আজ শুক্রবার, ১৫ই চৈত্র, ১৪৩০ বঙ্গাব্দ, ২৯শে মার্চ, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ

বস্ত্রখাত বিশ্বকে চমকে দিয়েছে: মন্ত্রী গাজী

নবকুমার:

নারায়ণগঞ্জ ১ আসনের সংসদ সদস্য বস্ত্র ও পাট মন্ত্রী গোলাম দস্তগীর গাজী বীর প্রতীক বলেছেন, দেশকে উন্নত বিশ্বে নিয়ে যেতে বস্ত্রখাত সবচেয়ে বড় হাতিয়ার হিসেবে কাজ করছে। দেশের বেকার সমস্যা দূর করছে। মানুষের মাথাপিছু আয় বাড়াতে বস্ত্র খাত ভূমিকা রাখছে । দেশ ক্ষুদা দারিদ্র মুক্ত হচ্ছে।

তিনি বলেন, বাংলাদেশের বস্ত্রখাত সারা বিশ্বকে চমকে দিয়েছে। বর্তমানে বাংলাদেশ তৈরী পোশাক রপ্তানিতে বিশ্বের দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে । অচিরেই এই খাত বিশ্বের প্রথম স্থান অর্জন করবে। সেই লক্ষে বঙ্গবন্ধুর কন্যা শেখ হাসিনার সরকার কাজ করে যাচ্ছে।

বুধবার ( ৪ ডিসেম্বর) সকালে জাতীয় সংসদ ভবন এলাকার মানিক মিয়া এভিনিউতে দেশে প্রথম বারের মতো জাতীয় বস্ত্র দিবসের উদ্বোধন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে গোলাম দস্তগীর গাজী এসব কথা বলেন।

মন্ত্রী বলেন, রানা প্লাাজা ধসের পর বস্ত্রখাতের যে ক্ষতি হয়েছিল বর্তমানে তা কাটিয়ে উঠে এই খাত নতুন করে ঘুরে দাঁড়িয়েছে । এখন অধিকাংশ কোম্পানি শতভাগ কমপ্লায়েন্স পরিপালন করছে। তৈরি পোশাক শিল্পে বিশ্বের ১০ টি  উন্নতমানের সবুজ (গ্রিনফ্যাক্টরি) কারখানার মধ্যে ৭টি বাংলাদেশে রয়েছে  ।

তিনি বলেন, ২০২১ সালের মধ্যে বস্ত্রখাতের রপ্তানি ৫০ বিলিয়ন মার্কিন ডলারে উন্নীত করার লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে কাজ করছে। এ ধারাবাহিকতায় বস্ত্রখাতের সঠিক বিকাশ ও সুরক্ষার জন্য সংশ্লিষ্ট সকলের করনীয় নির্ধারণ করে বিভিন্ন বিষয় সুনির্দিষ্ট করে “বস্ত্রনীতি-২০১৭” এবং “বস্ত্র আইন-২০১৮” প্রণয়ন করা হয়েছে।’

গোলাম দস্তগীর গাজী বলেন,  আমাদের বস্ত্রখাত আন্তর্জাতিক মানদন্ড বজায় রেখে এগিয়ে চলছে। বিশ্বের যে কোনো উন্নত দেশের সাথে বাংলাদেশের বস্ত্রখাত প্রতিযোগিতা করার সক্ষমতা অর্জন করেছে। এটি ধরে রাখতে হলে বস্ত্রখাতে বাংলাদেশকে বিভিন্ন ধরনের বৈচিত্রময় পণ্যের (ডাইভারসিফাই প্রোডাক্ট) উৎপাদন বাড়াতে হবে। একইসঙ্গে আমাদের হাই ভ্যালু প্রোডাক্ট তৈরি করে এই খাতকে আরো এগিয়ে নিতে হবে।

অনুষ্ঠানে আরো বক্তব্য রাখেন বস্ত্র ও পাট সচিব লোকমান হোসেন মিয়া। এবারের বস্ত্র দিবসের শ্লোগান  ‘বস্ত্রখাতের বিশ্বায়ন, টেকসই উন্নয়ন। বস্ত্র দিবসের উদ্বোধন শেষে একটি র‌্যালি বের করা হয়। র‌্যালিতে নেতৃত্ব দেন বস্ত্র ও পাট মন্ত্রী গোলাম দস্তগীর গাজী বীর প্রতীক। র‌্যালিটি সকাল ৯ টায় মানিক মিয়া এভিনিউ থেকে শুরু হয়ে খামারবাড়ী মোড় ঘুরে আবার মানিক মিয়া এভিনিউতে এসে শেষ হয়। নানা ধরনের ফেস্টুন, ব্যানার নিয়ে বস্ত্রখাতের অংশীজনেরা র‌্যালিতে অংশগ্রহণ করে।

উল্লেখ্য, আগামী ৯ জানুয়ারি  বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্র (বিআইসিসি), ঢাকায় বস্ত্র দিবসের মূল অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছে । এ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত  থাকবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা । প্রধানমন্ত্রী  বস্ত্র দিবসের গুরুত্ব এবং বস্ত্র সংক্রান্ত বিষয়ে আগ্রহ সৃষ্টির লক্ষ্যে বিভিন্ন ক্যাটাগরীতে ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানকে পুরস্কার প্রদান করবেন ।

স্পন্সরেড আর্টিকেলঃ