আজ শুক্রবার, ১৫ই চৈত্র, ১৪৩০ বঙ্গাব্দ, ২৯শে মার্চ, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ

বিএনপিতে দ্বন্দ্ব

নিজস্ব প্রতিবেদক:

কমিটি নিয়ে নারায়ণগঞ্জ জেলা বিএনপির মধ্যে দ্বন্দ্ব চরমে। জেলা বিএনপির নেতারা এখন কয়েক গ্রুপে বিভক্ত । তার মধ্যে রয়েছে তৈমূর গ্রুপ,মামুন গ্রুপ, নাসির গ্রুপ, গিয়াস গ্রুপ। তৈমূর আলমকে দল থেকে বহিষ্কার করার জন্য কারা গেম খেলছে তা নিয়েও আলোচনা বিএনপি নেতাদের মধ্যে । কেউ কেউ বলছে জেলা বিএনপির সদস্য সচিব অধ্যাপক মামুন মাহমুদ তৈমূর আলমকে বহিষ্কার করায়ছে। তা নিয়ে বিএনপি নেতাদের মধ্যে দ্বন্দ্ব। সম্প্রতি সিদ্ধিরগঞ্জ থানা বিএনপির আহবায়ক কমিটি গঠন করা হয়েছে। সেই কমিটিতে সাবেক এমপি গিয়াস উদ্দিনের সমর্থকদের রাখা হয়নি। কমিটিতে মামুন মাহমুদের অনুগতরা বেশি পদ পেয়েছে। তা নিয়ে মামুন মাহমুদের উপর রাগ গিয়াস সমর্থকদের। এছাড়া আড়াইহাজার,সিদ্ধিরগঞ্জ, সোনারগাঁয়ে মামুন মাহমুদের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ হয়েছে। তার ছবি পুড়ানো হয়েছে। আবার তৈমূর আলম জেলা বিএনপিতে ফিরতে চেষ্টা চালাচ্ছেন। মামুন মাহমুদের দাবি তৈমূর আলম থানা ও পৌর কমিটি নিয়ে মিথ্যাচার করছেন।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক জেলা বিএনপির আহবায়ক কমিটির এক নেতা সংবাদচর্চাকে বলেন, মামুন মাহমুদ এখন সিদ্ধিরগঞ্জ ছাড়া। সে ঢাকার শান্তিনগর থাকে । নারায়ণগঞ্জ শহরে অধ্যাপক মামুন মাহমুদ গেলে দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ হতে পারে। তৈমূর এবং গিয়াউদ্দিনের গ্রুপ তাকে ছাড় দেবে না।

তিনি আরও বলেন, থানা ও পৌর কমিটির পর জেলা বিএনপির সম্মেলন হবে। তারেক রহমান নারায়ণগঞ্জের কোনো এক জাগায় সম্মেলন করার পক্ষে। তা যদি না হয় তাহলে গুলশানে জেলা বিএনপির সম্মেলন হবে।

সুত্রের খবর জেলা বিএনপির সভাপতি পদ চাচ্ছেন অধ্যাপক মামুন মাহমুদ। আর নাসির উদ্দিন তাকে ছাড় দেবে না। নাসির ভারমুক্ত হতে চাচ্ছেন। তিনি জানান, জেলা কমিটিতে তৈমূর আলম খন্দকার ও কাজী মনিরুজ্জামান থাকবে না। দল নতুন নেতৃত্ব চাচ্ছে।

এছাড়া এটিএম কামালকে দল থেকে বহিষ্কারের পর মহানগর কমিটিতে অস্থিরতা লক্ষ্য করা যাচ্ছে। মহানগর কমিটি নিয়ে আলোচনা হচ্ছে। দলের এক নেতা জানান, আবুল কালামকে সভাপতি ও এড. সাখাওয়াতকে সাধারণ সম্পাদক করার কথা ভাবছে দল । আবার কাউন্সিলর খোরশেদ মহানগর কমিটিতে আসতে পারে।

স্পন্সরেড আর্টিকেলঃ