আজ শুক্রবার, ১৩ই বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ২৬শে এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ

ব্রিটেনকে আনুষ্ঠানিক বিদায়

আজ শুক্রবার থেকে আনুষ্ঠানিকভাবে ইউরোপীয় ইউনিয়ন থেকে বিদায় নিচ্ছে যুক্তরাজ্য। গত বুধবার বেলজিয়ামের রাজধানী ব্রাসেলসে ইউরোপীয় ইউনিয়নের পার্লামেন্টে হওয়া চূড়ান্ত ভোটাভুটিতে চুক্তির শর্তে সমর্থন জানিয়েছেন অধিকাংশ সদস্য।

উপস্থিত সদস্যদের মধ্যে ব্রেক্সিটের পক্ষে ভোট দেন ৬২১ জন, আর বিপক্ষে ৪৯ জন। ভোটাভুটির পর স্কটিশ ভাষায় রচিত একটি বিদায়ী সঙ্গীত গলা মেলান পার্লামেন্টের সদস্যরা।

ভোটের আগে আবেগঘন এক বিতর্ক অনুষ্ঠিত হয়। এসময় ব্রিটিশ এমপিরা তাদের বক্তব্যে ইউরোপীয় ইউনিয়নের সমালোচনা করেন। তবে পুরো অধিবেশনেই শান্তিপূর্ণ পরিবেশ বজায় ছিল, অনেক সদস্যদের অশ্রুসিক্তও দেখা গেছে। তবে ইউরোপীয় ইউনিয়নের পার্লামেন্টের প্রেসিডেন্ট ডেভিড সাসোলির বক্তব্যের সময় ভিড় থেকে ‘আপনার জন্য লজ্জা’ এবং ‘বেদনাদায়ক’ এমন কিছু চিৎকারও ভেসে আসে।

বেশিরভাগ এমপি ইইউ সমালোচনা করলেও কয়েকজন এমপি উল্টোটাও বলেছেন। তারা মনে করেন, ভবিষ্যতে কোন না কোন সময় যুক্তরাজ্য আবার ইউরোপীয় ইউনিয়নের সঙ্গে যুক্ত হবে।

এর আগে ২৪ জানুয়ারি ব্রেক্সিট বিলে স্বাক্ষর করেন রানি এলিজাবেথ। গতসপ্তাহে কোনও ধরনের পরিবর্তন ছাড়াই বিলটি ব্রিটিশ পার্লামেন্টের উভয় কক্ষে পাস হয়। ১ ফেব্রুয়ারি থেকে ৩১ ডিসেম্বর ২০২০ সাল পর্যন্ত অন্তর্বর্তীকালীন ব্যবস্থা হিসেবে ইইউর সঙ্গে ব্রিটেনের বাণিজ্যিক ও অন্যান্য বিষয় সংক্রান্ত সমস্ত সম্পর্ক একই থাকবে। কিন্তু এই সময়ের মধ্যে ব্রিটেন ইউরোপিয়া ইউনিয়নের কোনও অ্যাডমিনিস্ট্রেটিভ কাজ এবং সিদ্ধান্ত গ্রহণ প্রক্রিয়ায় অংশ নিতে পারবে না। প্রথম দেশ হিসাবে ব্রিটেন বেরিয়ে এল ইউরোপীয় ইউনিয়ন থেকে। ফলে ইইউ-র সদস্য সংখ্যা কমে দাঁড়াল ২৭-এ। ৪৭ বছর ইউনিয়নে থাকার পর শেষ পর্যন্ত বিদায় নিচ্ছে ব্রিটেন। এর জেরে রঙও পরিবর্তন হবে ব্রিটিশ পাসপোর্টের।

তিন দফা পিছিয়ে গিয়ে শেষ পর্যন্ত ইউরোপীয় ইউনিয়ন থেকে গ্রেট ব্রিটেনের বিচ্ছেদের দিনক্ষণ ধার্য হয়। বিচ্ছেদের তারিখ নির্ধারণ করা ছিল গেল বছরের ২৯ মার্চ। কিন্তু ব্রিটেনের পার্লামেন্ট থেরেসা মে-র নেতৃত্বাধীন সরকারের সম্পাদিত বিচ্ছেদ চুক্তিতে অনুমোদন দেয়নি। আবার চুক্তি ছাড়া বিচ্ছেদ কার্যকরেরও বিরোধিতা করে বিরোধীরা।

ব্রিটিশ সরকার ও পার্লামেন্টের এমন বিপরীতমুখী অবস্থানের কারণে আটকে যায় বিচ্ছেদ। এরপর প্রধানমন্ত্রী পদ থেকে পদত্যাগ করেন থেরেসা। গত নির্বাচনে পুনরায় সংখ্যাগরিষ্ঠ আসনে নির্বাচিত হয় জনসন নেতৃত্বাধীন কনজারভেটিভ পার্টি। ব্রেক্সিট সম্পন্ন করার প্রতিশ্রুতিই ছিল তার দলের ইশতেহারের কেন্দ্রবিন্দু।

সূত্র: বিবিসি ও আল জাজিরা।

স্পন্সরেড আর্টিকেলঃ