আজ শুক্রবার, ৬ই বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১৯শে এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ

বিচ্ছেদের কারণ জানালেন শাবনূর

বাংলা চলচ্চিত্রের জনপ্রিয় নায়িক শাবনূর স্বামী অনীক মাহমুদের সঙ্গে ডিভোসের কারণ জানিয়েছেন। অস্ট্রেলিয়ার সিডনি থেকে একটি সংবাদ মাধ্যমকে শাবনূর বলেন, বনিবনা না হওয়ার কারণেই সংসারে বিচ্ছেদ চেয়েছেন তিনি।

শাবনূর বলেন, ‘সন্তান জন্মের পর থেকেই আমাদের মধ্যে একটা দূরত্ব তৈরি হয়। অনেকগুলো বিষয়ে মতের অমিল হচ্ছিল। এরপর আমরা আলাদা থাকা শুরু করি। ভাবলাম, একটা সময় উপলব্ধিতে পরিবর্তন আসবে। কিন্তু তা আর হলো না। এরপর অনীকের বাবা-মায়ের সঙ্গেও কথা বলা হয়। অনেক চেষ্টার পরও বনিবনা হচ্ছিল না। তারপর ভাবলাম, এভাবে থাকার চেয়ে আলাদা থাকাটাই ভালো। আইনজীবীর মাধ্যমে ২৬ জানুয়ারি তালাক নোটিশ অনীকের বাসায় পাঠানো হয়।’

শাবনূর আরও বলেন, ‘অভিনয়ে এসে অনেক চড়াই-উতরাইয়ের মধ্য দিয়ে নিজেকে সবার ভালোবাসার মানুষ হিসেবে তৈরি করেছি। সংসারজীবন শুরু করেছিলাম ভালো থাকার আশায়। চলচ্চিত্রে সবার ভালোবাসা পাওয়া আমার হয়তো সংসারজীবনের ভালোবাসা ভাগ্যে লেখা ছিল না। তাই সংসারজীবনে বিচ্ছেদ করতে হয়েছে। অনীকের পরিবার আছে, আমারও পরিবার আছে—দুজনেরই সমাজ আছে, সেখানে দুজন নিজেদের মতো করে থাকুক এটাই চেয়েছি।’

                                          ভেঙে গেল শাবনূরের সংসার

কী এমন মতের অমিল হয়েছিল যে বিচ্ছেদের মতো সিদ্ধান্ত নিতে হয়েছে? এমন প্রশ্নে শাবনূর বলেন, ‘সন্তান জন্মের পর অনীক পরিবারের প্রতি অনেক দায়িত্বশীল আচরণ করত না। অনেকবার বলার পরও তাঁর দায়িত্ব আর আচরণগত পরিবর্তন আসেনি, তাই ভাবলাম, এভাবে থাকার চেয়ে না থাকাটাই ভালো।’
জানা গেছে, নোটিশের অনুলিপি অনীকের এলাকার আইন ও সালিশ কেন্দ্রের চেয়ারম্যান এবং কাজী অফিস বরাবরও পাঠানো হয়েছে। এই তালাক নোটিশে সাক্ষী রয়েছেন নুরুল ইসলাম ও শামীম আহম্মদ নামের দুজন।

জানা গেছে, ২০১১ সালের ৬ ডিসেম্বর অনীক মাহমুদের সঙ্গে আংটি বদল করেন শাবনূর। এরপর ২০১২ সালের ২৮ ডিসেম্বর বিয়ে করেন তাঁরা। ২০১৩ সালের ২৯ ডিসেম্বর আইজান নিহান নামের এক ছেলেসন্তানের মা হন শাবনূর। ছেলেকে নিয়ে তিনি এখন অস্ট্রেলিয়ায় থাকেন।

বেশ কিছুদিন ধরে বিনোদন অঙ্গনে গুঞ্জন, শাবনূর-অনীকের বিচ্ছেদ হয়ে গেছে। সে সময় অনীক বলেছিলেন, এমন কিছু হয়নি। তাঁরা একসঙ্গেই আছেন, ভালো আছেন।

শাবনূরের পারিবারিক সূত্র জানিয়েছে, দুই পরিবার মিলে কয়েক দফা আলোচনা করে সংসার টিকিয়ে রাখতে চেয়েছে। কিন্তু দুজনের মতের অমিল এতটাই চূড়ান্ত রূপ ধারণ করে, তাই আলাদা হওয়া সিদ্ধান্ত নিতে হয়।

স্পন্সরেড আর্টিকেলঃ