আজ বৃহস্পতিবার, ১২ই বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ২৫শে এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ

বিএনপির দুই বলয় মুখোমুখি অবস্থানে

সংবাদচর্চা রিপোর্ট

নেতাদের কোন্দল থামছে না। বাড়ছে আতাঁত। নারায়ণগঞ্জ জেলা বিএনপির নিয়ন্ত্রণ নিয়ে শক্তিশালী দুইটি বলয় দীর্ঘদিন ধরে মুখোমুখি অবস্থান করছে। দলীয় কর্মকান্ড করতে গিয়েও প্রায় সময়ই প্রকাশ্যে দ্বন্দ্বে জড়িয়ে পরেছে। ইতোমধ্যে একাধিক হামলার ঘটনা ঘটছে। এসব ঘটনায় মামলা এবং গ্রেফতারও হয়েছে দলের নেতা। সুদূর প্রসারি মিশন নিয়ে গ্রুপ দু’টি মুখোমুখি অবস্থান নিয়ে রাজনীতি করছে। আগামী জাতীয় নির্বাচন এবং ক্ষমতার সুবিধা নিবেন এমন পরিকল্পনা রয়েছে উভয় পক্ষের। আর এসব সমীকরণ মেলাতে ব্যস্ত রয়েছে উভয় পক্ষের নেতাকর্মীরা। একে অপরকে রাজপথে কোনঠাসা করতে নানা পরিকল্পনা নিয়ে এগুচ্ছে এমন দাবি বিএনপির নির্ভরযোগ্য সূত্রের।

সূত্রমতে, নারায়ণগঞ্জ বিএনপির রাজনীতিতে দলের নিয়ন্ত্রণ নিয়ে রীতিমত প্রতিযোগিতা শুরু হয়েছে। দলের মধ্যে দুইটি শক্তিশালী বলয় সক্রিয় রয়েছে। এই বলয় দুটি আগামীতে জাতীয় নির্বাচনে দলীয় মনোনয়ন পাওয়া না পাওয়া নিয়ে হিসাব মিলানোর বিষয়টিও মাথায় রেখে রাজনীতির মাঠ দখলের রাখাই চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। রাজপথ এবং দলের ভেতরের অবস্থান ধরে রাখতে নানা পন্থা অবলম্বন করছে। কোন কোন সময় মারমুখী অবস্থান নিয়ে দ্বন্দ্বে জড়িয়ে পরেছে। রক্তাক্ত হয়েছে একাধিক নেতা। গ্রেফতার হয়ে হাজতবাস করেছে কেউ কেউ। তবে উভয় পক্ষ তাঁদের নিজ নিজ অবস্থানে অনঢ় রয়েছে। বিএনপির একাধিক সূত্রে জানা গেছে, কেন্দ্রীয় বিএনপি সহ আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক নজরুল ইসলাম আজাদ, মান্নান ও জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি সায়েমের নেতৃত্বে বিশাল একটি বলয় গড়ে উঠেছে। অন্যদিকে কাজী মনির, নাসির, সাখাওয়াতদের বলয় সক্রিয় হচ্ছে। দিপু ভূঁইয়া, মামুন মাহমুদ, মোশাররফ, মাহবুবের নেতৃত্বে আরো একটি বলয় সক্রিয় রয়েছে। এই বলয়ের নেতাদের মধ্যে নেতৃত্ব নিয়ে রয়েছে তুমুল প্রতিযোগিতা।

এছাড়া রাজপথ এবং মঞ্চ দখলে রাখতে তৎপর থাকতে দেখা গেছে। অনেক সময় প্রতিপক্ষকে সভা মঞ্চের কাছে আসতে এবং বক্তব্য দিতে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করছে। এসব নিয়ে বিএনপির এই দুই পক্ষ একাধিকবার সংঘাতে জড়িয়ে আলোচিত হয়েছে। তবে এই বলয়ের বাইরেও বিএনপিতে একাধিক নেতা নিরপেক্ষ অবস্থানে থেকে উভয় বলয়ের কাছ থেকে সুবিধা নিচ্ছে বলেও বিএনপির একাধিক সূত্রের দাবি। এদের মধ্যে সাবেক এমপি গিয়াস উদ্দিন এবং আাবুল কালাম পরিবার রয়েছে। তবে সম্প্রতি সময়ে গিয়াস উদ্দিনের সাথে বিরোধে জড়িয়ে পরেছে জেলা বিএনপির সদস্য সচিব অধ্যাপক মামুন মাহমুদ। রাজধানীতে হামলার ঘটনায় গিয়াসউদ্দিনকে জড়িয়ে তাঁকে চাপে রাখার চেষ্টা করছে। তবে সাবেক এমপি কালাম এবং তাঁর পুত্র আশা রয়েছে আলোচনা-সমালোচনার বাইরে। বিএনপির মাঠ পর্যায়ের নেতাকর্মীদের দাবি, বিএনপিকে শক্তিশালী করতে বলয়ের রাজনীতি পরিত্যাগ করা প্রয়োজন।

স্পন্সরেড আর্টিকেলঃ