আজ বৃহস্পতিবার, ১২ই বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ২৫শে এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ

ভারতের পরবর্তী প্রধানমন্ত্রী হচ্ছে রাহুল গান্ধী

ভারতের পরবর্তী প্রধানমন্ত্রী হচ্ছে

ভারতের পরবর্তী প্রধানমন্ত্রী হচ্ছে

আন্তর্জাতিকচর্চা:

নারীদের মধ্যে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির জনপ্রিয়তার কথা আগে তুলে ধরত বিজেপি। দেশের অর্ধেক ভোটব্যাঙ্কে এবারে রাহুল গান্ধীর গ্রহণযোগ্যতা বাড়তেই কপালে ভাঁজ মোদির দলের।

গতকাল মঙ্গলবার দিল্লির তালকাটোরা স্টেডিয়ামে নারী কংগ্রেসের অনুষ্ঠানে রাহুলকে ঘিরে উন্মাদনা ছিল চোখে পড়ার মতো। সুস্মিতা দেব, শর্মিষ্ঠা মুখোপাধ্যায়ের উদ্যোগে আয়োজিত সম্মেলনে রাহুলকে প্রধানমন্ত্রী করার পণ করেন নেত্রীরা। ভবিষ্যতে নারীদের জন্য কংগ্রেসের ৫০ শতাংশ পদ সংরক্ষণের লক্ষ্যের কথা জানিয়ে রাহুলও তেড়েফুঁড়ে আক্রমণ করেন আরএসএস-মোদিকে। নারী সংরক্ষণ বিল পাশ করানোর দাবিতে চ্যালেঞ্জ ছোড়েন প্রধানমন্ত্রীকে।

সঙ্ঘকে নিশানা করে রাহুল বলেন, ‘বিজেপির ‘রিমোট কন্ট্রোল’ আরএসএসে নারীদের প্রবেশ নিষিদ্ধ। কোনও দিনই ঠাঁই হবে না। আর মোদি জমানায় দেশে নারীদের নিরাপত্তাও শিকেয় উঠেছে। বিহার-উত্তরপ্রদেশে একের পর এক ধর্ষণ হচ্ছে, অথচ প্রধানমন্ত্রী চুপ।’ এই মঞ্চেই রাহুল নারী কংগ্রেসের একটি পৃথক পতাকা, লোগো ও থিম-সং চালু করেন। নারীদের উদ্দেশে বলেন, ‘আপনাদের অধিকার কংগ্রেস সভাপতির লড়াই। কংগ্রেসে পুরুষ ও নারীদের সমান ক্ষমতা থাকলেও নারীদেরই প্রাধান্য দেওয়া হবে।’ নারীদের নিয়ে ভোটের ঘুঁটি সাজানো মোদি-অমিত শাহের পুরনো কৌশল। সম্প্রতি বুথে বুথে নারী-বাহিনী তৈরিরও নির্দেশ দিয়েছেন অমিত। এবার রাহুলও বুথে বুথে নারী-বাহিনী গড়ছেন।

রাহুলের অভিযোগ নিয়ে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী স্মৃতি ইরানি বলেন, ‘ভারতের প্রতিরক্ষামন্ত্রী, বিদেশমন্ত্রী, লোকসভার স্পিকার নারী। এরা বিজেপি ও আরএসএসের সঙ্গে যুক্ত বলেই এদের অসম্মান করা হবে?’ আর এক মন্ত্রী রবিশঙ্কর প্রসাদের মন্তব্য, ‘বিজেপিতেই সব থেকে বেশি নারী সাংসদ ও বিধায়ক। কী করে রাহুল গান্ধী এমন অভিযোগ করছেন?’

সূত্র: আনন্দবাজার

স্পন্সরেড আর্টিকেলঃ