আজ বুধবার, ১১ই বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ২৪শে এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ

বাংলা ভাষা প্রতিষ্ঠায় বঙ্গবন্ধুর অবদান ভুলবার নয়:অধ্যাপক আবু সাইয়িদ

বাংলা ভাষা প্রতিষ্ঠায় বঙ্গবন্ধুর অবদান ভুলবার নয়

বাংলা ভাষা প্রতিষ্ঠায় বঙ্গবন্ধুর অবদান ভুলবার নয়:অধ্যাপক আবু সাইয়িদবাংলা ভাষা প্রতিষ্ঠায় বঙ্গবন্ধুর অবদান ভুলবার নয়

নবকুমার :

বাংলা ভাষা কে রাষ্ট্র ভাষা হিসেবে প্রতিষ্ঠায় বঙ্গবন্ধুর  অবদান ভুলবার নয় বলে জানিয়েছেন সাবেক তথ্য প্রতিমন্ত্রী ড.অধ্যাপক আবু সাইয়িদ।

গতকাল বাংলা একাডেমীতে ‘ইতিহাসের দায়ভার ও একজন আদুরী’ বইয়ের মোড়ক উন্মোচন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির ভাষণে আওয়ামীলীগের সাবেক তথ্য ও গবেষণা সম্পাদক বীর মুক্তিযোদ্ধা অধ্যাপক আবু সাইয়িদ বলেন,১৯৪৮ সালের ১১ মার্চ ভাষা আন্দোলনের ইতিহাসে এক অনন্য অবিস্মরণীয় দিন। এই দিনে রাষ্ট্রভাষা বাংলার দাবিতে সর্বাত্মক সাধারণ ধর্মঘট পালিত হয়। এটাই ছিল ভাষা আন্দোলনের ইতিহাসে তথা পাকিস্তান প্রতিষ্ঠার পর এ দেশে প্রথম সফল হরতাল। এই হরতালে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান নেতৃত্ব প্রদান করেন এবং পুলিশি নির্যাতনের শিকার হয়ে গ্রেপ্তার হন।‘স্বাধীন পাকিস্তানের রাজনীতিতে এটিই  প্রথম গ্রেপ্তার।১৯৭৪ সালে জাতিসংঘের অধিবেশনে বিশ্ব নেতৃবৃন্দের সামনে বাংলা ভাষণ দিয়ে বাংলা ভাষাকে বিশ্ববাসির নিকট পরিচয় করিয়ে দিয়েছে যা বাঙালির জন্য এক গৌরব মত অধ্যায়।

১০ মার্চ ঢাকায় আসেন।’ ১১ মার্চের হরতাল কর্মসূচিতে বঙ্গবন্ধু  এতটাই উৎসাহিত হয়েছিলেন যে, এ হরতাল ও কর্মসূচি তার জীবনের গতিধারা নতুনভাবে প্রবাহিত করে।পাকিস্থান সরকার রবিন্দ্র সংগীত নিষিদ্ধ করলে বঙ্গবন্ধু আন্দোলনে ফেটে পড়ে। জেল খানা থেকে বঙ্গবন্ধু ভাষা আন্দোলনের খোজ খবর নেন এবং সবাইকে আন্দোলন চালিয়ে যেতে বলেন।

ভাষা আন্দোলনে  বঙ্গবন্ধুর অবদানকে ইতিহাস থেকে মুছে ফেলার জন্য একটি চক্র চেষ্টা চালিয়েছে ।তা বঙ্গবন্ধুর কন্যা শেখ হাসিনার নেতৃত্বে দমন করা হয়েছে।

আবু সাইয়িদ বলেন,বঙ্গবন্ধু বাংলাকে একক অফিস আদালতের ভাষা হিসেবে ব্যবহার করার চেষ্টা চালিয়েছে। ।১৯৭৪ সালে জাতিসংঘের অধিবেশনে বিশ্ব নেতৃবৃন্দের সামনে বাংলায় ভাষণ দিয়ে বাংলা ভাষাকে বিশ্ববাসির নিকট পরিচয় করিয়ে দিয়েছেন যা বাঙালির জন্য এক গৌরবমত অধ্যায়।

তিনি কবি সাহিত্যিকদের উদ্দেশ্যে বলেন, কবি সাহিত্যিকদের অসাম্যের বিরুদ্ধে কলম ধরতে হবে। জনগণকে জাগ্রত করতে হবে। দুর্নীতিবাজ মাদক ব্যবসায়ীদের বিরুদ্ধে রুখে দাড়াতে হবে।বঙ্গবন্ধু স্বপ্ন বাস্তবায়নে লেখক সমাজের ভূমিকা ব্যাপক।

তিনি আরো বলেন, অমর একুশে গ্রন্থমেলায় লেখকদের বইয়ের গুণগত মান বৃদ্ধি করতে হবে।এ মেলা বাঙালির সাংস্কৃতির অংশে পরিণত হয়েছে।বিদেশী সাংস্কৃতির আগ্রাসন রোধ করতে হবে। তা না হলে বাঙালি সাংস্কৃতি রক্ষা করা কঠিন হয়ে যাবে।

তরুণ প্রজন্মকে ভাষা আন্দোলনের সঠিক ইতিহাস জানতে হবে ।ভাষা শহীদদের তালিকা করে তাদের মর্যদা বৃদ্ধি করতে হবে।১৯৫২ সালের ২১শে ফেব্রুয়ারীতে রাষ্ট্র ভাষা বাংলা প্রতিষ্ঠার দাবিতে পুলিশের গুলিতে নিহত সকল শহিদদের গভীর শ্রদ্ধাভরে স্মরণ করছি।

স্পন্সরেড আর্টিকেলঃ