আজ শুক্রবার, ১৫ই চৈত্র, ১৪৩০ বঙ্গাব্দ, ২৯শে মার্চ, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ

বিএনপির স্থগিতাদেশ শেষ হচ্ছে আজ

বিশেষ প্রতিবেদক

করোনার আগ থেকেই থমকে আছে আসন্ন নারায়ণগঞ্জ জেলা বিএনপির কমিটি। করোনাকালে সাংগঠনিক কার্যক্রম স্থগিত ছিল দীর্ঘদিন। শেষবার দলের সাংগঠনিক কার্যক্রম ১৫ আগস্ট পর্যন্ত স্থগিত রেখেছিল কেন্দ্রীয় বিএনপির নেতৃবৃন্দ। নতুন করে এর সময় বৃদ্ধি না করায় আজ থেকেই চালু হতে যাচ্ছে পুরো দেশে বিএনপির সাংগঠনিক কার্যক্রম।

এদিকে বিএনপির সাংগঠনিক কার্যক্রম শুরু হবার সুবাদে নতুন করে আলোচনায় জেলা বিএনপির কমিটি গঠন প্রক্রিয়া। শেষবার কাজী মনিরুজ্জামান আর মামুন মাহমুদের নেতৃত্বে গঠিত কমিটি কর্মীদের কাংখিত লক্ষ্য পূরনে ব্যর্থ হওয়ায় নতুন কমিটির দিকে আগ্রহ ছিল তাদের। কিন্তু দিনের পর দিন বিভিন্ন কারনে এর সময়কাল বেড়েই চলায় হতাশা জন্মেছে কর্মীদের মাঝে। নতুন করে সকল কার্যক্রম চালু হলে দ্রুতই জেলা বিএনপির কমিটি প্রদান করা হবে এমনটাই প্রত্যাশা তৃণমূলের কর্মীদের।

করোনার প্রাদুর্ভাবে প্রায় ৫ মাস ধরে কেন্দ্রীয় ভাবেই বিএনপির সাংগঠনিক কার্যক্রম বন্ধ ছিল। পুরো সময় জুড়ে নেতাকর্মীদের স্বাস্থ্য সুরক্ষার দিকে ঝুঁকেছেন নেতৃবৃন্দ। কিন্তু জেলা বিএনপির কমিটি বিলুপ্ত করা হয়েছিলো তারও আগে। সাংগঠনিক ভাবে ৯০ দিনের ভেতর কমিটি পূর্নগঠনের নির্দেশনা থাকলেও সেসব কখনই মানার জন্য তেমন আগ্রহ দেখতে পাওয়া যায়না দলটির ভেতর। নিজেদের খেয়াল খুশিমত কমিটি পরিচালনার এমন রেওয়াজের কারনেই দীর্ঘ হয়েছে কমিটি গঠনের প্রক্রিয়া এমনটিই ভাবছেন তৃণমূলের কর্মীরা।

শুধুমাত্র করোনার কারনেই যে থমকে ছিল জেলা বিএনপির কমিটি তাও সত্য নয়। কারন দলটির সিনিয়র যুগ্ন মহাসচিব রুহুল কবীর রিজভী নিজেই সংবাদচর্চাকে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে বলেন, কবে নাগাদ কমিটি গঠিত হবে তা আমার জানা নেই। তাছাড়া করোনার মাঝে এই সংক্রান্ত সমস্যার সমাধান করা একেবারেই সম্ভব নয়। করোনার পরে এ বিষয়গুলো নিয়ে সমাধান করার চেষ্টা করা হবে।

সেই বিবেচনায় যেহেতু আনুষ্ঠানিক ভাবে সাংগঠনিক কার্যক্রম চালু হতে যাচ্ছে সেহেতু দ্রুতই কেন্দ্রীয় নেতারা কমিটি প্রদানের উদ্যোগ নিবেন বলে মনে করছেন নেতাকর্মীরা। তবে করোনার প্রাদুর্ভাবের পূর্বে সোনারগাঁ বিএনপির এক নেতা জেলা কমিটির গুরুত্ব পূর্ন পদ পেতে যাচ্ছেন এমন গুঞ্জন ছড়িয়ে পড়ে বিএনপিতে। এনিয়ে আলোচনা সমালোচনার মাঝেই হারিয়ে যায় গুঞ্জন।

গত ২১ ফেব্রুয়ারি নারায়ণগঞ্জ বিএনপির কমিটি বিলুপ্ত করার পর উপজেলা ও পৌর কমিটি পরিচালনার দায়িত্ব নেয় বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক ও সহ-সাংগঠনিক সম্পাদকরা। কিন্তু ৬ মাসেও বিন্দুমাত্র অগ্রগতি দেখাতে পারেননি তারা। ফলে জেলা কমিটির নির্দেশে যারা এতদিন উপজেলা গুলোতে কাজ করে আসছিলেন সেসবও বর্তমানে বন্ধ হয়ে গেছে। কেন্দ্রীয় নেতার এমন বক্তব্যের পর কবে নাগাদ জেলা কমিটি গঠিত হবে তা অনিশ্চয়তার জালেই রয়ে গেল।

রাজনৈতিক সংশ্লিষ্টরা বলছেন, দলের সক্রিয়তা ফিরিয়ে আনতে কমিটি গুলোর দ্রুত পূর্নগঠন ছাড়া অন্য কোন পথ খোলা নেই। সাংগঠনিক কার্যক্রম চালু করে দ্রুত ভিত্তিতে কমিটি প্রদান না করা হলে দলটির সাংগঠনিক কার্যক্রমে বিরূপ প্রতিক্রিয়া জন্মাবে।

স্পন্সরেড আর্টিকেলঃ