আজ শনিবার, ১৪ই বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ২৭শে এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ

বন্দরের কিশোর গ্যাংয়ের হাতে নিহত জিসান মিহাদের খুনীদের শাস্তির দাবীতে মানববন্ধন

স্টাফ রিপোর্টার: বন্দরের ইস্পাহানী ঘাট এলাকার কিশোর গ্যাংয়ের হাতে নিহত জিসান (১৫) ও মিনহাজুল ইসলাম মিহাদের (১৮) ঘটনায় প্রকৃত দোষীদের শাস্তি দাবীতে সড়ক আটকে রেখে ঘন্টাব্যাপী বিশাল মানববন্ধন করেছে এলাকাবাসী। ৪ সেপ্টেম্বর শুক্রবার সকালে বন্দরের নবীগঞ্জ এলাকার কাবিলের মোড়ে বৃহত্তর বাগবাড়ী এলাকাবাসীর উদ্যোগে এই মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়।

এসময় বন্দর থানা পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ আনতে ঘটনাস্থলে ছুটে গেলে পুলিশকে দেখে মানববন্ধনে অংশ নেয়া সাধারণ মানুষজন গ্রেফতারকৃত নিরপরাধ ব্যক্তিদের মুক্তির দাবীতে স্লোগান তুলেন। সেই সাথে প্রকৃত দোষীদেরও শাস্তির দাবী জানান তারা। পরবর্তীতে পুলিশ সঠিক বিচারের আশ^াস দিলে এলাকাবাসী ঘটনাস্থল ত্যাগ করেন এবং পরিস্থিতি শান্ত হয়ে আসে।

মানববন্ধনে অংশ নেয়া নারায়ণগঞ্জ মহানগর আওয়ামী লীগের ক্রীড়া ও সাংস্কৃতিক সম্পাদক হুমায়ুন কবির মৃধা বলেন, যার সন্তান হারায় একমাত্র সেই বুঝে সন্তান হারানো কত কষ্ট। জিসান ও মিনহাজুল ইসলাম মিহাদ আমাদেরই ভাতিজা। আমরা এই হত্যাকান্ডের সঠিক বিচার চাই এবং দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি চাই। কিন্তু এজন্য সাধারণ মানুষজনকে হয়রানী করা হবে গ্রেফতার করা হবে সেটা মেনে নেয়া যায় না। সাধারণ মানুষকজনকে হয়রানী না করে প্রকৃত দোষীদের খুঁজে বের করতে হবে।

তিনি আরও বলেন এই হত্যাকান্ডের ঘটনায় যাদেরকে গ্রেফতার করা হয়েছে তারা এই ঘটনার সাথে জড়িত না। এখানে প্রকৃত ঘটনাকে আড়াল করা হচ্ছে। মূল হত্যাকারীদের আইনের বাইরে রাখা হচ্ছে।

এই ঘটনায় গ্রেফতারকৃত মোঃ শিপলুর স্ত্রী তন্বীমা জামান তিশী বলেন, ঘটনার দিন আমার স্বামী বাড়িতে ছিলেন। আমার শাশুড়ির ক্যান্সার হয়েছে। তাই এদিন তিনি চিকিংসার জন্য আমার শাশুড়িকে নিয়ে ঢাকার একটি হাসপাতালে ছিলেন। অনেক রাত্রে বাসায় ফিরে ক্লান্ত হয়ে ঘুমিয়ে পড়েন। কিন্তু সকালবেলা তাকে গ্রেফতার করে নিয়ে যাওয়া হয়। আমার একটা দুই বছরের সন্তান রয়েছে। আমি এখন তাকে নিয়ে কোথায় যাবো। আমি আমার স্বামী সহ নিরপরাধ সকলের মুক্তি ও অপরাধীদের শাস্তি চাই।

গ্রেফতারকৃত আনোয়ার হোসেনের ছোট বোন শারমিন আক্তার জানান, জিসান ও মিনহাজুল ইসলাম মিহাদ হত্যাকান্ডের ঘটনায় নিরপরাধ মানুষদেরকে গ্রেফতার করা হয়েছে। যাদেরকে আসামী করা হয়েছে তারা কেউ এই হত্যাকান্ডের জড়িত না। আমরা এই হত্যাকান্ডের সঠিক বিচার চাই।

প্রসঙ্গত ১০ আগস্ট বিকেলে শীতলক্ষ্যা নদীর পূর্ব তীরে বন্দরের ইস্পাহানী ঘাট এলাকার বিকেলে কাজিমউদ্দিনের ছেলে জিসান (১৫) ও নাজিমউদ্দিন খানের ছেলে মিনহাজুল ইসলাম মিহাদ (১৮) নিখোঁজ হয়। রাতেই তাদের মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়। রাতেই নিহত জিসানের বাবা বন্দর প্রেস ক্লাবের সাবেক সেক্রেটারী কাজিমউদ্দিন বাদী হয়ে গ্রেপ্তারকৃত ৬ আসামী সহ ১৩ জনের নাম উল্লেখ ও অজ্ঞাত আরো ৮ জনকে আসামী করে বন্দর থানায় মামলা দায়ের করেন। গ্রেপ্তার এজাহারভুক্ত ৬ জন হলো আলভি (২০), মোকতার হোসেন (৫৭), আহমদ আলী (৪৫), কাশেম (২০), আনোয়ার হোসেন (৪৫) ও শিপলু (২৩)।

স্পন্সরেড আর্টিকেলঃ