারি দায়িত্ব অবহেলা করেন এটা অত্যন্ত নিন্দনীয়। পরিবেশ বাদীরা প্রত্যাশা করে দ্রুত সময়ের মধ্যে এ সকল কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে উর্ধতন কর্তৃপক্ষ প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহন করবেন যাতে করে সামাজিক বন সংরক্ষণ বিভাগের মাধ্যমে যে সকল সেবা জন সাধারণকে দেওয়ার পরিকল্পনা করেছে সরকার তা যাতে যথাযথ ভাবে পায়।

এ বিষয়ে বন সংরক্ষণ বিভাগের সহকারী কর্মকর্তা মোহসীনা বেগমের মুঠো ফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান, আমি বর্তমানে নারায়ণগঞ্জের দায়িত্বে নিয়োজিত নেই। বর্তমানে কে দায়িত্বে আছেন তা আমার জানা নেই। উল্লেখ্য যে, নারায়ণগঞ্জ বন সংরক্ষণ বিভাগের ওয়েব সাইট থেকে সহকারী বন সংরক্ষন কর্মকর্তা মোহসীনা বেগমের মোবাইল নাম্বারটি সংগ্রহ করা হয়েছে। সেই ওয়েব সাইটে তাকে এখনো সহকরী বন সংরক্ষন কমকর্তা হিসেবে উপস্থাপন করা হয়েছে।

স্পন্সরেড আর্টিকেলঃ