আজ বুধবার, ১১ই বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ২৪শে এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ

ব্লু পিয়ার’ মদের বার বন্ধের নির্দেশ

 আ.শুভ :

মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের মহাপরিচালকের নির্দেশে প্যারাইজ ক্যাসেল ভবনের ‘ব্লু পিয়ার’ রেস্টুরেন্ট নামের মদের বার বন্ধ করে দিয়েছে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর। বুধবার দুপুরে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর ডিজি জামাল উদ্দিন মদের বার পরিদর্শনে এসে বার বন্ধের নির্দেশ দিন। এ বিষয়ে ‘ব্লু পিয়ার’ রেস্টুরেন্টের ও মদের বারের জেনারেল ম্যানেজার লৎফর রহমান জুয়েল জানান, দুপুরে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের কর্মকর্তারা বারে এসে তা বন্ধ করে দিয়ে গেছে। তারা মদের বার বন্ধ করেছে। তবে বারের কোন কিছু ভাংচুর বা ক্ষতি করেনি তারা।

জানা গেছে, শহরের চাষাঢ়ায় ৩৭/৩৮ ডিআইটি প্লট বালুরমাঠ এলাকায় প্যারাইজ ক্যাবলস গ্রুপের মালিকানাধীন বহুতল ভবন প্যারাইজ ক্যাসেল ভবনের ৮ ও ৯ তলায় মদের বানানো হয়েছে। মদের বারে কয়েক দিন মদ বিক্রির করা হয়। মদের বারের কর্তৃপক্ষ মদ্য পানের জন্য পারমিট কার্ডের নামে প্রতিজন থেকে ২৫ শ’ টাকা করে নিচ্ছিলেন বলে জানা গেছে। এই মদের বার বন্ধের বিষয়ে নারায়ণগঞ্জ নাগরিক কমিটির সভাপতি এবি সিদ্দক জানান, এই মদের বার বন্ধ করার জন্য আমরা জেলা প্রশাসকে অবহিত করেছি। নারায়ণগঞ্জ নাগরিক কমিটি মনে করে চাষাঢ়ায় মদের বার থাকতে পারবে না। আমরা স্থায়ী ভাবে এই মদের বার বন্ধ চাই। জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আব্দুল হাই জানান, মসজিদের পাশে ও চাষাঢ়া এলাকায় মদের বার এটা মেনে নেয়া যায় না। তারা যদি সরকারি লাইসেন্স নিয়ে মদের বার করে ব্যবসা করতে চায় তাহলে শহরের বাহিরে অন্য কোথাও গিয়ে করুক। কিন্তু চাষাঢ়া মদের ব্যবসা করে নারায়ণগঞ্জের পরিবেশ করতে দেবো না বলে জানান তিনি।

সূত্রে জানা গেছে, ২৯ জানুয়ারী উদ্বোধন করা হয় ব্লু পিয়ার নামক রেস্টুরেন্ট। উদ্বোধনের ৩ দিন দিনের মাথায় আনুষ্ঠানিকভাবেই মদ বিয়ার বিক্রি শুরু করে কর্তৃপক্ষ। তবে আগামী ১৪ ফেব্রুয়ারীর মধ্যে মদের বার বন্ধ করা না হলে নারায়ণগঞ্জের তৌহিদি জনতাকে বার উচ্ছেদ করে দিবে বলে হুশিয়ারি দিয়েছেন জেলা উলামায়ে পরিষদের সভাপতি আব্দুল আউয়াল। উল্লেখ্য, ১৮ হাজার বর্গফুটের ফ্লোরটি প্যারাডাইজের পক্ষে থেকে ভাড়া দিয়েছেন মোবারক হোসেন। তিনি প্যারাইজ ক্যাবলস গ্রুপের চার ভায়ের একজন। আর ভাড়া নিয়েছেন রাজধানী সবুজবাগ এলাকার রাশেদ খান। তিনটি ফ্লোরের ভাড়া প্রতি মাসে ৫ লাখ টাকা। আর অগ্রীম জামানত ৪০ লাখ টাকায় একটি চুক্তি সই হয়েছে। ৩ জন সাক্ষীর মাধ্যমে এই চুক্তি মেয়াদ গত ২০ মে থেকে আগামী ১০ বছর। আরও জানা গেছে, ‘ব্লু পায়ার’ রেস্টুরেন্টের ব্যবস্থাপনা পরিচালক পদবী দিয়েছেন রাশেদ খান। তবে বারে সংশ্লিষ্ট সবার মতে মোক্তার হোসেন বারের মালিক বলে জানা গেছে।

স্পন্সরেড আর্টিকেলঃ