আজ শুক্রবার, ৬ই বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১৯শে এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ

ব্যর্থ ছিলেন বিএনপি নেতারা

বিশেষ প্রতিবেদক
ব্যর্থতায় পরিপূর্ণ নারায়ণগঞ্জ জেলা বিএনপির কমিটি বিলুপ্ত হয়েছে অনেক আগেই। দীর্ঘ আড়াই বছরেরও বেশি সময়ধরে স্থায়ীত্ব থাকা কমিটির সভাপতি থেকে শুরু করে সদস্য পর্যন্ত কাউকেই দলের প্রয়োজনে গুরুত্বপূর্ণ কোন ভূমিকা পালন করতে দেখা যায়নি। এদিকে, কমিটিহীন নেতাকর্মীদের দলীয় যেকোন বিষয়ে আলাপ-আলোচনা করার জন্য বর্তমানে তাদের কোন অফিসও নেই। আর এ নিয়ে বিষ্ময় প্রকাশ করেছেন জেলার রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা। তাদের মতে, এভাবে কোন সংগঠন চলতে পারে না।

সূত্র মতে, ২০১৭ সালের ১৪ ফেব্রুয়ারী কাজী মনিরুজ্জামানকে সভাপতি ও মামুন মাহমুদকে সাধারণ সম্পাদক করে ২৬ সদস্যের আংশিক কমিটি ঘোষণা করা হয়। এরপর চলতি বছর ২৭ মার্চ নারায়ণগঞ্জ জেলা শাখার ২০৫ সদস্যের পূর্ণাঙ্গ কমিটি অনুমোদন দেয় কেন্দ্রীয় বিএনপি।

তৃণমূল নেতাকর্মীদের মতে, কমিটি ঘোষণার দীর্ঘ এই সময়ের মধ্যে রাজপথে খুব কম দেখা গেছে জেলা বিএনপির অভিভাবক মনিরুজ্জামান ও মামুন মাহমুদকে। কমিটির সভাপতি আর সাধারণ সম্পাদকের অবহেলাতেই নাজেহাল অবস্থা জেলা বিএনপির। আর সে কারণেই রাজপথ থেকে হারিয়ে যাচ্ছে বাকি সদস্যরা। তাদের প্রশ্ন একটি কমিটির অভিভাবকদের যদি এই অবস্থা হয় তাহলে বাকী সদস্যদের কি হবে? মামুন মাহমুদ মাঝে মধ্যে রাজপথে আসলেও শুধুমাত্র ফটোসেশন আর নারায়ণগঞ্জ বিএনপির একজন সিনিয়র নেতা হিসেবে দলের প্রতি মনিরুজ্জামানের গুরুত্ব তেমন লক্ষ্য করা যায় না। এসকল বিষয়গুলো নারায়ণগঞ্জ বিএনপির জন্য অত্যন্ত দূর্ভাগ্যজনক।

দলীয় সূত্রে জানা যায়, জেলা বিএনপির পূর্ণাঙ্গ কমিটি ঘোষণার পর থেকেই চরম অসন্তোষ বিরাজ করেছে নেতাকর্মীদের মধ্যে। যার কারণ ২০৫ সদস্যের ওই কমিটির অনেক নেতাকর্মীর সাথে সরকার দলীয় লোকদের সাথে আতাত ছিলো। এছাড়া বেশিরভাগ নেতাকর্মী শুধুমাত্র সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেইসবুকে স্ট্যাটাস আর ফটোশেসনের রাজনীতিতেই সীমাবদ্ধ থাকতেন সবসময়। নারায়ণগঞ্জ বিএনপির সকল স্তর তথা অঙ্গসংগঠনের নেতাকর্মীদের প্রধান দূর্বলতার মধ্যে ক্ষমতা ও অর্থের প্রলোভনে সরকার দলীয় নেতাকর্মীদের সাথে আতাত, হামলা-মামলার ভয়ে পালিয়ে বেড়ানো ছাড়াও শীর্ষ স্থানীয় নেতাদের কখনোই মাঠে নামতে দেখা যায়নি।

এদিকে, চলতি বছর ২১ ফেব্রুয়ারি বিলুপ্ত ঘোষণা করা হয় নারায়ণগঞ্জ জেলা বিএনপির কমিটি। কমিটি থাকাকালীন তাদের কোন দলীয় অফিস ছিলো না, এখনও নেই। সেসময় যে যার যার নিজ বাসায় বসেই দলীয় আলাপ-আলোচনা ও মিটিং করতো। দেশের অলিখিত প্রধান বিরোধি দল হওয়া সত্বেও যাদের একটি অফিস থাকে না সেই দলটির ভবিষ্যত নিয়ে বিষ্ময় প্রকাশ করেছেন জেলার রাজনৈতিক বিশ্লেষকগণ। তাদের মতে, দীর্ঘদিন ক্ষমতার বাইরে থাকার ফলে দলটির বেশিরভাগ নেতাকর্মী সরকার দলীয় নেতাদের সাথে আতাতে জড়িয়ে গেছে। যার ফলে কেন্দ্রের অযুহাত দেখিয়ে তারা ঘরে বসে থাকে। ফেইসবুক ও ফটোসেশন ছাড়া তারা আর কিছুই পারে না। ক্ষমতার স্বপ্ন তাদের মধ্য থেকে বিলীন হয়ে গেছে। এভাবে চলতে দলটির অস্তিত্ব থাকে কি না তাই এখন দেখার পালা।

এসএমআর

স্পন্সরেড আর্টিকেলঃ