আজ বৃহস্পতিবার, ১৪ই চৈত্র, ১৪৩০ বঙ্গাব্দ, ২৮শে মার্চ, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ

ব্যবসায়িক বিরোধে হেকমত আলীকে হত্যা

সংবাদচর্চা অনলাইন:

রূপগঞ্জে ব্যবসায়িক হিসাব বুঝিয়ে দিতে বলায় দোকানের মালিক হেকমত আলীকে খুন করেছে তারই প্রতিষ্ঠানের ম্যানেজার রফিকুল ইসলাম সবুজ। গলায় ফাঁস লাগিয়ে হত্যার পর লাশ ড্রামের ভেতর সিমেন্ট দিয়ে ঢালাই করে পুকুরে ফেলে দেয় আসামী সবুজ। র্দীঘ ৩মাস পর পিবিআই মামলা তদন্ত করে আসামীর স্বীকারোক্তি ও তথ্য অনুযায়ী লাশ উদ্ধার করে পুলিশ।

সোমবার দুপুরে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই) এক সংবাদ সম্মেলনে এসব তথা জানান। পুলিশ সুপার এ আর এম আলিফ হোসেন সংবাদ সম্মেলনে জানান, নিহত হেকমত আলী পশ্চিম কালাদী গ্রামের মৃত কদম আলীর ছেলে। তিনি বংশালে মোটর পার্টসের ব্যবসা করতেন। ঐ দোকানে আসামী সবুজ বেতনভূক্ত কর্মচারী ছিল। পরবর্তীতে ভূলতা গাউছিয়ার নূর ম্যানশনের নিচ তলায় একটি দোকান ভাড়া নিয়ে মেসার্স হাসান এন্টারপ্রাইজ নাম দিয়ে মোটর সাইকেল পার্টেসের ব্যবসা শুরু করে। ঐ দোকানে আসামী সবুজকে ম্যানেজার হিসাবে নিয়োগ দেওয়া হয়। ব্যবসা প্রতিষ্ঠান বড় করার জন্য আড়াইলাখ টাকা নিয়ে সবুজকে ব্যবসায়িক পাটনার হিসাবে নেন হেকমত আলী। পরবর্তীতে ব্যবসায়িক লাভ ক্ষতির বিভিন্ন বিষয় নিয়ে হেকমত আলীর সাথে সবুজের বিরোধ শুরু হয়।

পিবিআই পুলিশ সুপার আরও জানান, হেকমতের কন্যা হাফসা (০৯) কে আসামী সবুজের সাথে বিয়ে দেওয়ার জন্য প্রস্তাব দেয় হেকমত আলী নিজেই। কিন্তু আসামী সবুজ হেকমত আলীর কন্যা নাবালিকা হওয়ায় অস্বীকার করলে ঘটনার কয়েকদিন আগে ভিকটিম হেকতম আসামীর সবুজের উপর ক্ষিপ্ত হয়ে ব্যবসার হিসাব নিকাশ বুঝিয়ে দিতে আসামীর উপর চাপ প্রয়োগ। গত ৪এপ্রিল সকালে আসামী সবুজের বাড়িতে হেকমত আলীকে যেতে বলে। সকাল সাড়ে ৯টার দিকে আসামীর বাড়িতে খাওয়া দাওয়া শেষ করে হেকমতের চোখে ঘুম চলে আসলে সে ঘুমিয়ে পরে এবং আসামী পূর্বের বিরোধ থেকে লাল গামছা দিয়ে গলায় ফাঁস দিয়ে হেকমত আলীকে হত্যা করে। পরবর্তীতে লাশ গুমের জন্য খালি স্টীলের বড় ড্রামে হেকমতের হাত পা বেঁধে ড্রামে ডুকিয়ে সিমেন্ট লেপ্টে দেয়। পরদিন সকালে একটি নছিমন গাড়িতে রূপগঞ্জের কুশাব পারটেক্স গ্রুপের মাছের ঘেরে ড্রামটি ফেলে দেয়।

গত ১৪ এপ্রিল নিহত হেকমত আলীর স্ত্রী রোকসানা বেগম রূপগঞ্জ থানায় একটি অপহরণ মামলা করেন যা পরদিন থানা পুলিশ সবুজকে গ্রেপ্তার করে। পরবর্তীতে মামলাটি পিবিআইয়ের কাছে হস্তান্তর করা হলে পিবিআই ২৯ জুন আসামীকে রিমান্ডে আনে এবং ২ জুলাই আসামীর স্বীকারোক্তি অনুযায়ী হেকমতের লাশ উদ্ধার করে।

সংবাদ সম্মেলনে এ সময়ে আরও উপস্থিত ছিলেন পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই) ওসি জহিরুল ইসলাম, তদন্তকারী কর্মকর্তা এসআই আবু সায়েম প্রমুখ।

স্পন্সরেড আর্টিকেলঃ