আজ শনিবার, ৭ই বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ২০শে এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ

ভাড়া কমলেও ভাড়াটে নেই !

বিশেষ প্রতিবেদক
করোনা পরিস্থিতির কারণে কমেছে মানুষের আয়। স্বাভাবিকভাবে থাকা-খাওয়াটাই এখন নিম্ন ও মধ্যবিত্তদের জন্য চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়িয়েছে। চাপে পরে ভাসমান অনেক মানুষ ছুটে চলেছেন গ্রামের বাড়িতে। ফলে, শহরের অলিতে-গলিতে দেখা মিলছে অসংখ্য টু-লেট। শোনা যাচ্ছে, বাড়িওয়ালারা বাড়িভাড়া কমিয়েও ভাড়াটিয়া খুঁজে পাচ্ছে না।

সূত্রানুযায়ী, দেশে প্রথম করোনা রোগী শনাক্ত হয় ৮ মার্চ। ভাইরাসটিতে আক্রান্ত তিনজন ব্যক্তির মধ্যে দু’জনই ছিলো নারায়ণগঞ্জের। এরপর থেকেই জেলায় ক্রমস বাড়তে শুরু করে সংক্রমণ। একপর্যায়ে আইইডিসিআর থেকে নারায়ণগঞ্জকে রেডজোন হিসেবে ঘোষণা করা হয়। তার কিছুদিন পরই সরকার থেকে সিদ্ধান্ত আসে পুরো জেলা লকডাউন করার। সে সময়টাতেই মানুষ সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে। কোভিড-১৯’র কারণে মধ্যবিত্ত ও নিম্নবিত্ত অধিকাংশ মানুষের আয় কমে ব্যয় বৃদ্ধি পেয়েছে। যাদের আয় কম তারাই ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছেন বেশি। আবার এমন অনেক ব্যক্তি আছেন যাদের আয়ের উৎসই বন্ধ হয়ে গেছে।

নারায়ণগঞ্জ সদর উপজেলাধীন বেশ কিছু এলাকা ঘুরে এবং মানুষের সাথে কথা বলে জানা গেছে, অধিকাংশ বাসা থেকে কমপক্ষে একটি পরিবার চলে গেছেন গ্রামে। করোনা পরিস্থিতির কারণে মানুষ একটু কম টাকায় বাসা ভাড়া নেয়ার চেষ্টায় করেই চলেছেন। কিছু ক্ষেত্রে দেখা যায়, বেশ কিছু বাড়িওয়ালা নিজের বাসার ভাড়াও কমিয়ে দিয়েছেন। তারপরেও তার বাসার বেশ কিছু ঘর ফাঁকা।
ফতুল্লার রামারবাড় এলাকার বাড়িওয়ালা ইমদাদুল হক জানান, তার বাসায় মোট ৬টি ঘর। করোনা পরিস্থিতির আগে তার বাসায় ঘরভাড়া নেয়ার জন্য অনেক আগে থেকে যোগাযোগ রাখতে হতো। অথচ এখন তার বাড়ির ২টি ঘর ফাঁকা। ভাড়াটিয়া চলে গেছে ১ মাসেরও বেশি। এখনও নতুন ভাড়াটিয়া আসেনি।

দেওভোগ এলাকার ৫তলা বাড়ির মালিক তন্ময় শিকদার জানান, করোনা দেশের প্রেক্ষাপটই বদলে দিয়েছে। আগে ভাড়াটিয়ারা নিয়মিত বাড়িভাড়া পরিশোধ করতো। এখন অনেকেই ভাড়া জমিয়ে রাখে। কারও কাছ থেকে আমি ২ মাসের ভাড়াও পাই। এমতাবস্থায় কাউকে চাপ দেয়াও সম্ভব হচ্ছে না।

এসএমআর

স্পন্সরেড আর্টিকেলঃ