আজ বৃহস্পতিবার, ৫ই বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১৮ই এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ

ভাষা আন্দোলনে বঙ্গবন্ধুর অবদান তরুণ প্রজন্মের কাছে তুলে ধরতে হবে: বস্ত্র ও পাট মন্ত্রী

নবকুমার:

বাংলা ভাষা কে রাষ্ট্রভাষা করার জন্য বাঙালি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের অবদানের কথা তরুণ প্রজন্মের কাছে তুলে ধরার আহবান জানিয়েছেন নারায়ণগঞ্জ ১ আসনের সংসদ সদস্য বস্ত্র ও পাট মন্ত্রী গোলাম দস্তগীর গাজী বীর প্রতীক।

বুধবার ৬৭ তম আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা ও শহীদ দিবস উদযান উপলক্ষ্যে দৈনিক সংবাদচর্চা কে দেয়া এক সাক্ষাতকারে গোলাম দস্তগীর গাজী একথা বলেন ।

ভাষা আন্দোলনে বঙ্গবন্ধুর অবদানের কথা উল্লেখ করে গোলাম দস্তগীর গাজী বলেন, ১৯৪৮ সালের ১১ মার্চ ভাষা আন্দোলনের ইতিহাসে এক অনন্য অবিস্মরণীয় দিন। এই দিনে রাষ্ট্রভাষা বাংলার দাবিতে সর্বাত্মক সাধারণ ধর্মঘট পালিত হয়। এটাই ছিল ভাষা আন্দোলনের ইতিহাসে তথা পাকিস্তান প্রতিষ্ঠার পর এ দেশে প্রথম সফল হরতাল। এই হরতালে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান নেতৃত্ব প্রদান করেন এবং পুলিশি নির্যাতনের শিকার হয়ে গ্রেপ্তার হন। ‘স্বাধীন পাকিস্তানের রাজনীতিতে এটিই প্রথম গ্রেপ্তার।

বঙ্গবন্ধু ১৯৪৮ সালের ১০ মার্চ ঢাকায় আসেন। ’ ১১ মার্চের হরতাল কর্মসূচিতে বঙ্গবন্ধু এতটাই উৎসাহিত হয়েছিলেন যে, এ হরতাল ও কর্মসূচি তার জীবনের গতিধারা নতুনভাবে প্রবাহিত করে। পাকিস্থান সরকার রবিন্দ্র সংগীত নিষিদ্ধ করলে বঙ্গবন্ধু আন্দোলনে ফেটে পড়ে। জেল খানা থেকে বঙ্গবন্ধু ভাষা আন্দোলনের খোজ খবর নেন এবং সবাইকে আন্দোলন চালিয়ে যেতে বলেন।  জেল থেকে মুক্তি পেলেই বঙ্গবন্ধু ভাষা আন্দোলনে লিপ্ত থাকা  তার সহযোদ্ধাদের কাছে ছুটে যেতেন এবং বিভিন্ন দিকনির্দেশনা দিতেন। বঙ্গবন্ধু বাঙালি সংস্কৃতি রক্ষার মহানায়ক ছিলেন। বঙ্গবন্ধুর আগে বাংলা ভাষার জন্য কোন নেতা জেলা খাটে নাই। ১৯৪৮ সালের ১৬ মার্চ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বটতলায় ভাষা আন্দোলনকে বেগবান করার লক্ষ্যে এক সাধারণ ছাত্রসভা অনুষ্ঠিত হয়।  ওই সভায় সভাপতিত্ব করেন সদ্য কারামুক্ত নেতা শেখ মুজিবুর রহমান।

মন্ত্রী বলেন, ভাষা আন্দোলনে বঙ্গবন্ধুর অবদানকে ইতিহাস থেকে মুছে ফেলার জন্য একটি চক্র চেষ্টা চালিয়েছে । তা বঙ্গবন্ধুর কন্যা শেখ হাসিনার নেতৃত্বে দমন করা হয়েছে। আমাদের তরুণ প্রজন্মের কাছে ভাষা আন্দোলনের সঠিক ইতিহাস তুলে ধরতে হবে। পৃথিবীর অনেক দেশ আছে ভাষা আন্দোনের ইতিহাস জানে না। বিশ্ববাসির কাছে ভাষা আন্দোলনের ইতিহাস তুলে ধরতে দল মত নির্বিশে  সবাইকে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করতে হবে।

বঙ্গবন্ধুকে সেরা বাঙালি উল্লেখ করে গোলাম দস্তগীর গাজী , বঙ্গবন্ধু বাংলাকে একক অফিস আদালতের ভাষা হিসেবে ব্যবহার করার চেষ্টা চালিয়েছে। ১৯৭৪ সালে জাতিসংঘের অধিবেশনে বিশ্ব নেতৃবৃন্দের সামনে বাংলায় ভাষণ দিয়ে বাংলা ভাষাকে বিশ্ববাসির নিকট পরিচয় করে দিয়েছেন যা বাঙালির জন্য এক গৌরব মত অধ্যায়।

তিনি বলেন, একুশ মানে দাবি আদায়। একুশ মানেই হারা না মানা। একুশ মানে বাঙালি জাতীয়তাবাদে উদ্বুদ্ধ হওয়া। সেই একুশের চেতনা বুকে ধারণ করে বঙ্গবন্ধুর কন্যা শেখ হাসিনা বাংলাদেশ কে সমৃদ্ধির পথে নিয়ে যাচ্ছে।

এছাড়া ১৯৫২ সালের ২১ শে ফেব্রুয়ারী ভাষা আন্দোলনে নিহত সালাম রফিক জব্বার শফিউর সহ সকল শহীদদের আত্নার শান্তি কামনা করেছেন বস্ত্র ও পাট মন্ত্রী গোলাম দস্তগীর গাজী বীর প্রতীক।

স্পন্সরেড আর্টিকেলঃ