আজ বৃহস্পতিবার, ১২ই বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ২৫শে এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ

বড় মিয়ার বিরুদ্ধে নালিশ

নিজস্ব প্রতিবেদক

জাতীয় পার্টির এমপি সেলিম ওসমানের ‘গাঞ্জা’ আবিস্কারে চারদিকে ছি ছি রব উঠেছে। মহান মুক্তিযুদ্ধের নেতৃত্বদানকারি বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের প্রতীক নৌকা নিয়ে জাতীয় পার্টির এমপি যে বক্তব্য দিয়েছেন তা সমালোচনার জন্ম দিয়েছে। প্রশ্ন উঠেছে, এত কিছু থাকতে তিনি গাঞ্জা উচ্চারণ করলেন কেন।
নাসিম ওসমান মারা না গেলে সেলিম ওসমান সংসদ সদস্য হতেন কি-না এমন কথা জাতীয় পার্টির নেতাকর্মীরাই বলে থাকেন। আবার অনেকের মতে, আওয়ামী লীগের আমলেই সব পান সেলিম ওসমান। ‘৯৬তে আওয়ামী লীগ ক্ষমতাকালে চেম্বার্স অব কমার্স সহ সব ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠানের প্রভাব ছিলো তার। ৯ম সংসদ নির্বাচনের মধ্য দিয়ে আওয়ামী লীগের নেতৃত্বাধীন মহাজোট ক্ষমতায় এলে একে একে অনেক প্রতিষ্ঠানের প্রভাবশালী নেতা হন তিনি। এরমধ্যে নারায়ণগঞ্জ ক্লাবের সভাপতি হন নিজে আর বিকেএমইএতে টানা ৬ বার তিনি প্রেসিডেন্ট। তার প্যানেলের বিপরীতে অন্য কোন প্যানেল মনোনয়নপত্র জমাই দেন না। এছাড়া ইয়ার্ণ মার্চেন্ট, হোসিয়ারী এসোসিয়েশন, চেম্বার্স অব কমার্স সহ অনেক ব্যবসায়িক সংগঠনের তার পছন্দের লোকজনই নেতা হয়েছেন। সচেতন মহল মনে করেন, আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় এলে সেলিম ওসমানের প্রভাব বাড়ে। তবে এবার আওয়ামী লীগের প্রতীক নিয়েই বিরূপ মন্তব্য করেছেন তিনি। বন্দর থানা আওয়ামী লীগের সভাপতি এম এ রশীদ কে উদ্দেশ্য করে তিনি বলেছেন, রশীদ সাহেব গাঞ্জার নৌকা তাল গাছে উঠাতে গিয়েছেন। গাঞ্জার নৌকা তাল গাছে উঠে না। প্রসঙ্গত, বন্দরের কলাগাছিয়া ইউনিয়ন পরিষদে আওয়ামী লীগ নৌকার মনোনয়ন দিয়েছে থানা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক কাজিম উদ্দিনকে। থানা আওয়ামী লীগের সভাপতি এম এ রশীদ প্রচারণা কাজে যুক্ত রয়েছেন। তাই রশীদকে কটাক্ষ করে নৌকার গাঞ্জা আর তাল গাছের কথা বলেছেন জাতীয় পার্টির প্রেসিডিয়াম সদস্য সেলিম ওসমান।

তার এমন কথার পর চারদিকে ছি ছি রব উঠেছে। আওয়ামী লীগের নেতারা বলছেন, নৌকা প্রতীকের দল ক্ষমতায় আছে বলেই সেলিম ওসমানদের এত প্রভাব। সেই নৌকা নিয়ে এমন অশ্রাব্য ভাষায় মন্তব্য করা কোন মার্জিত মানুষের কাজ হতে পারে না। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক জেলা আওয়ামী লীগের এক নেতা বলেন, সেলিম ওসমান বরাবরই দাম্ভিকতা দেখান। কথা বলেন অন্যকে খাটো করে। সূত্র মতে, এর আগে নারায়ণগঞ্জ সিটি কর্পোরেশেরনের মেয়র সেলিনা হায়াৎ আইভীকে নিয়ে বিরূপ মন্তব্য করেছিলেন। তারও আগে একজন শিক্ষককে লংকা কান্ড ঘটান তিনি। নমপার্কে নিজের বন্ধু পরিচয়ে ডিশ ব্যবসায়ী শামীম হায়দার ওরফে পিজা শামীমকে থাপ্পর মেরেছিলেন। মোবাইল ফোনেও অশ্রাব্য ভাষা প্রয়োগ করার রেকর্ড রয়েছে সেলিম ওসমানের। একজন স্কুল শিক্ষককেও তিনি কান ধরে উঠ বস করিয়েছেন। একজন সিনিয়র সাংবাদিকের মোবাইল ফোনে তার কথার ঢরণ নেট দুনিয়ার অনেকেই শুনেছে। মুক্তিযোদ্ধা গোপীনাথ দাস জীবন ভর ওসমান পরিবারের ভক্ত থাকলেও সেলিম ওসমান ডিসি অফিসে তাকে চরম অপমান করেছিলেন।

এদিকে সেলিম ওসমানের গাঞ্জা নৌকার আবিস্কারের পর প্রশ্ন উঠেছে তিনি গাঞ্জা চিনিলেন কেমন করে ? গাঞ্জা নিয়ে এত উৎসাহই বা কেন তার ?
এসব ব্যাপারে নারায়ণগঞ্জ জেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি আব্দুল হাই গণমাধ্যমে জানান , তার গাঞ্জার নৌকা বলা ঠিক হয়নি। বিষয়টি আওয়ামী লীগের কেন্দ্রী কমিটিকে জানাবো।

স্পন্সরেড আর্টিকেলঃ