আজ শুক্রবার, ১৫ই চৈত্র, ১৪৩০ বঙ্গাব্দ, ২৯শে মার্চ, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ

বিশ্বকাপ জিতল ইংল্যান্ড

অনলাইন রিপোর্ট:

টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে পাকিস্তানকে হারিয়ে দ্বিতীয়বারের মতো শিরোপা জিতল ইংল্যান্ড। ১৩৮ রানের লক্ষ্যে খেলতে নেমে পাঁচ উইকেট ও ৬ বল হাতে রেখে জয়ের বন্দরে পৌঁছে যায় ইংলিশরা।

রবিবার টস হেরে ব্যাটিংয়ে নেমে সুবিধা করতে পারেনি পাকিস্তান। ইংলিশ পেসারদের নিয়ন্ত্রিত বোলিংয়ের সামনে রান তুলতে হিমশিম খেয়েছেন দুই পাকিস্তানি ওপেনার বাবর আজম ও মোহাম্মদ রিজওয়ান। এরপর ইনিংসের পঞ্চম ওভারে স্যাম কারানের বলে রিজওয়ান (১৫) বোল্ড হয়ে ফিরলে ভাঙে দুজনের ২৯ রানের জুটি।

রিজওয়ানের বিদায়ের পর তিনে নামা মোহাম্মদ হারিস (৮) ফেরেন দ্রুতই। ইংলিশ স্পিনার আদিল রশিদের বলে বেন স্টোকসের হাতে ক্যাচ দিয়ে ফেরেন তিনি। এরপর শান মাসুদের সঙ্গে জুটি গড়ে ঘুরে দাঁড়ানোর চেষ্টা করেন বাবর আজম। একপ্রান্ত আগলে রেখে ধীরে ধীরে রান তোলার গতি বাড়ানোর চেষ্টা করলেও টিকতে পারেননি বাবর। ১২তম ওভারে বোলার রশিদের হাতেই ক্যাচ দিয়ে ফেরেন পাকিস্তানি অধিনায়ক। বিদায়ের আগে বাবরের ব্যাট থেকে আসে ২৮ বলে ৩২ রান।
বাবরের পর ইফতিখার আহমেদ বিদায় নেন বেন স্টোকসের বলে; রানের খাতা খোলার আগেই। এরপর হাল ধরেন শান মাসুদ। ভালো কিছুর ইঙ্গিত দিয়েছিলেন তিনি। কিন্তু দলকে ১২০ রানের কোটা পার করিয়ে বিদায় নেন তিনি। স্যাম কারানের দ্বিতীয় শিকার হওয়ার আগে ২৮ বলে ২ চার ও ১ ছক্কায় ৩৮ রান আসে শানের ব্যাট থেকে।

শানের বিদায়ের পর ২ রান যোগ হতেই ফেরেন আরেক সেট ব্যাটার শাদাব খান। ১৪ বলে ২০ রান করা এই অলরাউন্ডারকে ক্রিস ওকসের হাতে ক্যাচ বানিয়ে ফেরান ক্রিস জর্ডান। চাপের মুখে আর ঘুরে দাঁড়াতে পারেনি পাকিস্তান।

১৯তম ওভারের তৃতীয় বলে কারানের তৃতীয় শিকারে পরিণত হন মোহাম্মদ নওয়াজ (৫)। এরপর শেষ ওভারে মোহাম্মদ ওয়াসিমের উইকেট হারিয়ে ৬ রান তুলতে পারে পাকিস্তান। শেষ পর্যন্ত ৮ উইকেট হারিয়ে ১৩৭ রানের সংগ্রহ পায় পাকিস্তান।

জবাবে খেলতে নেমে প্রথম ওভারেই ভাঙে ইংল্যান্ডের উদ্বোধনী জুটি। অ্যালেক্স হেলসকে বোল্ড করেন শাহিন শাহ আফ্রিদি। প্যাডে লেগে বল আঘাত হানে স্টাম্পে। ২ বলে ১ রানে আউট হেলস। তারপরই হারিস রউফ ম্যাচটা জমিয়ে তোলেন ফিল সল্টকে ফিরিয়ে। সল্ট ক্যাচ তুলে দেন ইফতিখার আহমেদের হাতে। তিনি ফেরেন ৯ বলে ১০ রানে।

এরপর অধিনায়ক জস বাটলারকে ফিরিয়ে ম্যাচে ফেরেন পাকিস্তান। হারিস রউফের বলে আউট হন বাটলার। ফেরার আগে ১৭ বলে ২৬ রান তোলেন তিনি। আর পাওয়ার প্লের প্রথম ৬ ওভারে ইংল্যান্ড ৩ উইকেট হারিয়ে করে ৪৯ রান।

এই চাপ সামলানোর দায়িত্ব নেন বেন স্টোকস। প্রথমে হ্যারি ব্রুকের সঙ্গে গড়েন ৩৯ রানের জুটি। ২৩ বলে ২০ রান করে শাদাব খানের বলে আউট হন ব্রুক। এরপর মনে হচ্ছিল কিছুটা চাপেই বোধ হয় পড়ে গেছে ইংল্যান্ড। কিন্তু বেন স্টোকস খেলতে থাকেন ঠাণ্ডা মাথায়। স্টোকস মাঠে থেকেই দলকে জেতান আরও একটি বিশ্বকাপ।

৪৯ বলে ৫২ রানে অপরাজিত থাকেন তিনি। আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে এটিই তার প্রথম হাফ সেঞ্চুরি। নিজের নামের সঙ্গে বসা বিশেষণেরই যেন স্বার্থকতা জানান দেন স্টোকস। মাঝে ১২ বলে ১৯ রান করেন মঈন আলি। এক ওভার হাতে রেখেই জিতে যায় ইংল্যান্ড। এতে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে দ্বিতীয়বারের মত চ্যাম্পিয়নশিপের মুকুট পরে নিলো ইংলিশরা।

ইংল্যান্ডের পক্ষে কারান ৪ ওভারে মাত্র ১২ রান খরচে ৩টি উইকেট নেন। এছাড়া আদিল রশিদ ও ক্রিস জর্ডান ২টি করে উইকেট নেন। বাকি উইকেট স্টোকসের।

স্পন্সরেড আর্টিকেলঃ